শুধু তোমারই জন্য

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আকাশের নাম ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে সাথে পুরো অডিটোরিয়াম হাততালির শব্দে ফেটে পড়ল। কিছু কিছু মেয়ে তো চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে ফেলছিলো। যেন এটাই চেয়েছিল তারা৷ আকাশ স্টেজে গিয়ে তার তিন তারকাযুক্ত মেরুন solder starbatch গ্রহণ করল অধ্যক্ষের কাছ থেকে। অধ্যক্ষ মহোদয় নিজ হাতে তাকে সেটা পড়িয়ে দিলেন। আকাশ বিশ্বজয়ের হাসি নিয়ে সামনে উপস্থিত সকলের দিকে তাকিয়ে আছে।

-Now, I an gonna declare the another Central Prefects. The main prefect of Nazrul Islam House is Lion Basher (প্রফেসর)

আরেকদফা চেঁচামেচি হলো অডিটোরিয়ামে। এতজনের মধ্যে লিওন নামক ছেলেটি স্টেজে এসে তার হাউজকালার অনুযায়ী সবুজ রং এর দুই তারকাযুক্ত solder starbatch গ্রহণ করলো।

- The prefects of Nazrul Islam House are Fiham Sahriar,Aniket Ani and the Female Prefects are Lisa Nowshin and Trisna Roy.(প্রফেসর)

শেষে লিসার নামটা অরিন ও লিসা দুজনের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিলো। লিসা একদম লাফিয়ে উঠলো। অরিন খুশিতে তাকে জড়িয়ে ধরলো। সেসহ নজরুল হাউসের বাকি প্রিফেক্টরা স্টেজে গিয়ে তাদের একতারকাযুক্ত solder starbatch নেয়। এভাবে একে একে সব হাউজের প্রিফেক্টদের নাম বলা হয়।

এবার আসে শপথ গ্রহণের পালা। প্রথমে নজরুল হাউজের সব প্রিফেক্টস স্টেজে আসে।এরপর নজরুল হাউজের ex prefects রা আসে।

- The ex prefects,wishing you a shining future and thanking for taking the responsibility for one year of Nazrul Islam House. The new prefects,congratulation to all. Now,you take the responsibility of your house from your seniors. (প্রফেসর)


নজরুল হাউজের ex প্রিফেক্টস new prefects দের হাতে হাউজের পতাকা তুলে দেয়। এই আনুষ্ঠানিকতা দ্বারা বুঝায় যে,এতদিন হাউজের দায়িত্ব তাদের কাছে ছিল। এখন তা নতুন প্রিফেক্টদের হাতে তুলে দেয়া হলো।

এভাবে একে একে সব হাউজের প্রিফেক্ট নির্বাচনে হলো।

- উফফফ,লিসা....আমি আজ কতটা খুশি তোকে বলে বোঝাতে পারব না।(অরিন)

- সত্যিই yaar,আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।আমি এখন নজরুল হাউজের female prefect. (লিসা)

- সবই তো ঠিক আছে। কিন্তু ওই আকাশকে কেন
House Commander করল? (অরিন)

- কেন? ও তো পারফেক্ট এই পদের জন্য। (লিসা)

- পারফেক্ট না ছাই,সারাক্ষণ কেমন attitude নিয়ে ঘুরে বেড়ায় (অরিন)

- বাদ দে, চল বাড়ি যাব। (লিসা)

- হুম,চল। আর এমনিও এখন principle sir নতুন H.C কে নিয়ে ভাষণ দিবে যা শোনার আমার একটুও ইচ্ছে নেই। (অরিন)

___________________


- আমি বেশি কিছুই বলব না।শুধু এটুকুই বলব,আকাশ তোমাকে একবছর observe করা হয়েছে। তাই অবশ্যই সব দিক বিবেচনা করে তোমাকে যোগ্য মনে করা হয়েছে বলেই তোমাকে H.C নির্বাচন করা হয়েছে।তোমার কাজ হল  সিপিএসসিএস এর শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দক্ষতার সাথে সফল হাউসের কার্যক্রম পরিচালনা করা। আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম যেন দেশের সবখানে ছড়িয়ে যায়, তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর যা করতে হবে অবশ্যই পড়াশোনাটা ঠিক রেখে করতে হবে। My dear students  and another prefects, তোমরা তোমাদের সমস্যা ওকে বলবে এবং ও সেটা সমাধান করার চেষ্টা করবে। So, আকাশ আমি আশা করছি যে তুমি তোমার দায়িত্বটা খুব ভালোভাবে পালন করবে। আর প্রিফেক্টদেরও চেষ্টা করতে হবে নিজের হাউস কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। পরিশেষে, আমি তোমাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি। (প্রিন্সিপাল)


তারপর সবাই অনেক মজা করে পার্টি শেষ করল। বলা চলে সবাই ভীষণ খুশি কারণ আকাশ হাউস কমান্ডার হয়েছে। বিশেষ করে মেয়েরা।তবে একজন মনে মনে রাগে ফুসছে। তার চোখ ঠিকরে যেন বের হচ্ছে রাগ ও প্রতিহিংসার অনল।

