...

মায়াবী চোখ গুলো

...
রাকিব হোসেন
...
...
20-Oct-2024, 12:57 PM
...

117

...

20

...

5.0(7)

ক্যাটাগরি : রোমান্টিক গল্প

ব্রীজ থেকে যখনই লাফ দিবো । হঠাৎ কেউ পিছন থেকে শার্টের কলার ধরে পিছনের দিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ।

ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়াতে আমি রাস্তায় পড়ে যাই আর হাতের অনেকটা কে*টে যায় । উঠে দাঁড়াতেই যে ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে কিছু বলতে যাবো তার আগেই তার দিকে তাকাতেই আমি অনেক অবাক হয়ে যাই ।

কারন সে ছিল একটা মেয়ে । সেই মেয়েটা বোরখা পড়ে আছে শুধু চোখ গুলো দেখা যাচ্ছে । আমি শুধু অবাক ই হই নি । রীতিমত তার মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ ও খাইছি ।

হাত কে*টে গেছে সেদিকে আমার কোনোই খেয়াল নেই । শুধু ভাবতেছি একটা মেয়ের চোখ গুলো এতো সুন্দর কি করে হতে পারে । যেন সব মায়া তার চোখের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ।

কবি হয়তো তার চোখ দেখেই কবিতা লিখেছিল নাটোরের সেই বনলতা সেনের । তার চোখ এতো সুন্দর হলে না জানি সে কত সুন্দর আর তার মনটাই কত সুন্দর ।

আমার ধ্যান ভাংলো মেয়েটার ঝাঁঝালো কন্ঠের ধমকে । মেয়েটা আমাকে বললো,,,,,,,,

মেয়েটাঃ এই আপনি কি পা*গ*ল । সু*ই*সা*ই*ড করতেছিলেন কেন ।

আমি শুধু মেয়েটার দিকে তাকিয়েই আছি । কি বলছে সেদিকে কোনোই ধ্যান নেই । তারপর মেয়েটা আবার বললো,,,,,,,

মেয়েটাঃ এই আপনি কি কথা বলতে পারেন না ।

আমিঃ হুমম পারি তো ।

মেয়েটাঃ এই তো মুখে কথা ফুটছে । সু*ই*সা*ই*ড করতে ছিলেন কেন ?

আমিঃ তাতে আপনার কি ? আপনি আমাকে বাঁচালেন কেন ?

মেয়েটাঃ ঠিক আছে আর বাঁচাবো না । এখন বলেন ম*র*তে চান কেন ?

আমিঃ ভালোবাসায় ধোঁকা ।

মেয়েটাঃ কিহহ । এই সামান্য কারণে কেউ এরকম ডিসিশন নেয় নাকি ?

আমিঃ এটা আপনার কাছে সামান্য হলেও আমার কাছে অনেক কিছু ।

কথা বলতে বলতে মেয়েটা আমার হাতে খেয়াল করলো । তারপর বললো,,,,,

মেয়েটাঃ আরে আপনার হাত তো অনেকটা কে*টে গেছে । চলেন আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ।

আমিঃ লাগবে না । মনের ক্ষতের কাছে এই ক্ষত টা কিছুই না ।

মেয়েটাঃ রাখেন তো আপনার আবেগি কথা । আগে হসপিটালে চলেন ।

আমার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও মেয়েটা আমাকে জোর করে হসপিটালে নিয়ে গেল । গিয়ে হাতের ট্রিটমেন্ট করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হলো ।

হসপিটালের সব বিল মেয়েটাই দিলো । ডাক্তার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলেছে । তাই বসে আছি । মেয়েটাও আমার পাশে বসে আছে ।

আমি মেয়েটার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছি । তার শুধু চোখ ই দেখতেছি । এতো মায়াবী কী আর বলবো । কি বলবো বুঝতে পারছি না ।

তারপর আমিই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম,,,,,,,,,,

আমিঃ আচ্ছা আপনার নাম টা কি ?

মেয়েটাঃ আমি রিদি । আর আপনি ??

আমিঃ আমি রাজ ।

রিদিঃ আমি আপনাকে দেখেছি ।

আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,,,,,,

আমিঃ কোথায় দেখেছেন ?

রিদিঃ আমাদের ভার্সিটিতে । আপনি সব সময় মনমরা হয়ে একা থাকেন ।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা । আপনি কোন ইয়ারে ।

রিদিঃ অনার্স ৪র্থ বর্ষ ।

আমি বির বির করে বলছি,,,

আমিঃ খাইছে রে আমারে,,এমনিতেই তার মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ খেয়ে বসে আছি তার উপর আবার আমার সিনিয়র হয়ে দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছে ।

রিদিঃ কি বির বির করছেন ?

আমিঃ কিছু না ।

রিদিঃ হুমম । আপনি কোন ইয়ারে পড়েন ।

এই যাহহ এই বার সব বলে দিতে হবে । আমার চুপ থাকা দেখে রিদি আবার বললো,,,,,,

রিদিঃ কি হলো চুপ করে আছেন কেন ? বলেন কোন ইয়ারে পড়েন ?

আমিঃ জ্বি । অনার্স ২য় বর্ষ ।

রিদিঃ ওহহ জুনিয়র ।

আমিঃ হুমম ।

রিদিঃ এই বয়সে প্রেম । তার উপর আবার সু*ই*সা*ই*ড । বাহহ ।

আমি একটু মুচকি হাসলাম । এই তিন মাস পর একটু হাসলাম । তাও রিদির জন্য ।

তারপর হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসলাম । রিদি আমাকে বললো,,,,,,

রিদিঃ তুমি কোথায় থাকো । চলো তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসি ।

আমিঃ না আমি একা যেতে পারবো ।

রিদিঃ তুমি আমার ছোট তাই তুমি করে বললাম কিছু মনে করো না ।

আমিঃ সমস্যা নেই । আমিও তুমি করে বলতেই বলতাম । আপনিই বলে দিছেন ভালোই হলো ।

রিদিঃ ধন্যবাদ । আচ্ছা তোমার নাম্বার টা দিবে প্লিজ ?

আমিঃ কেন ?

রিদিঃ সেটা ফোনেই বলবো । প্লিজ ।

আমিঃ ওকে 019*********27

রিদিঃ ধন্যবাদ ।

আমিঃ জ্বি আল্লাহ হাফেজ ।

রিদিঃ আল্লাহ হাফেজ ।

তারপর রিদিকে বিদাই জানিয়ে আমি একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । কলিং বেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিলো ।

আমার হাতে ব্যান্ডেজ দেখে আম্মু উতলা হয়ে বলতে শুরু করলো,,,,,,,,

আম্মুঃ রাজ কি হইছে বাবা তো । হাতে কিভাবে আঘাত পেলি ।

আমিঃ কিছু না আম্মু ছোট্ট একটা এ*ক*সি*ডে*ন্ট ।

আম্মুঃ কিহহ । কেমনে ?

তারপর আমি আম্মুকে অনেক বুঝিয়ে নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এলাম । তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে অনেক ক্লান্ত লাগছে । তাই ঘুমিয়ে পড়লাম ।

সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোন হাতে নিলাম । হাতে নিয়ে দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।


মন্তব্য

রেটিং দিন

সকল মন্তব্যগুলো (1)
user
MD.BISHAL

vai late kano

সকল পর্ব

পার্ট: 1
...
রাকিব হোসেন
...
...

18

...

1

...

5.0(9)

17-Oct-2024 , 10:37 AM
পার্ট: 2
...
রাকিব হোসেন
...
...

20

...

1

...

5.0(7)

20-Oct-2024 , 12:57 PM
পার্ট: 3
...
রাকিব হোসেন
...
...

9

...

2

...

4.8(5)

23-Oct-2024 , 11:09 AM
পার্ট: 4
...
রাকিব হোসেন
...
...

7

...

1

...

5.0(4)

24-Oct-2024 , 03:58 PM
পার্ট: 5
...
রাকিব হোসেন
...
...

8

...

1

...

5.0(5)

25-Oct-2024 , 11:11 AM
পার্ট: 6
...
রাকিব হোসেন
...
...

7

...

1

...

4.8(5)

26-Oct-2024 , 10:16 PM
পার্ট: 8
...
রাকিব হোসেন
...
...

5

...

0

...

5.0(3)

28-Oct-2024 , 08:16 PM
পার্ট: 9
...
রাকিব হোসেন
...
...

4

...

0

...

5.0(2)

31-Oct-2024 , 09:15 PM
পার্ট: 10
...
রাকিব হোসেন
...
...

3

...

0

...

5.0(1)

01-Nov-2024 , 02:50 PM
পার্ট: 11
...
রাকিব হোসেন
...
...

5

...

0

...

3.5(2)

02-Nov-2024 , 11:16 AM
পার্ট: 12
...
রাকিব হোসেন
...
...

2

...

0

...

5.0(1)

03-Nov-2024 , 10:00 AM
পার্ট: 13
...
রাকিব হোসেন
...
...

6

...

0

...

4.0(2)

05-Nov-2024 , 04:46 PM
পার্ট: 14
...
রাকিব হোসেন
...
...

5

...

1

...

5.0(3)

07-Nov-2024 , 11:11 PM
পার্ট: 15
...
রাকিব হোসেন
...
...

6

...

2

...

4.3(3)

08-Nov-2024 , 11:40 PM
পার্ট: 16
...
রাকিব হোসেন
...
...

3

...

0

...

4.0(1)

10-Nov-2024 , 12:25 PM
পার্ট: 17
...
রাকিব হোসেন
...
...

5

...

0

...

5.0(3)

12-Nov-2024 , 12:37 AM
পার্ট: 18
...
রাকিব হোসেন
...
...

3

...

0

...

5.0(1)

13-Nov-2024 , 10:40 AM