অচেনা এক কন্ঠের সুর

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
##_______________________________৳৳
##____________________৳৳

গল্প আড্ডায় দুপুরের খাবারের আয়োজনের মাঝেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি হাজির হলেন।
আমি সবার কথা শুনে যতটা হ্যান্ডসাম ভেবেছিলাম তাকে, তেমনটা তিনি হলেন না।

লম্বায় খুব বেশি না,,৫ ফিট ৭ হবে হয়তো। তবে মুটিয়ে যাওয়া শরীরের জন্য আরও খাটো দেখা যায়। মাথায় চুল কমে গেছে,,
গায়ের রং মোটামোটি ফর্সা হলেও চেহারা খুব বেশি আকর্ষণীয় নয়।

তবে ভীষণ মজার মানুষ এবং প্রত্যেকের সাথে সুদূর বিদেশে থেকে ও যোগাযোগ রাখেন,,তা বেশ বোঝা গেলো।

অবাক করা বিষয়,, সায়মনের কাছ থেকে আমার সব খবরাখবর ও পান তিনি।😱😱
আমার সাথে ও এমন ভাবে কথা বললেন,, যেন বিয়ের পর থেকে নিয়মিত কথা হয় আমাদের !

ভাসুর হিসেবে তাকে আমার খুব পছন্দ হলো,, চমৎকার একজন মানুষ ! 😊😊

রাত ৮ টার কিছু পরে হলুদের ফাংশন শুরু হলো। সবাই হলুদ কমলা রঙের শাড়ি পড়ে ছুটাছুটি করছে।

আমি সায়মনের টিকিটি ও খুঁজে পাচ্ছি না। ও খাবারের মূল দায়িত্বে আছে।দেড়শো জনের মতো আয়োজন হলেও কাজ করার মতো ছেলেপেলে কম।

এজন্য আমার জামাই টা খেটে খেটে মরছে।😥😥 এদিকে আমি সবার সাথে টুকটাক কথা বলার চেষ্টা করেও খুব বেশি সুবিধা করতে না পেরে ১ টা চেয়ার নিয়ে স্টেজের কাছাকাছি বসে ফোন ঘাটতি।

এমন না যে আমাকে কেউ পাওা দিচ্ছে না,, বরং আমিই কারো সাথে কথা বলে আনন্দ পাচ্ছি না।
অপেক্ষা করে আছি,,কখন ফাংশন শুরু হবে,, সবাই নাচানাচি করবে।
আর মাথায় তো ঘুরছেই অভ্রদার গানের বিষয় টা।

সাড়ে দশটা নাগাদ চললো কেবল ছবি তোলা আর মিষ্টি খাওয়ায় পর্ব । সায়মন কে কয়েকবার দেখে ছিলাম।
তারপর জোর করে স্টেজে উঠে কয়েকটা ছবি তুলতেই আবারো সে গায়েব।

নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবার খাবারের তদারকি করলো। শেষ ব্যাচে বর কনের সাথে আমরা দুজন ও বসলাম।
খেতে বসে ওকে পেয়েই জিজ্ঞাসা করলাম,, ফাংশন কখন শুরু হবে,,?

এই তো খাবার দাবার শেষ হলেই,,( সায়মন )
আরো আগে হলে ভালো হতো না,,?‌
খেয়ে দেয়ে নাচানাচি করতে গিয়ে যদি কেউ বমি করে দেয়,,,? ( আমি )

" ভালো হবে তো,, আমরা বমির ঝর্ণা দিয়ে গোসল করবো !😅😅 ( সায়মন )
আমি খাওয়া থামিয়ে ওর মুখের দিকে তাকালাম।

খেতে বসে এসব কথা কে বলে,,? অবশ্য ভুল আমারই। বমির প্রসঙ্গ তোলার কি দরকার ছিল বাবা ! 😥😥

আর আমার জামাই টাও এমনভাবে এসব কথা বলে যে মুখ দেখে মনে হবে খুবই সিরিয়াস কিছু বলে ফেলেছে।

খাবারের পর্ব শেষ হতেই ফাংশন শুরু হলো। ছেলে মেয়েদের কয়েকটা দল পালাক্রমে নাচলো।
অতঃপর এলো বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই সময়।

অভ্রদা স্টেজে উঠেছে। আমি তখন স্টেজের সামনেই চেয়ারে বসে আছি। আমি হাসি মুখে অপেক্ষায় আছি অভ্রদার গান শোনার জন্য।

আভ্রদা স্টেজে উঠার পর সায়মন গীটার নিয়ে এলো। তারপর দুটো চেয়ার আনা হলো। তাতে ওরা দুজন বসলো।

আমি বুঝতে পারলাম না,, সায়মন স্টেজে কি করে,,? ওর কাজ কি ওখানে,,? 🤔🤔

অভ্রদা গীটারের টিউন ঠিক‌ করলো।
সেই মূহূর্তে,,,,



চলবে,,,,

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন,,,,

138 Views
1 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: