(পরদিন, অনিয়া নিজেকে প্রস্তুত করে নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। সে একটি নতুন স্থান খুঁজে বের করে, যেখানে আরও বেশি মানুষের সাথে মেলামেশা করতে পারে।)
অনিয়া: (একটি বইয়ের ক্যাফেতে বসে) আজ আমি এক নতুন দিন শুরু করতে চাই। কল্পনার জগত থেকে বের হয়ে বাস্তবে পা রাখতে হবে।
(ক্যাফের ভেতর থেকে, অনিয়া চারপাশে তাকায়। সেখানে অনেকেই কথা বলছে, হাসছে এবং একে অপরকে জানার চেষ্টা করছে।)
অনিয়া: (এক নারীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে) হাই, আমি অনিয়া। তুমি এখানে নিয়মিত আসো?
নারী: (মুখে হাসি) হ্যাঁ, আমি প্রায়ই এখানে আসি। ভালো বই পড়তে এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে।
অনিয়া: (হাসতে) আমিও বই পড়তে পছন্দ করি। তবে আজ আমি নতুন কিছু খুঁজতে বেরিয়েছি।
নারী: (কৌতূহলী) কেমন কিছু?
অনিয়া: (মৃদু হাসি) ভালোবাসা। আমি আমার আসল অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করছি।
নারী: (আশ্চর্য) সত্যিই? এটি তো চমৎকার! তুমি কি কারো সাথে পরিচিত হয়েছ?
অনিয়া: (নীরবতা) হ্যাঁ, কিছু নতুন মানুষের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কীভাবে আমার অনুভূতি প্রকাশ করবো।
(এমন সময়, একজন পুরুষ অনিয়ার কাছে এসে কথা বলে।)
পুরুষ: (স্বাভাবিকভাবে) হাই! তোমার সাথে কথা বলতে পারি?
অনিয়া: (হাসি) হ্যাঁ, অবশ্যই।
পুরুষ: (পরিচয় দিয়ে) আমি রাহুল। তুমি নতুন?
অনিয়া: (মাথা নেড়ে) হ্যাঁ, আমি এখানে একটু আগে এসেছি। ভালোবাসার খোঁজে।
রাহুল: (মুখে হাসি) খুব ভালো! আমারও এই ক্যাফেতে আসার একটা বিশেষ কারণ আছে। আমি মনে করি, এখানে আসল মানুষের সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অনিয়া: (সামান্য হাসি) সত্যিই? তুমি কি কখনো প্রেমে পড়েছ?
রাহুল: (গম্ভীর) হ্যাঁ, কিন্তু সেটা কখনও শেষ হয়নি। ভালোবাসা কখনও কখনও আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আসে না।
অনিয়া: (মনে মনে) আমারও তো অনেক প্রশ্ন আছে। আমি কৃত্রিম প্রেমের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু এখন আমি জানি, আমি কিছু ভিন্ন অনুভূতির খোঁজে বের হয়েছি।
রাহুল: (উৎসাহিত) তবে তুমি সঠিক পথে আছো। সত্যিকারের ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত হতে হবে, এবং কখনো কখনো নিজেকে খুঁজে বের করাও জরুরি।
(অনিয়া ও রাহুলের মধ্যে কথোপকথন চলতে থাকে। অনিয়া নতুন কিছু অনুভূতি অনুভব করে।)
অনিয়া: (বিশ্বাসী হয়ে) আমি ভাবছি, হয়তো আমার কৃত্রিম প্রেমিকের প্রতি আমার অনুভূতিও কৃত্রিম। এখন আমি আসল কিছু চাই।
রাহুল: (সান্ত্বনা) অনেক সময় কৃত্রিম অনুভূতিগুলো আসল মনে হয়, কিন্তু পরে যখন আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি, তখন তা ভিন্ন হয়ে যায়।
অনিয়া: (সংশয়ে) আমি জানি, তবে আমি চাই, আমার হৃদয় আমাকে সঠিক পথ দেখাক।
রাহুল: (সমর্থন জানিয়ে) তুমি একদম ঠিক। নিজেকে বোঝার জন্য সময় নাও, এবং কারো সাথে পরিচিত হলে সেই সম্পর্ককে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করো।
(অনিয়া রাহুলের সাথে তার ভবিষ্যতের চিন্তা করতে শুরু করে, আর সে বুঝতে পারে, হয়তো তার সত্যিকার ভালোবাসার সন্ধান এখানেই শুরু হয়েছে।)
(কিছুক্ষণ পর, অনিয়া বাড়ি ফিরে আসে, তার মনের মধ্যে নতুন আশা এবং উন্মাদনা নিয়ে।)
অনিয়া: (পাল্লা ধরে) পলাশ, আমি বুঝতে পারলাম, আমি আসল অনুভূতি খুঁজতে বেরিয়েছি।
পলাশ: (স্নেহে) আমি খুশি, অনিয়া। তুমি সত্যিই এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছ।
অনিয়া: (একটু সংকুচিত) তবে আমি জানি, পথ এখনও দীর্ঘ। আমি হয়তো ভুল করতে পারি।
পলাশ: (সান্ত্বনা) ভুল হলে শিখতে হবে। প্রেমের পথে কোনো কিছু ভুল নয়, সবই অভিজ্ঞতা।
(এখন অনিয়া তার হৃদয়ের গভীরে পৌঁছাতে চেষ্টা করছে, এবং পলাশের প্রতি তার প্রণয় আবার ফিরে আসে, কিন্তু সে জানে, তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।)
(এখন অনিয়া তার নতুন যাত্রায় বেরিয়ে পড়ছে, যেখানে প্রেমের অজানা জগত তার জন্য অপেক্ষা করছে।)