আমি রাহাত। একদিন রাতের কথা আমাদের এলাকা থেকে কয়েক এলাকা পর কিছুদিন পর মেলা হবে ।
আমি আর আমার বন্ধু মিজান এখন থেকেই ভাবছি এবার দুজনে মেলাতে যাবো । কিন্তু আমাদের কাছে কোন টাকা ছিলোনা । কিভাবে টাকা জোগাড় করা যায় সেই কথাই ভাবছিলাম দুজনে । এমন সময় মিজান বললো ।
মিজান: রাহাত এখন তো ধান কাটার সিজন চল আমরা একদিন ধান কারো ধান কেটে দেই , তারপর যে টাকা পাবো ওইটা দিয়ে ভালোভাবেই মেলাতে গিয়ে আড্ডা দিতে পারবো এবং পেটপুরে খেতে পারবো ,,
আমি: অনেকক্ষণ ভেবে বললাম ভালো আইডিয়া। চল কালকে তাহলে ধান কেটে দেই ,
পরের দিন পাড়া প্রতিবেশী এক চাচার ক্ষেতের ধান কেটে দিলাম দুজনে বিনিময়ে সে আমাদেরকে অনেক গুলো টাকা দিলো ।।
চলো আসলো মেলার দিন , সন্ধ্যার পর আমরা দুজনে মেলাতে চলে গেলাম। মেলাতে অনেক ঘোরাঘুরি করলাম অনেক কিছু খেলাম। এভাবে কখন রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে আমরা বুঝতে পারি নাই । এদিকে আবার ঘোরাঘুরি করে আড্ডা দিতে দিতে সব টাকাও শেষ হয়ে গিয়েছে । এবার আমাদের বাড়ি ফেরার পালা । এদিকে রাত এগারোটা বেজে গেছে আবার আমাদের কাছে কোন টাকাও নেই। এখন আসবো কিভাবে বুঝতে এই নিয়ে ভাবছিলাম,, তখন মিজানকে বললাম
আমি : রাত অনেক বেজে গেছে তাছাড়া আমাদের কাছে কোন টাকা নেই । চলো আমরা হেঁটে হেঁটে চলে যাই ।
মিজান: মিজান একটু সময় ভেবে আমার কথার সাথে একমত পোষণ করলো ।
দুজনে হেঁটে হেঁটে বাড়ির দিকে আসতেছি । বাড়িতে আসতে প্রায় দেড় ঘন্টার মতো সময় লাগবে। চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ মিনিট হাঁটার পর হটাৎ আকাশে মেঘের গর্জন শুনতে পেলাম। মনে হয় বৃষ্টি আসবে।
এখন আমাদের সামনে দুটো রাস্তা রয়েছে। একটা রাস্তা দিয়ে আসতে ২০ মিনিট লাগবে আরেকটাতে আসতে চল্লিশ মিনিট লাগবে। কিন্তু শুনেছি বিশ মিনিটের রাস্তায় নাকি রাত বারোটার পর অনেক বিপদের মুখোমুখি হতে হয়,, এমন সময় মিজান বললো
মিজান: রাহাত আকাশের অবস্থা ভালো না যেকোন সময় বৃষ্টি আসবে,, চল আমরা বিশ মিনিটের রাস্তায় চলে যাই । তাছাড়া বৃষ্টিতে ভিজলে আমাদের ঠান্ডা জ্বর হবে ।
আমি: না এ রাস্তায় যাওয়া যাবেনা। শুনেছি এই রাস্তা নাকি অনেক বিপদজনক।
মিজান আমার কোন কথা না শুনে এই রাস্তায়ই যেতে লাগলো,, আমি মনে মনে ভাবলাম মিজান আমার কথা শুনবে না । আমিও মিজানের সাথেই যাই যদি কোন বিপদ আসে দুজনে মোকাবেলা করবো ।
কিছুদূর যেতেই সামনে একটা বড় মাঠ পরলো । সেখানে হটাৎ করে একজন কাউকে দেখতে পেলাম মিজান কে বলবো এমন সময় সে উধাও হয়ে গেলো কিছু না বলে সামনের দিকে যেতে লাগলাম। সামনে একটি নদী । নদীর পানি কম হওয়ায় আমাদের প্যান্ট উপরের দিকে উঠিয়ে নদী দিয়েই যেতে লাগলাম। হটাৎ একটি বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। মিজান কে বললাম.
আমি: তুই কি কিছু শুনতে পাচ্ছিস ??
মিজান: হুম একটি বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।
দুজনেই সেই আওয়াজের দিকে তাকালাম দেখি একটি ছোট বাচ্চা কান্না করছে । সাথে সাথেই বাচ্চাটি একটি বিড়ালের আঁকার ধারন করলো । একবার বাচ্চা একবার বিড়াল এভাবে করতে লাগলো।।
দুজন কিছু না ভেবে একটা চিৎকার দিয়ে সামনের দিকে দৌড়াতে লাগলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে একটা বাড়ির সামনে আসলাম। সেখানে একটু দাঁড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি অনেক বড় আকারের একজন লোক আমাদের দিকে আসছে। এটা দেখে দুজনেই সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। পড়ে কি হয়েছে কিছু মনে নেই ।
পরের দিন সকালে যখন চোখ খুললাম দেখলাম আমি বিছানায় শুয়ে আছি। আর ভাবলাম এটা আমার একটা দুঃস্বপ্ন ছিলো।
ভয়ানক রাতের কথা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
182
Views
7
Likes
0
Comments
4.7
Rating