শরিফ খুব ইমোশনাল হয়ে যায়, বার বার শুধু মেয়েটিকে ভালোবাসে তাই বলছিল।
মেয়েটি বুঝতে পারছিল না সে কি করবে, মনের কনে অনেক কথা ভাবছে,
একদিকে পরিবারের সমস্যা অন্যদিকে শরিফ....?
গোলাপ বার বার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে এই সম্পর্কে রাখা সম্ভব নয়, কিন্তু শরিফ তো বুঝতেই চায় না গোলাপ কে।
গোলাপ বলে...
আমাদের বরং কথা না হওয়াই ভালো,এইটাই শেষ এস,এম,এস আমাদের। কারন আমি আর ফোন রাখতে পারবো না পরিবার থেকে সমস্যা হচ্ছে ।
শরিফ তাকে বার বার এসএমএস দেয় কিন্তু গোলাপ তাকে আর রিপ্লাই করে না।
কিছু দিন তাদের কথা বন্ধ থাকে দুজনই কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু গোলাপ পরিবারের কথা ভেবে সামনে আগাইতে চায়নি সম্পর্কে টা।
শরিফ তার স্কুলের সামনে দাঁরায় থাকতো, তার কোচিং এর সামনে দাঁরিয়ে থাকতো গোলাপকে এক নজর দেখার জন্য, গোলাপও খুব কষ্ট পাচ্ছিল৷ কারন সেও শরিফ কে ভালোবেসে ফেলেছিল।
গোলাপ এসএমএস দেয় বলে আমিও
তোমাকে ভালবাসি কিন্তু তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে ভালো করে যাতে আমার ফ্যামেলি তোমাকে মেনে নেয়।
শরিফ রাজি হয়, তাদের প্রেম চলতে থাকে একে অন্য কে sms, call করে তারা কথা বলতো। গোলাপ ফোন টা খুব কষ্ট করে নানান পড়ার অজুহাত দেখিয়ে তার কাছেই রাখতো।
তাদের সম্পর্কেটা খুব মধুর ছিল, গোলাপের বান্ধবীর মাধ্যমে তারা চিঠিও আদান প্রদান করতো। শরিফ তাকে প্রথম একটি পরী সোপিচ gift দেয়। গোলাপ খুব খুশি হয়েছিল। পরী পুতুল টা কে গোলাপ খুব যত্ন রেখেছিল।
এভাবে তারা call এর মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে, গোলাপের নানি তা শুনে ফেলে পরের দিন গোলাপের মাকে বলে দেয়। ওর মা জানতে পেরে অনেক বকাঝকা করে। ফোন নিয়ে নেয়, মেয়েটি কষ্ট দুঃখ কান্না করে ফোনটা বার বার চায়তে থাকে।
গোলাপ না খেয়ে থাকতে শুরু করে পরে মেয়ের কষ্ট দেখে মা ফোনটা দিয়ে দেয়, তবে বলে দেয়.. যায় করো না কেন ওর সাথে কোনদিনও তোমার বিয়ে হবে না।
মেয়েটি শরিফ কে সব বলে। শরিফ ইমোশনাল ভাবে বলে আমি গরিব তাই তোমার পরিবার হয়তো আমার কাছে দিতে চায় না তোমাকে।
কিছুদিন যাওয়ার পর গোলাপ তার মাকে রাজি করাই যে ছেলেটা সত্যি তাকে অনেক ভালোবাসে। মেয়ের মুখের দিক চেয়ে মা ও কিছুটা রাজি ছিল।
এভাবে বেশ কিছুদিন যায় গোলাপ কে লাল রংয়ের লিপিস্টিক থেকে শুরু করে কোন আত্মীয়র বাড়ি, বিয়ের অনুষ্ঠানে,এমনকি নিজের কাছের কোন ছেলে ভাই দের সাথে কথা বলতে দিত না শরিফ ।
কারোর সাথে গোলাপের নরমালি কথা বলতে দেখলেও শরিফ খুব বাজে আচারন করত গোলাপের সাথে।
গোলাপ তার আত্মীয়দের বাড়িতেও যেতে পারত না শরিফ এর জন্য,গোলাপকে খুব চাপের মধ্যে রাখত। শরিফ গোলাপকে একদিন রাতের বেলা রুমের বাইরে আসতে বলে কিন্তু মেয়েটি ভয় পাচ্ছিল বাট গোলাপ শরিফের কথা ফেলতে পারে না,শরিফ গোলাপ কে কিস করে গোলাপ রাজি ছিল না শরিফের জোর করার ফলে শুধু কিস করেতে বাধ্য হয়..
বেশ কিছু দিন এভাবে চলে কিন্তু দিন যত যাচ্ছিল শরিফ গোলাপের থেকে অন্য কিছু চাচ্ছিল কিন্তু গোলাপ কখনোই দিতে রাজি হয় নি। কারন গোলাপ ওর মাকে কথা দিয়েছিল সে এমন কোন কাজ করবে না, যার কারনে তার মা কষ্ট পায়।
শরিফ খুব বলতো কিন্তু গোলাপ কখনোই রাজি হতো না।
বার বার শরিফ রিলেশন ভেঙে দিতে চায়তো বলতো... এখন তো সব মেয়েরায় এমন করে তুমি কেন ফিজিক্যাল হতো চাচ্ছো না, কিন্তু গোলাপ সব সময় না বলতো।
ছেলেটি রাগ করে মেয়েটির সাথে কথা বলতো না মেয়েটি খুব কষ্ট পেত।
কিছুদিন পর ছেলেটি কথা কমায় দেয় মেয়েটি কারন জানতে চায়লেও ছেলেটি মেয়েটিকে ইগনোর করতে শুরু করে।
মেয়েটি বুঝতে পারে না কেন এমন করছে..
গোলাপ খুব কষ্ট পেত কান্না করতো না খেয়ে থাকতো, কত এসএমএস, কল দিতো কিন্তু ছেলেটি সব সময় তাকে ব্লক লিষ্ট করে রাখতো...
সিরিজটি ভালো লাগলে লাইক ফলো দিয়েন ধন্যবাদ সবাইকে।
একটি অপূর্ণ ভালবাসা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
194
Views
4
Likes
1
Comments
2.3
Rating