শুধু তোমারই জন্য

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
কিছুদিন পর..................
অরিন কলেজের করিডোর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।সে আপনমনে লিসার সাথে গল্প করতে করতে যাচ্ছিল। তার ঠিক উল্টোদিক দিয়ে আকাশ আসছিল। আকাশ এক দেখাতেই অরিনকে চিনে ফেলে। সে ভেবেছিল অরিন হয়তো তার দিকে তাকাবে। কারণ করিডোর দিয়ে যাওয়া প্রত্যেকটা মেয়েই অন্ততপক্ষে আকাশের দিকে ১০ সেকেন্ড তাকিয়ে ছিল। কিন্তু সে তো জানে না অরিন তাদের কাতারে পড়ে না। তাই সে আকাশের দিকে তাকিয়েও না তাকানোর ভান করে চলে গেল। যেটা দেখে আকাশ প্রচন্ড অবাক হলো। সাথে একটু অসন্তুষ্টও হল। কারণ ও চায় যে সব মেয়ে ওর পেছনে পড়ে থাকবে, আর ও একটাকেও পাত্তা দেবে না। যেটা শুধু সে চায়ই না, হয়েও আসছে বহু বছর ধরে। যাই হোক,এই ঘটনা আকাশকে অরিনের বিষয়ে আরও কৌতুহলী করে তুলল।

- কে এই মেয়েটা? এত দেমাগ যে আমাকে ইগনোর করলো... একটু খোঁজ নিতে হচ্ছে তো। (আকাশ)

________________


সময়ের স্রোতে দেখতে দেখতে অনেকদিন কেটে যায়।অরিনদের 1st year এর পরীক্ষা শেষ হয়। যদিও পরীক্ষাটা তাকে একটু প্রতিকূল অবস্থাতে দিতে হয়েছে। তার মা অনেক অসুস্থ ছিল। সুমি তার মায়ের কোন দেখাশোনা করেই নি উল্টে তার মা অসুস্থ বলে বাড়িতে কাজের লোক রাখতে হয়েছে। অরিনই তার মায়ের দেখাশোনা করেছে, সাথে পড়াশোনা করে পরীক্ষাও দিয়েছে। মাঝে মাঝে নোয়েলও তাকে সাহায্য করেছে।

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের রেজাল্ট দিয়ে দেয়। অরিন ও আকাশ খুব ভালো ফলাফলের সাথে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। লিসার রেজাল্টও খুব ভালো হয়েছিল।


CPSCS এর রেজাল্ট এবার অন্য বছরের তুলনায় খুব ভালো হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নতুন Inter 2nd year এর student দের জন্য একটি ছোটখাটো success party র আয়োজন করা হয়েছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- আজ new prefects select করা হবে অরিনদের ব্যাচ থেকে।

অরিন সেখানে প্রথমে আসতে চায়নি। এসব জায়গায় যেতে তার একটুও ভালো লাগে না। মানুষ গিজগিজ করে, হাজারটা শব্দ, হাজারটা চোখ সব মিলিয়ে যা বিরক্তি ও অস্বস্তিকর। তার ওপর তার মা তখনও যথেষ্ট অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু অরিনের মা-ই তাকে এখানে জোর করে পাঠালেন। এই ক দিনে মেয়েটা অনেক খেটেছে। মায়ের সেবা করেছে,আবার রাতজেগে পড়াশোনাও করেছে। আজ একটু আনন্দ করুক।

কলেজে ঢুকেই অরিন অন্যদিনের মতো প্রথমেই তার একমাত্র শখী লিসার কাছে গেল।

- এই তুই কী রে, আজও তুই normal কুর্তি পড়ে এসেছিস, আরে আজ আমাদের success party yaar. (অরিন)

- ছাড় তো, আমি তো আসতেই চাইনি। মা জোর করে পাঠালো। (অরিন)

- যার জন্য আন্টিকে লাখকোটি thanks. (লিসা)

- এখন আর তোর drama শুরু করিস না yaar. আর আমি এমনিও বেশিক্ষণ থাকব না। মায়ের শরীরটা ভালো নেই। (অরিন)

- যতক্ষণ থাকবি ততক্ষণ enjoy করবি। এখন ভেতরে চল। (লিসা)

- কী হবে গিয়ে? না আমি কারও সাথে কথা বলব, না কেউ আমার সাথে। (অরিন)

- সত্যিই অরি, একটা বছর চলে গেল অথচ তুই কারও সাথে তেমন মিশতে পারলি না। (অরিন)

- কী আর করব বল? আমি তো চেষ্টা করি। (অরিন)

দুজনে পার্টির ভেতরে চলে গেলো। এটি প্রতিষ্ঠানের বিশাল অডিটোরিয়ামেই আয়োজিত হয়েছিলো। সাউন্ডবক্সে একটা সফ্ট মিউজজিক বাজছে আর ছেলেমেয়েরা সব সফ্ট ড্রিংকস নিয়ে নিজেদের মতো আড্ডা দিচ্ছে। কারো ইচ্ছে হলে তারা নাচানাচিও করছে। কিন্তু উশৃংখলতার সাথে নয়, শালীনতা বজায় রেখে। কারণ একটা আর্মি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে এসে কেউ লাল পানির সাথে অশালীন পোশাক পড়ে এসে উশৃংখলের মতো নাচানাচি করলে ধরে নিতে হবে সেখানে সেদিনই তার শেষ দিন। যদিও এখানে এমন কিছুই নেই যা কাউকে বিব্রত করবে। কিন্তু তাও, অরিনের এত মানুষের মধ্যে অস্বস্তি হতে থাকে।

অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এলো সেই মূহুর্ত যার জন্য সবাই উৎসুক হয়ে ছিলো। পরের বছরের প্রিফেক্টদের নাম ঘোষণা করা হবে। মাইক হাতে নিয়ে একজন প্রফেসর বলতে শুরু করলেন -

- My dear students, thank you all for coming to our today's function. We're also thanking you for gifting us such a good result. So, Let's go to the point. You all are informed that today we're going to announce the name of the new HC and other house prefects of CPSCS......... (প্রফেসর)


সবাই উত্তেজনায় চিৎকার করে উঠলো।


- At first I'm going to announce the name of HC.So....The HC,the lucky person is.........(সবার মধ্যে টানটান উত্তেজনা)



চলবে.........................


কি মনে হচ্ছে, কে হবে হাউস কমান্ডার?

আমি জানি পর্বটা একটু ছোট হয়ে গেছে। সাথে প্রকাশিত করতেও একটু দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু চিন্তা নেই, পরের পর্ব যথেষ্ট বড় হবে।

208 Views
5 Likes
1 Comments
5.0 Rating
Rate this: