ব্রীজ থেকে যখনই লাফ দিবো । হঠাৎ কেউ পিছন থেকে শার্টের কলার ধরে পিছনের দিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ।
ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়াতে আমি রাস্তায় পড়ে যাই আর হাতের অনেকটা কে*টে যায় । উঠে দাঁড়াতেই যে ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে কিছু বলতে যাবো তার আগেই তার দিকে তাকাতেই আমি অনেক অবাক হয়ে যাই ।
কারন সে ছিল একটা মেয়ে । সেই মেয়েটা বোরখা পড়ে আছে শুধু চোখ গুলো দেখা যাচ্ছে । আমি শুধু অবাক ই হই নি । রীতিমত তার মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ ও খাইছি ।
হাত কে*টে গেছে সেদিকে আমার কোনোই খেয়াল নেই । শুধু ভাবতেছি একটা মেয়ের চোখ গুলো এতো সুন্দর কি করে হতে পারে । যেন সব মায়া তার চোখের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ।
কবি হয়তো তার চোখ দেখেই কবিতা লিখেছিল নাটোরের সেই বনলতা সেনের । তার চোখ এতো সুন্দর হলে না জানি সে কত সুন্দর আর তার মনটাই কত সুন্দর ।
আমার ধ্যান ভাংলো মেয়েটার ঝাঁঝালো কন্ঠের ধমকে । মেয়েটা আমাকে বললো,,,,,,,,
মেয়েটাঃ এই আপনি কি পা*গ*ল । সু*ই*সা*ই*ড করতেছিলেন কেন ।
আমি শুধু মেয়েটার দিকে তাকিয়েই আছি । কি বলছে সেদিকে কোনোই ধ্যান নেই । তারপর মেয়েটা আবার বললো,,,,,,,
মেয়েটাঃ এই আপনি কি কথা বলতে পারেন না ।
আমিঃ হুমম পারি তো ।
মেয়েটাঃ এই তো মুখে কথা ফুটছে । সু*ই*সা*ই*ড করতে ছিলেন কেন ?
আমিঃ তাতে আপনার কি ? আপনি আমাকে বাঁচালেন কেন ?
মেয়েটাঃ ঠিক আছে আর বাঁচাবো না । এখন বলেন ম*র*তে চান কেন ?
আমিঃ ভালোবাসায় ধোঁকা ।
মেয়েটাঃ কিহহ । এই সামান্য কারণে কেউ এরকম ডিসিশন নেয় নাকি ?
আমিঃ এটা আপনার কাছে সামান্য হলেও আমার কাছে অনেক কিছু ।
কথা বলতে বলতে মেয়েটা আমার হাতে খেয়াল করলো । তারপর বললো,,,,,
মেয়েটাঃ আরে আপনার হাত তো অনেকটা কে*টে গেছে । চলেন আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ।
আমিঃ লাগবে না । মনের ক্ষতের কাছে এই ক্ষত টা কিছুই না ।
মেয়েটাঃ রাখেন তো আপনার আবেগি কথা । আগে হসপিটালে চলেন ।
আমার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও মেয়েটা আমাকে জোর করে হসপিটালে নিয়ে গেল । গিয়ে হাতের ট্রিটমেন্ট করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হলো ।
হসপিটালের সব বিল মেয়েটাই দিলো । ডাক্তার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলেছে । তাই বসে আছি । মেয়েটাও আমার পাশে বসে আছে ।
আমি মেয়েটার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছি । তার শুধু চোখ ই দেখতেছি । এতো মায়াবী কী আর বলবো । কি বলবো বুঝতে পারছি না ।
তারপর আমিই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম,,,,,,,,,,
আমিঃ আচ্ছা আপনার নাম টা কি ?
মেয়েটাঃ আমি রিদি । আর আপনি ??
আমিঃ আমি রাজ ।
রিদিঃ আমি আপনাকে দেখেছি ।
আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,,,,,,
আমিঃ কোথায় দেখেছেন ?
রিদিঃ আমাদের ভার্সিটিতে । আপনি সব সময় মনমরা হয়ে একা থাকেন ।
আমিঃ ওহহ আচ্ছা । আপনি কোন ইয়ারে ।
রিদিঃ অনার্স ৪র্থ বর্ষ ।
আমি বির বির করে বলছি,,,
আমিঃ খাইছে রে আমারে,,এমনিতেই তার মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ খেয়ে বসে আছি তার উপর আবার আমার সিনিয়র হয়ে দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছে ।
রিদিঃ কি বির বির করছেন ?
আমিঃ কিছু না ।
রিদিঃ হুমম । আপনি কোন ইয়ারে পড়েন ।
এই যাহহ এই বার সব বলে দিতে হবে । আমার চুপ থাকা দেখে রিদি আবার বললো,,,,,,
রিদিঃ কি হলো চুপ করে আছেন কেন ? বলেন কোন ইয়ারে পড়েন ?
আমিঃ জ্বি । অনার্স ২য় বর্ষ ।
রিদিঃ ওহহ জুনিয়র ।
আমিঃ হুমম ।
রিদিঃ এই বয়সে প্রেম । তার উপর আবার সু*ই*সা*ই*ড । বাহহ ।
আমি একটু মুচকি হাসলাম । এই তিন মাস পর একটু হাসলাম । তাও রিদির জন্য ।
তারপর হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসলাম । রিদি আমাকে বললো,,,,,,
রিদিঃ তুমি কোথায় থাকো । চলো তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসি ।
আমিঃ না আমি একা যেতে পারবো ।
রিদিঃ তুমি আমার ছোট তাই তুমি করে বললাম কিছু মনে করো না ।
আমিঃ সমস্যা নেই । আমিও তুমি করে বলতেই বলতাম । আপনিই বলে দিছেন ভালোই হলো ।
রিদিঃ ধন্যবাদ । আচ্ছা তোমার নাম্বার টা দিবে প্লিজ ?
আমিঃ কেন ?
রিদিঃ সেটা ফোনেই বলবো । প্লিজ ।
আমিঃ ওকে 019*********27
রিদিঃ ধন্যবাদ ।
আমিঃ জ্বি আল্লাহ হাফেজ ।
রিদিঃ আল্লাহ হাফেজ ।
তারপর রিদিকে বিদাই জানিয়ে আমি একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । কলিং বেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিলো ।
আমার হাতে ব্যান্ডেজ দেখে আম্মু উতলা হয়ে বলতে শুরু করলো,,,,,,,,
আম্মুঃ রাজ কি হইছে বাবা তো । হাতে কিভাবে আঘাত পেলি ।
আমিঃ কিছু না আম্মু ছোট্ট একটা এ*ক*সি*ডে*ন্ট ।
আম্মুঃ কিহহ । কেমনে ?
তারপর আমি আম্মুকে অনেক বুঝিয়ে নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এলাম । তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে অনেক ক্লান্ত লাগছে । তাই ঘুমিয়ে পড়লাম ।
সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোন হাতে নিলাম । হাতে নিয়ে দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।
MD.BISHAL
vai late kano