ওমির মা বাড়িতে হাজির বাড়িতে এসে যেন বাড়ি মাথায় তুলে নাচছে । কে আসছে এই মোল্লা বাড়িতে ,, তাড়াতাড়ি আমার কাছে আসতে বল । এ মোল্লাবাড়ি সব সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য এই বাড়িতে আসছে আমি বুঝতে পারছি । না না তা হবে না আমি থাকতে আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগতে আমি দেবো না ।
মোল্লা সাব : কে আসছে আমার বাড়িতে এত হইচই কেন বাহিরে ,,, ওহ বিয়ানি আসছেন । তা এত কুকুরের মত ঘেও ঘেও শুরু করছেন কেন সকাল সকাল ।
ওমির মা : ইসরাক দেখছো বাবা তোমার বাবা আমাকে কেমন করে অপমান করল আমি নাকি কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করছি । আমি খান বংশের মেয়ে এত বড় অপমান আমাকে তোমার বাবা কেমন করে করল । আমার মেয়েকে আমি আজকেই নিয়ে যাব ।
আশিক : আপনারা সবাই চুপ করেন তো এই তামিমা আপু ,,আশিক ভাই এখানে আসোই দেখে যা আমাদের সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে । টিভিতে দেখে যা কি দেখাচ্ছে ।
সবাই টিভির সামনে আসলো ,,, এসে তো সবাই হা করে আছে ,, নিউজে দেখাচ্ছে মোল্লা সাব বিয়ে করেছে বুড়া বয়সে । আরও অনেক কিছু দিয়ে নিউজ বের করছে সাংবাদিকরা । সবাই যেন মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ।
আর উপরে সেই মহিলা মৌ এগুলো দেখে একটু মুশকি হাসলো ।
("এখানে কি রহস্য লুকিয়ে আছে আমরা গল্পের শেষে জানতে পারবো সব জানার জন্য সবাইকে পাশে থাকার অনুরোধ রইলো " )
মোল্লা সাব ফিটফাট হয়ে বের হচ্ছে বাহিরে যাওয়ার জন্য ।
ইসরাক : বাবা তুমি কই যাও এই টাইমে । তুমি জানো না এখন তুমি ভাইরাল হয়ে গিয়েছো । যেখানে যাবে সেখানেই সাংবাদিক ঘুরবে তোমার পেছন পেছন । বাড়িতেই থাকো ।
মোল্লা সাব : আমি যদি বাড়িতে বসে থাকি তাহলে তোদেরকে না খেয়ে মরতে হবে । কোম্পানি সব লসে পড়ে যাবে ,, দেউলিয়া হয়ে যাব । তোরাও বাড়িতে বসে আছিস কেন ? তোদের এত লজ্জা কেন ? যে যা বলুক কারো কথা কানে নিবি না । আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করছি । ঘরে না বসে থেকে যার যার কাজে যা ।
আশিক : হ্যাঁ যাও সাবধানে যেও আমি এক ঘন্টা পর আসি। তোমার জন্য লজ্জায় বসে থাকলে তো আর আমরা খাবার পাবোনা ।
মোল্লা সাব : তোরা ঝগড়া বিবাদ কম করিস বাড়িতে আর মৌকে কিছু বলিস না ,, তার কোন দোষ নেই আমি তাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসছি । এখন থেকে এবাড়ির সদস্য সেও একজন ।
ইসরাক : মৌ আবার কে ? ওই মহিলার কথা বলছো কি ?
মোল্লা সাব : আরে ওই মহিলা কাকে বলিস ওটা তোদের নতুন মা আমি তো তোদেরকে একবারই বলে দিয়েছি ,,,।
আশিক : আচ্ছা বাবা ঐ মহিলা কি তোমাকে জাদু টোনা করছে তুমি তাকে ছাড়া কিছু বলছো না । আমাদের কথা তুমি কেন ভাবোনি । কাল থেকে আমার ইন্টার পরীক্ষা ,, লজ্জায় ঘরে বসে থাকলে কি আমার পরীক্ষা দেওয়া হবে ।
মোল্লা সাব : কাল থেকে পরীক্ষা তো এখানে কি করিস যা পড়তে বস । আর কাল থেকে পরীক্ষা তো পরীক্ষা দিতে যাবি ।
আশিক: ধুর তোমার সাথে আর কথা বলতে ভালো লাগে না । আজ মা বেঁচে থাকলে এই দিন দেখতে হতো না আমাদের । এই বলে আশিক তারঘরে চলে গেল ।
মোল্লা সবও বাহিরে চলে গেল কাজের উদ্দেশ্যে ।
ওমির মা : আমার মেয়ের একি ঝামেলা ঘাড়ে এসে পরল ,, আর মাত্র দুমাস ডেলিভারির এই ঝামেলার মধ্যে কেমন হবে। এগুলো ওমির মা ভাবছে ,, ।
ওমি : মা চলো তো এই বাড়ি থেকে আমরা চলে যাই আমি আর পারছিনা এদের ঝামেলা নিতে ।
ওমির মা বলল ওমিকে চল ঔদিকে তোর সাথে কথা আছে,, এই বলে ওমি আর তার মা ঘরে গেল । ওমিকে ঘরে নিয়ে বলল তুই কি পাগল নাকি এত সম্পত্তি এত কুটিকুটি টাকা পয়সা রেখে তুই এখান থেকে চলে যাবি পরে ওই মহিলা সব নিজের নামে লিখে নিয়ে বুড়োকে ছেড়ে চলে যাবে সব নিয়ে। এগুলো হতে দেওয়া যাবে না ।
আমার নাতিদের কি হবে তাহলে ,,, আমি তোকে বিয়ে দিয়েছি এবাড়িতে এত বড় সম্পত্তির জন্য । তুই যেন রাজরানী হয়ে থাকতে পারিস সেজন্য । একদম যাওয়ার কথা বলবি না । আমি তো এসেই পড়ছি এখন তোর ডেলিভারি হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বাড়িতেই থাকব । দেখি কি হয় বাড়িতে । তুই শুধু নিচিন্তায় থাক আর আমার নাতিকে দুনিয়াতে আসতে দে ।
ফারিহা : মা আমি স্কুলে যাব আমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে না চাচ্চু ।
ওমি : আজকে না গেলি মা ,,, একদিন না গেলে কিছু হবে না ।
ফারিহা : না মা আজকে স্কুলে যেতে হবে ,, তুমি কি ভুলে গেছো আজকে আমাদের পরীক্ষা । আজকে তো ম্যাডাম বলছে কিসের পরীক্ষা যেন নিবে । তুমি বলো না চাচ্চু কে নিয়ে যেতে ।
ওমি আশিককে ডাক দিল আশিক ডাক শুনে ওমির ঘরে আসলো ,,,ওমি ফারিহা কে স্কুলে দিয়ে আসতে বলল । আশিক মুখের ওপর না করে দিল । ফারিহা বারবার তার চাচাকে বলতে লাগলো চাচ্চু আমাকে নিয়ে যাও নয় আমি কান্না করব । ফারিহাকে সবাই অনেক আদর করে যেন সবার কলিজার টুকরা ফারিহা । আশিক ফারিহাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেল ।
স্কুলে যাওয়ার পথে আশিকের বন্ধুদের সাথে দেখা হল ,,,
আশিকের বন্ধুরা এবার কি বলবে আশিক কে আশিকের বাবার বিয়ের ব্যাপারে?
চলবে,,,