সকাল হতেই পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যায় মেহেদী। ইনস্পেকটর দীপাঞ্জনের কাছে গতদিনের সব ঘটনা খুলে বলে মেহেদী, সাথে পৃথার তোলা ছবিটাও দেখায়।
"Wow she really done a great job. She has solved the mystery.😊 এবারে আমাদের শুধু প্ল্যান করতে হবে খুনিকে ধরতে। Many many Thanks Dr. Hasan. পৃথাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাবেন। বেচারি অনেক শোক পেয়েছে। 😢 আচ্ছা আপনি এখন আসুন, সময় মতো আপনাকে ডেকে পাঠাবো। "
" মাঝে এক সপ্তাহ কেটে গেছে....
পৃথা নিজের ঘরের জানালার পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। চারদিকে চুপচাপ নিস্তব্ধ। রাত এখন প্রায় নয়টা। মেহেদী এখনো বাড়ি ফেরেনি। মনটা ভালো নেই পৃথার। মনের মধ্যে কিছু প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। মেহেদী এখন অনেক ব্যস্ত থাকে। পৃথাকে সময় দিতে পারেনা। সেই সকালে বেরয় রাত দশটায় ফেরে। রাতের খাওয়া দাওয়ার সময় কয়েকটা কথা ছাড়া বিশেষ কোনো কথাও হয়না ওর সাথে। হঠাৎ পৃথার মনে কয়েকটা প্রশ্ন এসে ভীর করে " আমাদের এই সম্পর্কের আদৌ কি কোনও ভবিষ্যত আছে? মেহেদী কি আদৌ আমাকে ভালোবাসে? নাকি আমি শুধু তার কাছে একটা দায়িত্ব মাত্র?" কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই নিজের অজান্তে দু-চোখ দিয়ে জল গরিয়ে পরে পৃথার। চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা লাগছে পৃথার। চিৎকার দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে পৃথার। 😭
"হঠাৎ পিঠে উষ্ণ হাতের স্পর্শ পেয়ে মেহেদীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে চোখের জল আড়াল করে বলে ওঠে, " আপনি এসেছেন? ফ্রেস হয়ে নিন আমি খাবার বাড়ছি।" বলে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য পিছন ঘোরে পৃথা। এক ঝটকায় পৃথাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় মেহেদী। বেশ গম্ভীর গলায় বলে ওঠে," কি হয়েছে পৃথা? কাদঁছিলে কেন? আর আমাকে আপনি করে কেন বললে?" 🥺
" কো...ই আমি আবার কখন কাঁদলাম? আমি আসছি তুমি আসো।" বলে মেহেদীকে ছাড়িয়ে ঘর থেকে বেন হতে উদ্যােত হয় পৃথা। এবার মেহেদী পৃথাকে নিজের কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় বসে। ☺️ পৃথার মুখটা নিজের দিকে ফেরাতেই দেখতে পায় কান্নাকাটি করার ফলে চোখ লাল হয়ে গেছে আর চোখের কোণায় অবশিষ্ট অশ্রুকণা তারই প্রমাণ দিচ্ছে। কোনও কথা না বাড়িয়ে পৃথাকে নিজের সাথে জরিয়ে খানিকক্ষণের জন্য পৃথার ঠোঁটে আশ্রয় নেয় মেহেদী। 🥰
পৃথার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে বেশ অভিমানী কন্ঠে বলে ওঠে, " আমার থেকে চোখের জল লুকাচ্ছ পৃথা? কবে কবে আমাকে এতো পর করে দিলে? " 🥺আর স্থির থাকতে পারেনা পৃথা। মেহেদীর বুখে আশ্রয় নিয়ে চোখের জলে ভাসতে থাকে সে। 😭 মেহেদী মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে কপালে চুম্বন দিতে থাকে। খানিক্ষন বাদে কিছুটা শান্ত হওয়ার পর বলে, "আমার আর একা থাকতে ভালো লাগেনা মেহেদী। আমি এই চার দেয়ালের মাঝে হাঁপিয়ে উঠেছি। সারাদিন এঘর আর ওঘর.....কেউ নেই কথা বলার.....তুমি সকালে বেড়িয়ে যাও রাত্রে ফেরো....তুমি তো আর আগের মতো সময় দিতে পারোনা.....আমার একজন কথা বলার লোকের প্রয়োজন মেহেদী। আমি যে আর পারছিনা।" 🥺
মেহেদী বেশ বুঝতে পারে পৃথা insecurity. পৃথা যে ওদের সম্পর্কের থেকে বিশ্বাস হারাচ্ছে তা ভালোমতোই টের পায় মেহেদী। খানিক্ষণ চুপ থেকে বলে, "আচ্ছা কালকে তোমাকে নিয়ে কাজী অফিসে যাবো। "
"কেন?" কাজী অফিসে কেন?"
"ভাবছি কালই বিয়ে টা সেরে ফেলি। তারপর নতুন অতিতি এলে তোমার আর একা লাগবেনা। তোমার দিব্যি সময় কেটে যাবে। হয়তোবা তখন আমার কথাই ভুলে যাবে।
"পৃথা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,"নতুন অতিথি? কে সে? তোমার মা আপুরা আসবেন এখানে?"😳
"সে তো আসবেই তবে আরেকজনও আসবে।"😶
"কে সে?"🤔
"সেটাতো delivery'র পরে বুঝতে পারব মেয়ে অতিথি নাকি ছেলে অতিথি।"😸
মেহেদীর কথার অর্থ বুঝতে পেরে লজ্জায় লাল হয়ে যায় পৃথা। আরষ্ঠ কন্ঠে বলে,"ধুর, আমি কি তাই বলছি নাকি?"🙈
"আমার তো তাই মনে হলো।৷ কেথায় ভাবলাম সবকিছু মিটে গেলে তোমাকে বিয়ে করে তোমার আদর আপ্যায়ান নেবো। 🤗 তা না আমার মহারানী এখন থেকেই baby'র চিন্তায় কান্নাকাটি জুরছে।😫 আমার কপালে ভালোবাসা নেই, আমি জানতাম।😢 যাক আপাতত তোমার ইচ্ছেটাই রাখি।" 😌
"না, baby এখনি নয়, আগে আমি একটা ভালো job করতে চাই, তারপর।"🥰
'' আচ্ছা তাই হবে।"😊
প্রথম দেখা (পর্ব 6)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
222
Views
10
Likes
1
Comments
4.2
Rating