ভালোবাসার ঠিকানা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
ভালোবাসার ঠিকানা

রাতের ট্রেনটা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাচ্ছে। লোকজনের কোলাহল কমে আসছে ধীরে ধীরে। কিন্তু রুদ্র এখনো বসে আছে বেঞ্চে, হাতে একটা চিঠি। চিঠিটা বহু পুরোনো, কাগজটা কিছুটা হলুদ হয়ে গেছে, কিন্ত লেখা এখনো স্পষ্ট—

"রুদ্র, যদি কখনো ফিরে আসতে চাও, জানবে আমি এখানেই থাকব। ভালোবাসার ঠিকানা কখনো বদলায় না।"

এই চিঠিটা নন্দিনীর লেখা, আজ থেকে দশ বছর আগে। রুদ্র সেই সময় চলে গিয়েছিল শহর ছেড়ে, একটা ভালো ক্যারিয়ারের খোঁজে। ভেবেছিল, ফিরে আসবে একদিন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে জীবন বদলে গেছে, ফেলে আসা মানুষগুলোও হয়তো বদলে গেছে।

আজ এত বছর পর, হঠাৎ করেই পুরোনো বাক্স ঘাঁটতে গিয়ে চিঠিটা খুঁজে পেয়েছে রুদ্র। মনে হলো, ফিরতে হবে, দেখতে হবে নন্দিনী এখনো অপেক্ষা করছে কি না।

সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল। স্টেশন থেকে বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি নিল, ঠিক সেই পুরোনো ঠিকানায় যাওয়ার জন্য।

নন্দিনীর বাড়ির সামনে এসে রুদ্র থমকে দাঁড়াল। দরজায় নতুন নামফলক, অচেনা একটা নাম।

হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে...

রুদ্র একবার চিঠিটার দিকে তাকাল, তারপর আস্তে করে সেটাকে দরজার নিচে গুঁজে দিয়ে ফিরে গেল। ভালোবাসার ঠিকানা হয়তো বদলে গেছে, কিন্তু স্মৃতির ঠিকানা কখনো বদলায় না।

214 Views
4 Likes
3 Comments
5.0 Rating
Rate this: