রহস্যময় মেয়েটি

যাই হোক আমাদের দোকান তো ছিলো দোতলায় । আর তাই আমি দোতলার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এসে যখন গেটের কাছে পৌঁছালাম, তখন যা দেখলাম তাতে  আমি পুরো হতভম্ব হয়ে যাই। দেখলাম গেটের মুখে ঝুলছে তালা।
ঠিক তখনই মনে পড়লো আমি নিজেই তো একটু আগে গেটে তালা মেরে দোতলায় গিয়ে বসেছিলাম ‌। আর সেই তালা যদি এখনো ঝুলছে তাহলে ঐ বাচ্চা মেয়েটা দোকানে প্রবেশ করলো কিভাবে?

এমন একটা ঝটকা খাওয়ার পর আমার পুরো মস্তিষ্ক যেন এক মুহুর্তের জন্য অচল হয়ে যায়। চিন্তা করার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলি তখন। কোনো এক অজনা আতঙ্কে শিরদাঁড়া বয়ে যেন এক হিমশীতল স্রোত বয়ে গেলো। ততক্ষণে এটা বুঝতে আর বাকি রইলো না যে আমি খুব বড়সড় বিপদের মধ্যেই পড়েছি। এমনকি এই বিপদের সময়ে নিজেকে এতোটাই অসহায় লাগছিলো যে শত চেষ্টার পরেও দোতলায় থাকা সুবাসকে ডাকতে ব্যর্থ হলাম।

এবারে আমি ভয়ে ভয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখলাম কোথাও সেই বাচ্চা মেয়েটার চিহ্নটুকুও নেই। এটা দেখার পর যেন ভয়ে আমার বুকের রক্ত জমাট বেঁধে গেলো। কি করবো কিছুই বুঝতে পারলাম না ‌। দৌঁড়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে যাবো, কিন্তু তাতেও নিজের পা সায় দিচ্ছে না। কোনো এক অদৃশ্য শক্তিবলে যেন আমি হাঁটার সামর্থ্যটুকুও হারিয়ে ফেলেছি।

কিন্তু তাও প্রাণপণে বাঁচার তাগিদে নিজের সমস্ত শক্তি লাগিয়ে যেই না সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে যাবো ঠিক তখনই অনুভব করলাম কেউ একজন যেন পিছন থেকে আমার ডান হাত চেপে ধরলো।

চলবে....