ডিজিটাল প্রেম (পাট ২ )

পলাশ: (একটি কফি শপে অপেক্ষা করছে) অনিয়া এখন আসবে। আশা করি, বাস্তবেও আমাদের সম্পর্কটা এতই মধুর হবে যতটা ভার্চুয়ালে ছিল।

অনিয়া: (কফি শপে প্রবেশ করে) হাই, পলাশ! আমি অনিয়া।

পলাশ: (হাসি) হাই, অনিয়া! অবশেষে আমরা মুখোমুখি। বসো।

অনিয়া: (বসে পড়ে) সত্যিই, ভার্চুয়ালের বাইরে তোমাকে দেখতে অনেক ভালো লাগছে।

পলাশ: (হাসি) তোমাকে দেখে আমারও ভালো লাগছে। কেমন আছো?

অনিয়া: আমি ভালো আছি। তবে একটু নার্ভাস লাগছে।

পলাশ: (হাসি) আমিও। তবে আমরা ধীরে ধীরে সব সামলে নেবো।

অনিয়া: তুমি কীভাবে সময় কাটাও?

পলাশ: আমি প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করি, আর অবসরে বই পড়ি, মুভি দেখি। তুমি?

অনিয়া: আমি একজন ডিজাইনার। ছবির বই আঁকতে ভালোবাসি।

পলাশ: অসাধারণ! তুমি অনেক ক্রিয়েটিভ। তোমার কাজগুলো দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।

অনিয়া: (হাসি) কখনো সময় পেলে দেখিয়ে দেবো। তুমি কী ধরণের বই পড়ো?

পলাশ: সায়েন্স ফিকশন আমার প্রিয়। তবে রোম্যান্টিক উপন্যাসও পড়ি মাঝে মাঝে।

অনিয়া: (মৃদু হাসি) আমি ভাবছিলাম তুমি রোম্যান্স পছন্দ করবে না।

পলাশ: (হাসি) আচ্ছা, তুমি জানোই তো ভার্চুয়াল দুনিয়াতে আমাদের রোম্যান্সের শুরু।

পলাশ: আমরা আজ কোথায় যাবো?

অনিয়া: (ভাবছে) আমি ভাবছিলাম, তোমার পছন্দের একটা জায়গায় যাই।

পলাশ: আমাদের কফি শেষ হলে একটা পার্কে যাবো? সেখানে বসে গল্প করা যাবে।

অনিয়া: ভালো আইডিয়া। চলো তাহলে।

পলাশ: (বসার পরে) তোমার সাথে দেখা হওয়ার আগে আমি ভাবিনি যে ভার্চুয়াল সম্পর্ক এতটা গভীর হতে পারে।

অনিয়া: আমিও তাই ভাবতাম। কিন্তু আমাদের মধ্যে এক বিশেষ সংযোগ ছিল।

পলাশ: ঠিক তাই। তবে আমাদের আরও ভালোভাবে চেনা দরকার।

অনিয়া: একমত। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরকে জানবো।

পলাশ: (মনে মনে) আমি সত্যিই চাই তুমি আমার জীবনের অংশ হও।

অনিয়া: (মনে মনে) পলাশ খুবই ভালো মানুষ। আশা করি আমাদের সম্পর্কটা শক্তিশালী হবে।

পলাশ: আচ্ছা, অনিয়া। আমাদের আজকের সময়টা খুবই সুন্দর ছিল।

অনিয়া: হ্যাঁ, পলাশ। আমি খুবই উপভোগ করেছি।

পলাশ: তাহলে আবার কবে দেখা করবো?

অনিয়া: শীঘ্রই। আমরা কথা বলে ঠিক করবো।

পলাশ: ঠিক আছে। আজকের জন্য ধন্যবাদ, অনিয়া।

অনিয়া: তোমাকেও ধন্যবাদ, পলাশ। শীঘ্রই দেখা হবে।

তাদের সম্পর্ক বাস্তব জীবনেও কেমনভাবে এগোয়, তা জানার জন্য অপেক্ষা করুন পরবর্তী পাঠে।