মারিয়ার হুজুর বর

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আমাকে ওরা টেনে হিঁচড়ে পাশের একটা জঙ্গলে নিয়ে গেলো।এখান থেকে ওই ফুচকার দোকান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে।আমি একেবারে ভয়ে চুপ মেরে গেছি।কথা বলার ভাষাটাও যেন হারিয়ে ফেলেছি।আমার সামনে দুইজন যুবক দাঁড়িয়ে।দেখে মনে হচ্ছে বখাটে!

একজন আমার দিকে তাকিয়ে বলল--কি গো সুন্দরী!কেমন আছো?

আমি উত্তরে শুধু বললাম--ছেড়ে দাও আমাকে।

দুজনেই হাসলো।একজন জবাব দিলো,এতো সহজে তোমাকে ছাড়বো না।

একজন ছেলে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম।কিন্তু কিছু হলো না।
কয়েক সেকেন্ড পরেই আহ্ করে একটা শব্দ হলো।আমি চোখ খুললাম একটা ছেলে মাটিতে পড়ে আছে।
আরকেটা ছেলের হাত পিঠে নেয়ে গিয়ে চেপে ধরছে আমিন ভাইয়া।

Are you all right,Maria.(আমিন ভাইয়া)

ইয়েস,কোন মতে জবাব দিলাম।

আমিন ভাইয়া পকেট থেকে ফোন বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিলো।আমি সেটা নিয়ে ফোন করে ভাইয়াকে সব জানালাম।
ভাইয়ার আমাদের কাছে আসার পর আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম।আসলে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আমার জ্ঞান ফিরলে আমি নিজেকে আমার রুমে আবিষ্কার করলাম।
আমার সামনে বাড়ির সবাই আছে শুধু আমিন ভাইয়া বাদে।আমার মা তো কাঁদো কাঁদো মুখ করে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে‌।তবে,,কিছু বলল না।

আরিফা আমার দিকে এগিয়ে এলো।আমার কাঁধে হাত রেখে বলল-দেখলি তো আমার মতো আন্টি না সাজার ফল।ভাইয়া কালকে সময়ে না গেলে কী হতো।
আমি ওর কথার উত্তর দিলাম না।
কিন্তু কোথায় যেন মনে হলো ওর কথাটা সত্যি,ভেবে দেখার মতো।
আসলেই কী আরিফার কথা সঠিক।আমার উত্তর চাই।


ওই রাতে সবাই যখন সেহেরির জন্য উঠলো,আমাকে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলো।কয়েক বছর হয়ে গেছে আমি রোজা রাখি না,তাই বিষয়টা অবাক হওয়ার মতোই।তার উপর আমি এখন পড়েছি,,একটা ফুল হাতা বড়ো গোল জামা ও মাথা ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছি।
এই একটা ঘটনা আমার মধ্যে একটা বড়ো পরবির্তন এনে দিয়েছে।

কী হলো?সবাই আমার মুখের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন‍?আমি সেহেরি খেতে উঠলাম,খাবো না।(আমি)
179 Views
5 Likes
0 Comments
4.0 Rating
Rate this: