রূপসী রাজকন্যা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আমি একটু চমকে তাকাই।অন্য কি কারণ হতে পারে !😕😕

রাশেদ বলতে থাকে, তোমার পরিবারের দ্বিধার কথা জেনে আমি আর রিস্ক নেই নি। তোমার ছোট চাচীর সাথে আলাপ করি। সেই বাকি সব ঠিক করে।

জানি না তোমার চাচী আমার সম্পর্কে তোমাকে কিছু বলেছে কি না। তুমি এখন বিয়ে করতে ইচ্ছুক না, তুমি পড়া-লেখা চালাতে চাও তোমার নিজের কিছু করার ইচ্ছা সব কিছুই আমাকে জানিয়েছে।

আমি কিন্তু তোমার অমতে এ বিয়ে করার পক্ষে ছিলাম না।
নাজিলা ; তাহলে করলেন কেন,,?🤨

রাশেদ ; তুমি হয়তো জানো না তোমার ছোট চাচী
শিউলি কিন্তু আমার ছোট বেলার বন্ধু।

তুমি এখন বিয়ে করতে রাজি নও শুনে আমি তোমার অমতে বিয়ে করতে না চাওয়ায় শিউলি বললো আমি না করলেও তোমার বিয়ে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না।

তোমার বিয়ে অনেকটা জোর করেই দেয়া হবে অন্য কারো সাথে।

নাজিলা ; আমি দাঁত কিটমিট করে বললাম,,তাই ছোট চাচী তার বন্ধুকেই বেছে নিলো।

রাশেদ হেসে বলল,,আসলে ব্যাপারটা তা না। তোমার তো পছন্দের কেউ ছিলো না। তুমি শুধু পড়ালেখা করতে চেয়েছিলে।
আর তোমার পরিবার মেয়েদের এতো পড়ালেখা শিখানোর মানসিকতা রাখে না।

অন্যদিকে আমার কাছে বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কোনো সমস্যা না। আমি কিংবা আমার পরিবার এতে বাধা তো দিবেই না উল্টো তোমাকে সাহায্য করবো।

তোমার চাচী আমার পরিবারকে ভালো করে চিনে। সে আমাকে বলেছিলো আমার সাথে তোমার বিয়ে হলে তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে।
নইলে তোমার অন্য কোথাও বিয়ে হলে সেখানে তুমি হয়তো সুখী হবে কিন্তু স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাবে।

নাজিলা ; আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম। রাশেদের কথা গুলো অনেকটাই ঠিক। আমার পড়ালেখার শখ, স্বপ্ন সবকিছু ছোট চাচী জানে আর আমার যেকোনো সময় বিয়ে হয়ে যাবে এবং সেখানেই আমার স্বপ্নের পতন হবে তা আমি ও জানতাম।

তাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম ছোট চাচীর সাপোর্টে। তাহলে ছোট চাচী কি আমার ভালোর জন্যই এখানে বিয়ে দিয়েছে,,?🙃🙃

ছোট চাচী আমাকে এ বিয়ে নিয়ে কি যেনো বলতে চেয়েছিলো বার বার কিন্তু আমি তখন কিছুই শোনার অবস্থায় ছিলাম না।

সবকিছু এতো জলদি হচ্ছিলো আর সবকিছুর মূলে ছোট চাচী ছিল শুনে আমার মাথায় আগুন ধরে গিয়েছিলো।

আমি বললাম,, আপনি আমাকে কোথায় দেখেছিলেন,,?
আপনি বললেন আমাকে আপনি অন্য কারণে
বিয়ে করেছেন। সে কারণটা কি,,?🙄🙄

রাশেদ ; সব কি আজই বলতে হবে,,?🙂🙂
অনেক রাত হয়েছে। আমরা না হয় আজ শুয়ে পড়ি।

আমি দু হাতে ভর দিয়ে তড়িঘড়ি করে পিছিয়ে তোতলার মতো বলি, আ,,আ,,। আমার কিছু কথা ছিল।

আমার এমন আচরণে রাশেদ অনেকটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নেয়।

আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে যাই। রাশেদের চাহনিতে পুরোই বুঝা যায় আমি যা ভেবেছি রাশেদ তা মোটেও বোঝায় নি।

এখন আমি কি বলবো,,?😥😥


চলবে,,,,
205 Views
3 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: