(দেখুন আমি এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না । আমাকে জোর করে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে । আমি শুধু আমার বাবার সম্মান বাচাতে এই বিয়েটা করেছি। না হলে আপনার মতো একটা গুমরা মুখো মানুষকে আমি জীবনেও বিয়ে করতাম না ।তার থেকেও বড় কথা হলো আমি এখন বিয়ে করতেই চাই না । আমি তো লেখাপড়া করে অনেক বড় একজন ডাক্তার হব ভেবেছি । যাকে এক নামে সবাই চিনবে । চারিদিকে শুধু আমারই জয়ধ্বনি শুনা যাবে চারিদিকে শুধু ডাক্তার তুবা ,ডাক্তার তুবা এই একটা নামই শুনা যাবে । সবার মুখে শুধু একটা নামই থাকবে তা হলো ডাক্তার তুবা রহমান । সবকিছু আমার স্বপ্নের মতোই হচ্ছিল । আমি আমার স্বপ্নের পেছেনে ছুটছিলাম । মাঝখানে এই একটা দুর্ঘটনার জন্য সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায় । আর আমাকে আপনার মতো একটা মানুষকে বিয়ে করতে হয় । সবাই জোরে দেয় আমাকে আপনার মতো একটা লোকের সাথে । যার মধ্যে রোমান্টিকতা বলতে কিছুই নেই । যে শুধু পারে সারাদিন গুমরা মুখ করে রাখতে আর সবাইকে বকাঝকা করতে ।তাই এই রকম মানুষের সাথে আমি থাকতে পারবো না। তাই আপনি আমার উপর কোনো প্রকার অধিকার দেখাবেন না । আমাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই "ওকে"।আমরা শুধু লোকদেখানো স্বামী স্ত্রী । আমাদের মাঝে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব না । তাই আপনি আপনার মতো আর আমি আমার মতো । দুজনের মধ্যে কেউ কারোর উপর অধিকার দেখাব না । মনে থাকবে ।)
ফুলে সজ্জিত অন্ধকার রুমে বসে তুবা ভাবে উপরের কথা গুলো বলবে তার সদ্ধ বিয়ে করা বরকে। রুমে আসলেই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিবে তাদের মধ্যে কিছু হওয়া সম্ভব না । তিনি যেন তার কাছে কোনো কিছু আশা না করেন ।তার পক্ষে সম্ভব না । তিনি চাইলে সে মুক্তি দিতে পারে , তবে মানিয়ে নেওয়া তার জন্য কষ্ট কর ।
তার বোনের অন্যায়ের মাসুল এখন তাকে দিতে হচ্ছে । না হলে এমন পরিস্থিতিতে সে কখনোই পরতো । তার জায়গায় এখন তার বোন তৃশা থাকতো । সে তো পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো । এসব ভেবে তুবা ডুব দেয় কীভাবে এই অনাকাঙ্খিত বিয়েটা ঘটেছে সেই ভাবনায় ।
ফ্লাশব্যাক।
।
।
।
চলবে......।