রান্না শেষে আমরা সব মেয়েরা মিলে সোফায় বসলাম।
ছেলেরা ঘরে।রোজা আছে তো সবাই,তাই আমি ছাড়া এখন কেউ খাবে না।তবে,,আমি একটু পরে খাবো।
মারিয়া,তুমি এইরকম পোশাক কেন পড়েছো মা?(ফুফু)
আমার পরনে তখন সাদা টপ আর নীল জিন্স, কোন ওড়না নেই,এতে সমস্যার কী আছে?
তুমিই বোঝাও,আমরা বুঝিয়ে কিছু তো করতে পারি না।(মা)
দেখো মারিয়া,এরকম উশৃঙ্খল পোশাক পড়া ভালো না।(ফুফু)
ফুফু,কিছু মনে করো না,আমি এতে কোন দেখতে পাচ্ছি না।(আমি)
আমি খাবো বলে উঠে গেলাম।পেছনে শুনতে পেলাম মা দুঃখ করে ফুফুকে বলছে--মেয়েটার যে হঠাৎ কী হলো না।কেমন যেন হয়ে গেছে!আমি যে কী করবো ওকে নিয়ে?
ফুফু মাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন।মায়ের এসব কোথায় আমার অবশ্য কিছু যায় আসে না।যা বলার বলুক।
★★★
রাতে বিছানায় বসে বই পড়ছি এমন সময় আমার কাছে আরিফা আসলো।মেয়েটার পরনে গোল জামা,মাথা সাদা ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছে।কতো ধার্মিক মানুষ হয়ে গেছে এই অল্প সময়ে!সময় মানুষকে কতো তাড়াতাড়ি পাল্টে দেয়।
এই মারিয়া,,ফুচকা খেতে যাবি।ভাইয়া বলেছে কাল আমাদের ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাবে।(আরিফা)
কোন ভাইয়া?কখন যাবি?(আমি)
আমার ভাইয়া,তবে সাথে তোর ভাইয়াও মনে হয় যাবে। সন্ধ্যায়,ইফতারির পর(আরিফা)
নারে,আমি যাবো না।(আমি)
আমি না বললেও আরিফা আমাকে ঠিক রাজি করিয়ে নিলো।আমিও মনে মনে খুশি হলাম ফুচকা খেতে কোন মেয়ের না ভালো লাগে।
পরদিন সন্ধ্যায়,,,,,
সকলে ইফতারি করার আমরা তৈরি হতে শুরু করলাম।আমি একটা কালো টাইট শার্ট পড়লাম, সাথে কালো জিন্স।চুলগুলো ছেড়ে রাখলাম।
ঠোঁটে হালকা গোলাপী লিপস্টিক দিলাম।
আমি প্রায় তৈরি এমন সময় আমার ঘরে ঢুকলো আরিফা।আমাকে দেখে ওর চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেলো!
তুই এসব কী পড়েছিস?মারিয়া।(আরিফা)
কেন?(আমি)
তোকে তো অন্য ছেলেরা দেখবে!(আরিফা)
তো দেখুক।(আমি)
এভাবে করিস না,একবার আমাকে দেখ,আরিফা বলল।
আমি ওকে ভালোমতো দেখলাম।একটা নীল রঙের বোরখা পড়েছে।সাথে পড়েছে কালো নেকাব ও গোলাপী হিজাব।
দেখলাম,কিন্তু আমার অনন্ত আন্টি সাজার ইচ্ছে নেই।(আমি)
অনন্ত একটা ওড়না পড়।(আরিফা)
আমি মানা করে দিলাম,কিন্তু ও আমাকে অনেকবার বলেছে বলে আমি বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে গেলাম।
আলমারি থেকে গোলাপী একটা ওড়না বের করে পড়ে নিলাম।
তারপর বের হলাম ঘর থেকে,আমার পরিবার বোধহয় আমায় দেখে বেশ অবাক হলো।তবে আমি খেয়াল করলাম আমিন ভাইয়া আমার দিকে একবার তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে।আর আমার দিকে তাকালো না, আমাকে ইগনোর করলো নাকি?
আমাদের সাথে আপুও গেলো।আমাদের বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে ফুচকা বিক্রি করে।সেখানেই গেলাম আমরা।আমি তো বেশ খুশি সন্ধ্যায় এইভাবে বের হতে পারায়।আমি এতটাই খুশি যে খেয়ালই করি নি,দুজন ছেলে দূর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
অবশ্য বিষয়টা শুধু আমি না অন্যরাও খেয়াল করেনি।
ফুচকা খেতে ব্যাস্ত গেলাম আমি।
উফ্!কী সুন্দর খেতে!আমি সবার থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করলাম।পিপাসা লেগেছে,তবে আমি পানি খাওয়ার আগেই কেউ আমার মুখ চেপে ধরলো।আমি হাত পা ছুঁড়ে আরিফা দের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলাম
কিন্তু ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতেই ব্যাস্ত ছিলো।
মারিয়ার হুজুর বর
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
242
Views
4
Likes
0
Comments
5.0
Rating