জীবনে কীছু মানুষ থাকে যাদেরকে ভুলে যাওয়া আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পরে।
ভালোবাসার অপর নাম নাকি ব্যাথা, খুব মিসৃট আর হাশি খুশি একটা মেয়ে হচ্ছে সাদিয়া, ( ছদ্ম নাম) দেখতে তেমন সুন্দরী না, তবে সুন্দরী না হলেও টানা টানা চোখ যেকোনো পুরুষের বুকে তীর ছুড়তে সক্ষম। আর বাকা ঠোঁটের হাসিতে যে কেউ কুপোকাপ হবেই, ১২/১৩ বছর থেকেই অসংখ্য প্রেমের প্রস্তাব পায় সাদিয়া। কিন্তু রিজেক্ট করে দেয় সবাইকে, কারণ ভালোবাসা গরিবের জন্য নয়, সাদিয়াদের সংসারে লোকসংখ্যা ৭ জন, সাদিয়ার বাবা দেলওয়ার সাহেব, একটা অফিসের একজন দারওয়ান, ৫ ছেলে মেয়ে নিয়ে চলতে খুব কস্ট হয়, বড় মেয়েকে বিয়ে দিছে গ্রামের এক কৃষকের সাথে, মেঝ মেয়েটা পালিয়ে গেলো এক ড্রাইভারের সাথে, আর ছেলে দুটো বখাটে বাজে ছেলেদের সাথে মিশে ধ্বংসের পথে। সাদিয়াই একমাত্র তাদের শেষ ভরষা।দশম শ্রেনী পড়ার পরেই, সংসারের অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে, গার্মেন্টসে যোগ দেয়, ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। এর মধ্যে সাদিয়ার গার্মেন্টসের সুপার ভাইজার আসাদের সাথে ভালোই সখ্যতা গড়ে উঠে ওর, এই বন্ধুত্ব্য রুপ নেশ ভালোবাসার। অবশেষে পরিবারের সবাইকে অনেক কস্টে রাজি করিশে চার হাত এক হয়। বিয়ের প্রথম বছর ভালোই কাটে, কিন্তু ঝামেলা শুরু এরপর থেকে, আসাদ সাদিয়াকে ধীরে ধীরে সন্দেহ করতো অযথাই, এই সন্দেহের বসে থাকে প্রায় সময় মারধোর করতো। নিরবে নিঃশব্দে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় ছিলো না সাদিয়ার। একদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে শুতে যায় ও এমন সনয় দরজায় কড়া নাড়ে কেউ, সাদিয়া দরজা খুলতেই একটা মহিলা সামনে দাঁড়ায় কালো বোরখা পড়া, হিজাব বাধা কিন্তু মুখ খোলা গোলগাল চেহারা, সাথে একটা ৪ / ৫ বছর ছেলে। সাদিয়া দরজা খুলতেই জিজ্ঞেস করে এটা কী আসাদের বাসা?
সাদিয়া মাথা দিয়ে হ্যাঁ বলে।মহিলাটা বলে এক গ্লাস পানি হবে??
সাদিয়া ভিতরে বসার জন্য বলে, মহিলাটাকে বসতে দিয়ে পানি নিয়ে আসে এক ঢোকে পানিটা শেষ করে ওর দিয়ে পিপাসুর চোখে আবার তাকায়,আর এক গ্রাস পানি দেয় সাদিয়া, মহিলাটি ধন্যবাদ জানায়, তাদেরকে খেতে দেয় সাদিয়া তারপর জিজ্ঞেস করে আপনি কে বোন? আর আসাদের আপনি কী হন????
মহিলাটি বলতে শুরু করে,,,,
আমার নাম আসমা, আমার বাড়ী পটুয়াখালী (ছদ্ম ঠিকানা) আসাদের সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে, আমাদের কয়েকদিন কথা হয় বন্ধু হিসেবে, তারপর আস্তে আস্তে আমরা রিলেশনে জরিয়ে পড়ি,,, ফ্যামিলির অমতে আমি পালিয়ে এসে আসাদকে বিয়ে করি, ওরে আমার জমানো সমস্ত টাকা পয়সা গয়নাগাটি দিয়ে দেই। একবছর সংসার করার পর আমি প্রেগনেন্ট হই, ও আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বেশ কিছু দিন আগে ওর এক বন্ধুর সাথে আমার দেখা হয় তখন জানতে পারি, ও আর একটা বিয়ে করছে, তাই আমি ওর বন্ধুর কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে এখানে এসেছি, সব কীছু শুনে সাদিয়ার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, কী করবে বুঝতে পারে না। নিজের সমস্ত ঘটনাও খুলে বলে সাদিয়া আসমাকে ওরা পরিকল্পনা করে কীভাবে বেঈমানকে শিক্ষা দেয়া যায়।তারপর সাদিয়া গোস্তো রান্না করে, আসাদ বাড়ী ফিরে আসে, আসমাকে দেখে অবাক হয়ে যায়, সাদিয়া হাসি মুখে আসাদকে বলে আমি সব কীছু মেনে নিয়েছি।
আসমা আপুকে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই, সবাই একসাথে খেতে বসে, ভালো ভালো অনেক খাবার রান্না হয়েছে, সবাই একসাথে খাওয়া শেষ করে, আসমা তার ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। হঠাৎ করে আসাদের মুখ থেকে ফেনা বের হতে শুরু করে। আসাদ চিৎকার করতে চেষ্টা করে, কিন্তু পারেনা।
তখন সাদিয়া আর আসমা হাসতে থাকে, তারাও হঠাৎ মাটিখে লুটিয়ে পড়ে। অন্য দিকে আসনার ছেলেও দুনিয়ায় মায়া ছেড়ে চলে যায় পরোকালে।
একজনের বেইমানীতে একটা পরিবার নিঃশেষ হয়ে যায়।।।।
পরকিয়া
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
170
Views
4
Likes
0
Comments
3.5
Rating