পাখিদের কিচির মিচির শব্দে ভোর হলো।মসজিদে মুয়াজ্জিন আযান দিচ্ছেন। রাতুল গেলো নামাজ পড়তে। প্রভাতের আলোর চারদিক উজ্জ্বল হতে শুরু করেছে। পাখির ডাক, শান্ত পরিবেশ ব্যাস্ত শহর একদম নিশ্চুপ। রাতুল নামাজ শেষ করে হসপিটালে ফিরে গেলো। নিরুকে একজন নার্স দেখতে আসছে।রেনু রাত্রিকে কোলে নিয়ে বসে আছে। রাতুল লক্ষ্য করতিছিলো ও আসার পর একবারও রাত্রি কান্না করেনি।বাচ্চা মেয়েটার কাছে রাতুল গিয়ে বসলো। বাচ্চা মেয়ে রাত্রি কিছু না বুঝেও বাবার দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে।রাতুল নার্সকে বললো....
রাতুল:আমি রাতে এসেছি, আাসার পরে ওর কান্না আমি একবারও শুনতে পাইনি।
নার্স :আমিতো কিছুই বলতে পারবো না কিছুক্ষণ পর ডাক্তার আসবে উনি বলতে পারবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রাতুল :ধন্যবাদ, নার্স।
নার্স:ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই এখানে, তবুও স্বাগতম।
রাতুল এটা নিয়ে ভেতরে ভেতরে চিন্তা করলে লাগলো কিন্তু বাইরে কাউকে বুঝতে দিচ্ছিলো না। নিরু ভাবতিছে বাচ্চা মেয়েটা এত স্তব্ধ কেন হয়ে গিয়েছে, কান্না কেন করছে না,রেনু রাত্রিকে নিয়ে ছাদে গেল আর রাতুল গেলো সবার জন্য খাবার আর নিরুর ঔষধ আনতে।
রেনু রাত্রিকে নিয়ে রোদে বসে আছে আর রাত্রিকে দেখতিছে।রোদের আলোয় বাচ্চাটার চেহেরাটা ঝলমল করতিছে নূরের চেহেরার মতো।বাচ্চাটা কিছুক্ষণ পর একটু একটু করে ছোট ছোট চোখে তাকাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসতিছে।রাতুল খাবার নিয়ে এলো নিরুকে খাবার আর ঔষধ খাইয়ে ছাদে গেলো।রেনুকে বললো,
রাতুল:রেনুকে আমার কোলে দিয়ে তুই নিরুর কাছে যা,, আর খেয়ে নিস
রেনু :আচ্ছা,, ভাইয়া
রোদের মধ্যে বসে বাবা মেয়ে গল্প করতিছে। রাতুল বলতিছে তুমি আমার রাতের আকাশ মা। তুমি কেনো এখনো একটুও কান্না করনি, তুমি কি বোবা, আমার তোমাকে নিয়ে ভয় হচ্ছে তুমি বোবা হলে এটাতো মেনে নেওয়া আমার জন্য অসম্ভব মা।আরো অনেক কথা বাচ্চা মেয়েটাকে বলতিছিলো।বাচ্চা মেয়েটা বাবার কথা কিছু না বুঝেই বাবার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে।নার্স এসে রাতুলকে জানালো ডাক্তার আসছে। রাতুল এক মুহুর্ত দেরি না করে ডাক্তারের কাছে গেলো।ডাক্তার রাতুলকে বললো্
ডাক্তার :প্লিজ রুমে গিয়ে অপেক্ষা করেন আমি সবার রুমেই যাবো।
রাতুল :ধন্যবাদ, ডাক্তার।
রাতুল রাত্রিকে নিয়ে রুমে গেলো।নিরু রাতুকে বললো,
রাতুল,তোমাকে এরকম দেখাচ্ছে কেন?তোমার কি কি হইছে?
রাতুল:না কিছু হয়নি আমার, আমি ঠিক আছি।
নক্ষত্র
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
102
Views
3
Likes
0
Comments
5.0
Rating