-ওই আকাশ কিভাবে H.C হলো? আমি তো আমাকে কমান্ডার করার জন্য প্রফেসরকে ঘুষও দিয়েছি। আচ্ছা ঠিক আছে, কমান্ডার  হতে পারিনি তো কি হয়েছে?আমি তো ফজলুল হাউসের main prefect. এবার দেখ আকাশ তোর নজরুল হাউজকে কিভাবে কোনঠাসা করি। (অপরিচিত ব্যক্তির ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো)

এতক্ষণ যে এই কথাগুলো বলছিল, তার নাম হলো নীল।নীল খুব অহংকারী একটি ছেলে। নীল পড়াশোনাতেও তেমন ভালো ছিল না। মাস্তান টাইপের একটা ছেলে সে। নীল ও আকাশ ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে পড়তো।কিন্তু দুজন দুজনকে সহ্য করতে পারেনা কোনো কালেই। নীল ইচ্ছে করে আকাশের সঙ্গে ঝামেলা করে। আকাশ তার দু চোখের বিষ, কারণ সব মেয়ে আকাশের জন্য পাগল ছিল। আর পড়াশোনা, খেলাধুলা, সম্মান, পাবলিসিটি সবদিক দিয়ে আকাশ এগিয়ে ছিল বলে নীল তাকে প্রচুর হিংসা করত। নিজের বাবা politics সাথে ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকায় তাদের ক্ষমতা ছিল প্রচুর। তাই আজও নীল প্রফেসরকে ঘুষ দিয়েছিল যাতে ওকে H.C করা হয়। কিন্তু প্রফেসর শত চেষ্টা করে ওকে H.C করতে পারেনি। তাই ওকে ফজলুল হাউসের মেইন প্রিফেক্ট করা হয়েছে। আকাশ যেহেতু আগে নজরুল হাউসের ছিল, তাই সে আগে থেকেই নজরুল হাউসের ক্ষতি করার চেষ্টা করত।

আকাশের attitude H.C হওয়ার পর দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সে করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মনে হয় যে আশেপাশে কেউ নেই। সে একাই হচ্ছে। কিন্তু এত কিছু পরেও অরিন আকাশকে পাত্তা দেয় না দেখে,একদিন মাঠে অরিনকে ফাঁকা পেয়ে সে অরিনের কাছে এসে রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। অরিন তাকে দেখে প্রচন্ড অবাক হয়।

- Who are you (আকাশ)

- What! (অরিন কিছুটা অবাক হয়ে)

- I think you are not believing that I've came to talk with you. (আকাশ)

- Absolutely not, I am not interested to talk with you.. (অরিন)

- I must say, You are so lofty. (আকাশ)

- At first watch yourself. (অরিন)

- I'm the H.C of CPSCS. So that I'm lofty but what do you have? (আকাশ)

- Firstly, I am not a lofty girl.Secondly, I have no interest on talking with boys. (অরিন)


এই বলে অরিন আকাশকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। আর আকাশ অরিনের কথা শুনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। যেই মেয়েরা সবসময় তার পেছনে পড়ে থাকে, সেখানে একটা মেয়ে তাকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেলো, এককথায় তার সাথে ঝগড়া করে গেলো!! বিষয়টিকে আকাশের কাছে খুব অপমানজনক মনে হল।


____________________


এক সপ্তাহ পর................

যে যার দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এবার HSC exam, তাই অরিন এখন থেকেই জোর কদমে পড়াশোনা করছে। প্রিফেক্ট৷ হওয়া সত্ত্বেও লিসাকেও এ কদিনে তেমন কিছুই করতে হয়নি, কারণ এমন কোন ইভেন্ট এখনও হয়নি যেখানে তাকে৷ কাজ করতে হবে। আকাশ পড়াশোনা সাথে প্রতিষ্ঠানের ডিসিপ্লিন দুটোই সামলাচ্ছে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার স্বভাবটা তার চলে গেছে কাজের চাপে। আর নীল শুধু ফাঁক খুঁজছে কিভাবে আকাশকে প্যাঁচে ফেলা যায়।


একদিন অরিন আর লিসা ব্রেকটাইমে হাঁটছিল। এমন সময় কিছু বখাটে ছেলে অরিনকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে।

- Hey beautiful, কোথায় যাচ্ছ? (একটি ছেলে)

অরিন ওদের পাত্তা না দিয়ে হাঁটতে থাকে।

- আরে এসো না একসাথে গল্প করি। (ছেলেটি)

- (ওদের সামনে এসে) কি সমস্যা? কি চাই?৷ (অরিন)

- তোমাকে। (ছেলেটি)

- এসব না করে পড়াশোনা মন দিয়ে করুন। (অরিন)

- তোমাদের মত মেয়ে থাকলে পড়াশোনায় মন বসে? Really, you are so so hot. (ছেলেটি)

ছেলেটি অরিনের হাত ধরতে গেলে অরিন ঠাস্ করে তাকে একটা থাপ্পড় মেরে দেয়।


চলবে....................


খুব শীঘ্রই একটা বড় ধামাকা আসতে চলেছে। প্রস্তুত থাকবেন কিন্তু সবাই।
213 Views
5 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: