ভালোবাসার সমাধি

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
মৌ:- প্রিয়া ওই ছেলেটা আবারো দাঁড়িয়ে আছে।
প্রিয়া:- কেউ কোন কথা বলবি না। চুপচাপ চলে যাবো।
উর্মি:-ইস তুই কথা বলবি না। তাতে আমাদের কি? ছেলেটি দেখতে খারাপ না?
নীলা:- ছেলেটা কিন্তু দারুণ রে! উফ কি হট আধুনিক স্টাইলিশ।
প্রিয়া:-তোর যখন এতটাই পছন্দ তুই কর?
উর্মি নীলার কোমরে একটা চড় দিয়ে বলল- শালী ওকে আমার পছন্দ?
নীলা:-তোর পছন্দ হলে নিষেধ করছে কে গিয়ে পটিয়ে নে?
উর্মি:-তখন তো প্রিয়ার জ্বলবে?
প্রিয়া:-দয়া করে ফালতু কথা বন্দ কর তো।

রানা, তাসনিম আর রনি রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়ে আছে। প্রিয়া কে কাছে আসতে দেখেই রানা, একটুখানি সামনে এগিয়ে গেল।

রানা:- প্রিয়া! একটুখানি দাঁড়াও

প্রিয়া জোরে জোরে হাঁটতে শুরু করল।
বলল-সময় নেই?
রানা:- প্লিজ মাত্র দুই মিনিট কথা বলো না?

প্রিয়া জোরে জোরে হাঁটতে দেখে। উর্মি হাত ধরে টেনে স্থির করে দিল। প্রিয়া রাগি চোখে উর্মি দিকে তাকিয়ে থামল।

প্রিয়া:- কি বলবেন তারাতাড়ি বলুন?
রানা:-তুমি কেন আমার সাথে এমন করো? তুমি কি জানো না আমি তোমাকে কতটা..,
প্রিয়া:- ব্যস,হ‌ইছে আর বলতে হবে না।
আমি জানি সব কিছুই। দয়া করে আর কখনো আমাকে বিরক্ত করবেন না?

বলেই প্রিয়া হাঁটতে শুরু করলো। রানা পাথরের মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু অপলক দৃষ্টিতে প্রিয়ার দিয়ে চেয়ে রইল।

নীলা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল-আহারে বেচারা?

রনি এসে বলল-কি কিছু বলতে পারছো?
তাসনিম:- মনে হয় কোন লাভ হয়নি?
দেখ না চেহারা কিভাবে ভুতুম পেঁচা হয়েছে।

রানা অনেক কষ্টে একটুখানি হাসি এনে

বলল-দূর কিযে বলো না।আজ নয়তো কাল ঠিকই পটিয়ে নিব।

রানা, তাসনিম আর রনি তিন জনে ক্লাসমেট। ওরা ইন্টারে পড়ে।আর প্রিয়া ওরা টেনে পড়ে।

বিকেলে আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে রানা সাথে তাসনিম।
প্রিয়া দেখেই বললো দেখ এই ছেলেটা কতটা নির্লজ্জ।
আবার এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, বেহায়া একটা। ওরে উচিত শিক্ষা দিতে হবেই।
প্রিয়া কাছে আসতেই রানা বলল-
প্রিয়া একটুখানি দাঁড়াও না?

প্রিয়া দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু রাগে আগুন হয়ে গেছে।সব সময় বিরক্ত করে একটা শিক্ষা দিতে হবেই।

প্রিয়া বলল-কি বলবেন বলুন?
রানা:- আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই কেন বুঝ না?
আমি তোমাকে ভালোবাসি কেন বুঝতে পারছো না?
প্রিয়া অনেক রেগে বলল-
তুই একটা লম্পট, চরিত্রহীন ছেলে।
তোর কাজ হলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের বিরক্ত করা।
তুই বড়ো লোকের ছেলে তাই যা ইচ্ছা করবি?
আমরা গরিব বলে মানুষ না?
রানা:- প্রিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি! প্রচন্ড ভালোবাসি।নিজের থেকেও বেশি।
প্রিয়া:-আমি তোকে ভালোবাসি না ঘৃণা করি। আর যদি আমার দিকে তাকাও তোর চোখ আমি তুলে নিব।
রানা:-প্রিয়া আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। প্লিজ তুমি এভাবে বল না ।

প্রিয়া অনেক রেগে হেঁটে চলে আসলো।
মৌ, উর্মি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।

মৌ বলল- একটু বেশি হয়ে গেল না?
প্রিয়া:-বেশি না কম হয়েছে ওরে থাপ্পড় দিয়ে প্রেমের ভুত নামিয়ে দেয়া উচিত ছিল।
উর্মি:-তারপর তোর এতটা খারাপ ব্যবহার উচিত হয়নি। ও তোকে কতটা পছন্দ করে,তা সবাই জানে।
প্রিয়া:- ওর বিষয়ে আর একটা কথা বললে আমি কিন্তু এখন চলে যাবো।

সবাই চুপ হয়ে রইল আর মনে মনে ভাবছে। রানা কে এভাবে অপমান না করলেও পারতে। বেচারা কতটা ভালোবাসে ওকে।

রানা প্রচন্ড কষ্ট আর ঘৃণায় চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে।
কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
নিজেকে পৃথিবীতে কখনো এতটা অসহায় লাগে নি।
আজকে প্রথম অনুভব করলো। কষ্ট কতটা গভীর হয়। প্রিয়ার কথাগুলো কানে বাজছে।
তাসনিম রানা কে জড়িয়ে ধরে বলল-

চল না ভাই? যথেষ্ট পরিমাণে হয়েছে।
রানা তাসনিম কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো বলল-
ভাই আমি ওরে ছাড়া বাঁচব না? আমি ওরে অনেক বেশি ভালোবাসি।
তাসনিম:- ঠিক আছে এখন বাড়িতে চল।

দুজনে চলে আসলো, রানা প্রিয়ার কথাগুলো মনে করে কাঁদছে।
প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে, কেন বুঝতে চাওনা তোকে কতটা ভালবাসি?
কেন আমাকে এভাবে কষ্ট দাও তুমি?

রানা ভাবছে হয়তো আমার ভুল ছিলো।
ওরে দেখার জন্য পাগলের মত সব খানে পিছু করেছি। ওকে অনেক বেশি বিরক্ত করেছি। তাই হয়তো রেগে আছে ঠিক আছে আর কখনো সামনে যাবো না, বিরক্ত করবো না। শুধু দূর থেকেই এক নজর দেখবো।

প্রিয়ার মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেল। মৌ, উর্মি বলেছে ও নাকি খুব বেশি ব্যাজে ব্যবহার করেছে। ওর বান্ধবীরা শুধু ওর দোষ টাই দেখলো। রানা যে ওকে সব সময় বিরক্ত করে।সব সময় সবার ভিতরে পিছু ছুটে। সেটা কেউ দেখলো না।ওর জন্য যে আমি ঠিক মতো ইস্কুলে যেতে পারি না, রাস্তায় যেতে পারি না,ওর জন্য কোন বন্ধু বান্ধবী সাথে কোথায় যেতে পারি না ।সবখানে আমাকে বিরক্ত করে।ও আমার জীবনটা নরক বানিয়ে ফেলেছে। আমি ঠিক করেছি এরপর সামনে আসলে।চড় দিয়ে গাল লাল করে দিব। কিন্তু প্রিয়ার কেমন জানি খারাপ লাগে। কখন এভাবে কাউকে অপমান করেনি। আবার ভাবছে হয়তো বেশি বলেছি। ঠিক আছে ওর জন্য এটাই দরকার ছিল।

পর দিন ভোরে প্রিয়া,মৌ, উর্মি ইস্কুলে যায়। কিন্তু আজকেও রানা কে দেখলো। রাস্তার পাশে একটা দোকানে বসে আছে।
প্রিয়া:- বলল দেখ কতটা নির্লজ্জ বেহায়া? কালকে এতো গালি দেয়ার পরো আজকে আসছে। আজকে যদি সামনে আসে ওরে জুতা দিয়ে পিটিয়ে ভালোবাসা ছুটিয়ে দিব।

মৌ, উর্মি টেনশনে আছে জানি না আজকে কি হবে। রানা না আসলে মনে হয় ভালো হতো।
রানা দোকানে বসে প্রিয়ার দিয়ে করুন ভাবে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে পৃথিবী সব চেয়ে বেশি অসহায় মানুষটি। তার মনিবের কাছে কিছু চাইতে এসেছে।কিন্তু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
রানা বলল-মামা একটা কড়া করে চা বানিয়ে দাও।

পরদিন... থেকে..,

হঠাৎ করেই রানার কোন খোঁজ খবর নাই।
কিছুদিন হলো রাস্তায় আসে না। কলেজে যায় না। রনি, তাসনিম কারো সাথে যোগাযোগ নেই ফোন বন্ধ। তাসনিম বাজারে দেখলো।
একটা দোকানে মৌ দাঁড়িয়ে আছে।
তাসনিম কাছে গিয়ে বলল- মৌ কেমন আছো?
মৌ:- ভালো। আপনি কেমন আছেন?
তাসনিম:- হুম ভাল আছি।
রানার খবর জানো। প্রিয়ার সাথে কিছু হয়েছে নাকি?
মৌ:- কি খবর? কি হয়েছে রানা ভাইয়ের?
তাসনিম:‍- না, আসলে অনেক দিন হলো কলেজে আসে না। ফোন বন্ধ, কোন খোঁজ নাই না।
মৌ:- প্রিয়ার সাথে কিছু হয়েছে কিনা জানিনা। তবে আমরাও তাকে দেখি না।
তাসনিম:- আচ্ছা ঠিক আছে। পড়ে কথা বলবো।
মৌ:- বাসায় গিয়েছিলেন?
তাসনিম:-না, এখন যেতে চাই।

তাসনিম, রনি রানার বাসায় চলে গেল। রানা ঘুমে ছিল। কথা বললো কি হয়েছে কলেজে যাওনি কেন?
রানা:- মানসিক ভাবে অসুস্থ আছি। কিছু দিন একা থাকতে চাই?
তাসনিম:- তুই একা থাকলে আরো বেশি কষ্ট হবে তো।
তার চেয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা কর।
রানা:-আমার কিছু ভালো লাগে না। শুধু একটু একা থাকতে চাই। কিছু দিন আমাকে একা থাকতে দে?
রানার বাবা এসে বলল- ওর কি হয়েছে আমার সাথে তো কিছুই বলে না? শুধু সারা দিন ঘরে বসে টিভি দেখে আর ঘুমায়।
রনি:-আংকেল আমি জানি না, আমার সাথে তেমন কিছু বলে নি।
আংকেল:- মনে হয় আমাকে বলবে না?
তাসনিম:- আংকেল এখন আমরা আসি।ও কিছু দিন একা থাকুক।

প্রিয়া এতো দিন খুব বেশি শান্তিতে ছিল। উন্মুক্ত একটা জীবন ছিল।
তাকে বিরক্ত করার কেউ নেই। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রানা বিরক্ত করছে না।
তাই ভাবছে প্রেমের ভুত মাথা থেকে নেমে গেছে।
কিন্তু আজকে ভোরে হঠাৎ করেই দেখলো রানা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
প্রিয়া কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।

রানা:- বলল- প্রিয়া একটুখানি কথা শোন ?

প্রিয়া খুব দ্রুত হেঁটে যেতে চাইলো।
রানা দৌড়ে গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে বলল-

প্রিয়া আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না? প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিওনা। আমি তোমাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। তোমার পায়ে পড়ি আমাকে ছেড়ে যেওনা।

প্রিয়া দ্রুত চলে যেতে চাইলো ।রানার কোন কথাই শোনে না। রানা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। নিজের অজান্তেই প্রিয়ার হাতটা ধরলো। প্রিয়া হাতটা এক ঝটকায় সরিয়ে নিয়ে । একটা থাপ্পর দিয়ে বলল-
গুন্ডা, লম্পট, চরিত্রহীন। মেয়েদের হাত ধরো না। বিরক্ত করো মেয়েদের কে? তোদের জন্মের ঠিক নাই। চার পাশ থেকে কিছু মানুষ চলে আসে বলল-
কি হয়েছে?
প্রিয়া:- এই অসভ্য আমার হাত ধরে টান দিসে।

রানার কোন কথাই কেউ শুনলো না গণ ধোলাই খেয়ে পড়ে আছে। অনেক মানুষের ভিড় দেখে উর্মি ভিতরে চলে গেল। গিয়ে দেখে রানা মাইর খেয়ে পড়ে আছে।জামা কাপড় ছিঁড়ে গেছে। উর্মি নিজের ভাইকে ফোন করে দুজনে নিয়ে আসলো।

রানার বাবা বড় ব্যবসায়ীক সাথে সাথে হসপিটালে নিয়ে গেছে। উর্মির কাছে সব কিছু শুনলো। রানা কে কিছু বলেনি। দুই দিন পর বাড়িতে নিয়ে আসলো।
বিকেলে রানার পাশে বসে মাথায় হাত দিয়ে

বলল- বাবা এখন কেমন আছো?
রানা:-ভালো। রানা চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললো বাবা আমি খুব বড় ভুল করেছি তাই না? তোমার মান-সম্মন নষ্ট করেছি?
বাবা:- এই পৃথিবীতে তোর চেয়ে বেশি আমার কাছে কিছু না। মান সম্মান টাকা পয়সা এগুলো হারিয়ে গেলে পাওয়া যায়। কিন্তু আপন মানুষ হারিয়ে গেলে কোথায় পাবো। তোর মা' মারা যাওয়ার সময় বলেছিল তোর খেয়াল রাখতে। কিন্তু মনে হয় আমি তা পারিনি।
রানা:- বাবা আমি ওরে খুব বেশি ভালোবাসি।
বাবা:- তুমি মাত্র ইন্টারে পড় , এখন তোমার লেখা পড়া করার সময়। ভালোবাসার অনেক সময় পড়ে আছে।
রানা:- বাবা তুমি তো জানো একবার হারিয়ে গেলে আর কখনো পাওয়া যায় না।
বাবা:- তোমার কি স্বপ্ন ছিল? তা কি ভুলে গেছো।
রানা:- আমি চেয়েছি ডাক্তার হতে, গ্রামের মানুষের সেবা করতে।তা ঠিকই পারবো চিন্তা করো না।
বাবা:-দেখো তুমি স্টুডেন্ট ভালো, তোমার বাবার টাকা পয়সা আছে এটা কি তোমার কাছে ভালো সুযোগ নয়? কতো ভালো স্টুডেন্ট লেখা পড়া করতে পারে না।
আর তুমি নিজের জীবন কে নষ্ট করার জন্য ব্যস্ত কেন?
রানা:- বাবা আমি তো লেখা পড়া ছেড়ে দিচ্ছি না?
বাবা:-তোমার স্বপ্ন কে নিজের স্বপ্ন হিসেবে ভেবেছিলাম ‌। তুমি সবার সেবা করবে এটা শুনে ভালো লেগেছিল।
দেখো তোমার কখনো কোন ইচ্ছা অপূর্ণ রাখিনি।
তুমি চাইলে ওই মেয়েকে আমি ব‌উ বানিয়ে দিব।
কিন্তু তাহলে স্বপ্নকে মেরে ফেলতে হবে।
তোমার লেখা পড়া পিছনে কোন টাকা পয়সা দিতে পারবো না। এখন ভেবে দেখো?
রানা:- বাবা! এটা কেন কথা? এটা অন্যায় হবে?
বাবা:- আমি তোমাকে BMW কিনে দিতে চাইছি আর তুমি হিরো নিতে চাও। একটা মানুষ একসঙ্গে দুটো গাড়ি চালাতে পারে না।
তুমি যে কোন একটা বেছে নিতে হবে।
রানা:- ঠিক আছে, আমাকে একা থাকতে দাও তুমি চলে যাও?

রানা রুমের ভিতর শুয়ে আছে চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে। কষ্ট বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আজকে নিজের বাবাকে ও চিন্তে কষ্ট হচ্ছে। কিভাবে নিজের ছেলেকে কষ্ট দিতে পারে। কষ্টগুলো আরো দ্বিগুন হয়ে পিতার দিকে আঙুল তুলছে। সারা দিন না খেয়ে কোথায় যেন চলে গেল। রাতে বাসায় ফিরে আসলো।

রানা অনেক ভেবে বলল- বাবা ঠিক আছে আমি প্রিয়া কে ভুলে যাবো। কিন্তু একটা শর্ত আছে?
বাবা:- কি শর্ত ?
রানা কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না।তাই বলল- পড়ে বলবো।
বাবা:-ঠিক আছে আমি সব শর্ত মেনে নিব।

রানা ক্লাসে যায় ঠিকই কিন্তু লেখা পড়া ভাল লাগে। কোন কিছুই ভালো লাগে না।সব সময় মনে হচ্ছে বুকের ভিতর একটা আগ্নেয়গিরি তৈরি হয়েছে।তাই সব সময় কলিজা টা পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। প্রিয়ার কথা মনে পড়লেই চোখের পানি চলে আসে। নিজের পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অসহায় মনে হচ্ছে। ইচ্ছে করে এই পৃথিবী ছেড়ে কোথায় চলে যেতে।

রানা দূরে দোকানে, রাস্তায় আড়াল থেকে প্রিয়া কে এক নজর দেখেই চলে আসে।
প্রিয়া কে না দেখলে মনে হয় শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। মনে হয় নিজের দেহ থেকে প্রাণটা কোথায় হারিয়ে গেছে। যখন প্রিয়া কে দেখে মনে হয় দেহে নতুন একটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

প্রিয়ার ফাইনাল পরিক্ষা কিন্তু সে পরিক্ষা দিবে না। সবাই কোচিং করে প্রিয়া আসে না।
রানার খুব চিন্তা হলো রনি কে পাঠিয়ে দিল। প্রিয়ার খবর আনতে।
রনি ইস্কুলে গিয়ে মৌ ইশারা ডাকলো..
মৌ:- ভাইয়া কি খবর এখানে?
রনি:- মৌ তোমার কাছে আসলাম।
মৌ একটা হাসি দিয়ে বলল-
আমার কাছে কেন? রানার মতো প্রেমে পড়ছো নাকি?
রনি উম.. একটুখানি ভেবে বলল-
এতো সুন্দরী হলে যে কেও প্রেমে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
মৌ:- কথা তো ভালই বলতে পারেন।
রনি:- আচ্ছা প্রিয়া কোথায়? দেখিনা অনেক দিন হলো?
মৌ:- ওহ্ এই খবর আমাকে না প্রিয়া কে চাই?
রনি:- না, আসলে রানা খুব বেশি চিন্তা করছে।
মৌ একটা দির্ঘ্য নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল-
প্রিয়ার বাবা অসুস্থ। তার চিকিৎসা লেখা পড়া খরচ চালাতে পারছে না।
তাই প্রিয়া কোচিং করে না।পরিক্ষা তাও দিতে পারবে না।
রনি:- ঠিক আছে। আমি যাই পড়ে কথা বলবো।

রনি সব কিছু রান্না কে বুঝিয়ে বললো।
রানা বাড়িতে গেলো, সারাদিন লেখা পড়া করে আর মাঝে মাঝে প্রিয়া কে লুকিয়ে দেখে।
ইস্কুলে হেড মাস্টার প্রিয়া কে ডেকে লোক পাঠালো।
প্রিয়া লাইব্রেরীতে গিয়ে বলল-
স্যার আপনি কি ডেকেছেন?
হেড স্যার:- হ্যাঁ তোমার জন্য একটা সুখবর আছে।
প্রিয়া:- কি খবর স্যার?
স্যার:-তুমি কাল থেকে কোচিং করবে এবং পরিক্ষা দিবে।
প্রিয়া:- স্যার আর্থিক সমস্যা কারণে..
স্যার:- তোমার কোন টাকা দিতে হবে না। একটা এনজিও থেকে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা করে।
সেখানে তোমার নাম দিয়েছি। তুমি যতদূর ইচ্ছে লেখা পড়া করতে পারবে। সমস্ত খরচ তারা দিবে।
প্রিয়া আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। চোখে মুখে হাসি ধরে রাখতে পারছে না।
স্যার কে ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় হলো।

এভাবে চলতে র‌ইলো প্রিয়া ভালো রেজাল্ট করছে। কলেজে ভর্তি হয়েছে। একটা ছেলের সাথে তার ভালো সম্পর্ক হয়েছে। রানা শুনেই প্রিয়ার কলেজে চলে গেল।

রাকিব:- প্রিয়া তুই এখানে আর ওদিকে রানা নামের একটা গুন্ডা শুভ কে মারছে।

প্রিয়া দৌড়ে গেল শুভ‌ আর প্রিয়া দুজ দু'জনকে পছন্দ করে। প্রিয়া দৌড়ে গিয়ে রানা কে একট থাপ্পড় দিয়ে বলল-

গুন্ডা, মাস্তান তুই কোন সাহসে শুভ গায়ে হাত দিসো।
রানা:- প্রচন্ড রেগে থাপ্পড় নিয়ে প্রিয়ার গালের কাছে এসে থেমে গেল। শুধু অগ্নি চোখে তাকিয়ে রইল।
প্রিয়া বলল-
থামলি কেন মার? তুই তো একটা গুন্ডা, মাস্তান মেয়েদের গায়ে হাত দেয়াই তোর কাজ।
রানা বলল- তোর দিকে যে তাকাবে তার চোখ আমি তুলে নিব। তোর দিকে যে হাত বাড়িয়ে দিবে। তার হাত আমি কেটে ফেলবো।
প্রিয়া:- শুভ আমার ভালোবাসা। তুই যদি ওর কোন ক্ষতি করতে চাও আমি তোকে খুন করবো। কথাটা মনে রাখিস।
রনি, তাসনিম সবাই রানা কে নিয়ে চলে গেল।
রনি বলল- তুই কি পাগল হয়ে গেছো?
সবার ভিতরে এভাবে করার কি দরকার ছিল?
রানা:- হাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি ওকেই চাই ওর দিকে আমি ছাড়া অন্য কেউ নজর দিতে পারবে না।
তাসনিম বলল- তুই একটা হিংস্র পশু হয়ে গেছো। ও তোকে ঘৃণা করে তার পর তুই বিরক্ত করো।তোর বোনকে কেউ বিরক্ত করলে তুই কি মেনে নিতে।

রানা অনেক রেগে গেল তাসনিম এর গায়ে হাত তুলে বলল- আমি পশু হয়ে গেছি? আমি গুন্ডা মাস্তান সব কিছু হয়ে গেছি। কাউকে ভালো বাসলে যদি পুশু হয় তাহলে আমি তাই।
রনি দেখলো দুজনে ভিতরে হাতাহাতি হচ্ছে। তাই অনেক কষ্টে থামালো।

রানা অনেক ভেবে চিন্তে দেখলো।আসলে এভাবে উত্তেজিত হয়ে ভুল করেছে।বন্ধুর সাথে ঝগড়া করা উচিত হয়নি। তা ছাড়া প্রিয়া যদি অন্য কাউকে নিয়ে সুখী হয় হোক।
আমি তো তার সুখের মাঝে বাঁধা হতে পারি না।
আমি না হয় সারা জীবন দূর থেকেই ভালোবেসে যাবো।

বিকেলে মৌ কাছে একটা মাজার আছে। সেখানে চাচাতো বোনের সাথে গেলো। হঠাৎ শোনে মাজারের পাশে নির্জন একটা জায়গায় থেকে কান্নার শব্দ।
কাছে গিয়ে দেখলো। রানা হাঁটু গেড়ে মাটি বসে দুই হাত তুলে বলছে-
হে আমার সৃষ্টিকর্তা আমি জীবনে কখনো কিছু চাইনি। আজকে তোমার কাছে শুধু একটা জিনিস চাইবো। যেন তাকে ভুলে থাকতে পারি।
প্লিজ আমাকে দয়া করো। আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিওনা। আমি জানি, আমি একটা পাপি বান্দা তোমার এর এই প্রিয় অলির দরবার থেকে আমাকে নিরাশ করো না। বলে মাটির মাথা ঠেকিয়ে কান্না করছে।

মৌ তারাতাড়ি আড়ালে চলে গেল।
সবাই কে বললো ওটা পাগল কাছে গেলে কামড়ে দেয়।
সবাই চলে আসলো মৌর রানার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে।
ভাবছে প্রিয়া কে একবার বুঝি বলবো হয়তো রানা ফিরিয়ে দিবে না।
মৌ ফুফাতো ভাই এর বিয়ে তাই চলে গেল।

রানা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
বিকেলে তাসনিম এর অনেক গুলো কল দেখলো। রানা ব্যাক করলো...

কি হয়েছে তোর এতো কল দিসো কেন?
তাসনিম:- প্রিয়া এক্সিডেন্ট করছে ঢাকা মেডিকেল ভর্তি আছে।

রানার কলিজা টা হঠাৎ করেই ভাগ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ হয়তো বুকটা ছিঁড়ে কলিজা টা টুকরো টুকরো করে কেটে কেটে ভাগ করছে।

দাড়ানো থেকে বসে পড়ে বলল- তুই রেডি হয়ে আয় বাবা বাড়িতে নেই। আমি এখনি যেতে চাই।

রানা তাসনিম এর কোন কথাই শুনলো না।
দুজনে মিলে ঢাকা চলে গেল। প্রিয়া এক্সিডেন্ট করছে। মারাত্মক অসুস্থ আছে। অনেক টাকা লাগবে আর একটা কিডনি দিতে হবে।
রানা পাগলের মত হয়ে গেল। প্রিয়ার রুমে ঢুকে দেখলো অস্কিজেন লাগানো। রানা প্রিয়ার দিয়ে তাকিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল-
আমি বেঁচে থাকতে তোমার কিছুই হতে দিব না। আমার জীবন মানে তোমার জীবন। আমি প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে তোমাকে রক্ষা করবো।

রানার চোখের জল গড়িয়ে প্রিয়ার কপালে পাড়লো। প্রিয়া ভাবছে এতো কিছু করার পরও, রানা তাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। কতটা কষ্ট দিয়েছি এই মানুষটি কে? আমি মরে গেলেও যে অপরাধী হয়ে রাইবো। ভাবতেই প্রিয়ার চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।

রানা অশ্রু মুছে দিয়ে বলল - তুই কাদিস না। আমি পৃথিবীর সব কষ্ট‌ স‌ইতে পরি তোর চোখের জল স‌ইতে পরি না। আমি কখনো তোমার ভালবাসা চাই না।চাই শুধু তুমি ভালো থেকো। আমার ভালো থাকা গুলো তোমার মাঝে হারিয়ে গেছে। তুমি ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি। তোমার সুখ-দুঃখ গুলো আমার জীবনের বসন্ত।

প্রিয়ার বাবা মা আসলো বলল-
তোমরা কে?
তাসনিম বলল-
আমরা প্রিয়ার ক্লাসমেট। এই তো কাছেই থাকি তাই দেখতে আসলাম।

প্রিয়ার বাবা কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলল-
মেয়ের চিকিৎসা অনেক টাকা লাগবে। কোথায় পাবে এমন কেউ নেই যে সাহায্য করবে।

রানা তার বাবা কে ফোন করে বলল-
বাবা আমার এখনি দুই লাখ টাকা লাগবে।
বাবা:- এতো গুলো টাকা দিয়ে কি করবি?
রানা:- এতো কিছু বলতে পারবো না। তুমি টাকা দিবা কি না?
বাবা:- না, সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পাবা।
রানা:- ঠিক আছে তাহলে আমি কিডনি দুটো বিক্রি করে দিব।
বাবা:- ঠিক আছে একাউন্ট নাম্বার দাও?
রানা :- ঠিক আছে বাবা রাখছি।

রানা অনেক খুঁজেও এমার্জেন্সি ভাবে কোন কিডনি পেল না।
রানার কিডনি ম্যাচ করলো কিন্তু তাসনিম দিতে দিবে না।
অনেক বারণ করার পরও রানা কিডনি দিল।
অপারেশন শেষ হলো প্রিয়া কে না দেখেই রানা আর তাসনিম চলে আসলো।

বাসের সিটে বসে রানা বলল- দোস্ত প্রথম যখন প্রিয়ার কে দেখি তখনি ভালো লাগে। সাদা পোশাকে আরো চাঁদের মতো সুন্দরী। মনে হয়েছিল আকাশ থেকে কোন পরী পৃথিবীতে এসেছে। পাগল হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। প্রিয়া কে দেখতে দেখতে একটা ড্রোনে পড়ে গেছি। তখন আরো বেশি মিষ্টি করে হেসে উঠলো। মনে হয়েছিল আমার দেহটা শূন্য করে এক সেকেন্ডে প্রাণ পাখি নিয়ে পালিয়ে গেল।
তাসনিম:- তখন ও কোন ক্লাসে পড়ে।
রানা:- মাত্র টেনে নতুন উঠেছে। তবে অনেক বেশি লম্বা চওড়া স্বাস্থ্য ভালো। লম্বা নাক, মুক্তার মতো দাঁত, মিষ্টি হামি, গোলাপের পাপড়ি মতো ঠোঁট। আপেলের মত গাল দুটো।
তাসনিম:- থাক আর লাগবেনা। আবার আমি যদি প্রেমে পড়ে যাই।
রানা একটা হাসি দিয়ে বলল- আমার কপাল টাই খারাপ ও কখনো আমাকে বুঝতে চেষ্টা করলো না।
তাসনিম:- তাহলে তার জন্য এতো কিছু করার মানে কি?
রানা:- কি করবো বল? শূন্য খাঁচা কি দাম বল যদি পাখি না থাকে? ওযে প্রাণ! ওরে ছেড়ে কিভাবে থাকবো? নিজেকে বাঁচানো কি উচিত না?

তাসনিম কি যেন বলতে গিয়েও থেমে গেল। শুধু একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে রানার দিকে তাকিয়ে আছে।

রানা বলল-
রনি যানে, বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা এনেছি ওকে ভুলে যাবো সেই শর্তে। সেই টাকা দিয়ে ওর লেখা পড়া করে।ওর হেড মাস্টার ম্যাধমে এনজিও নাম করে ।
এই যে চিকিৎসা খরচ,নিজের কিডনি সব কিছু দিয়েছি ওর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য না। ওকে ভালো রাখার জন্য। কারণ আমি ওরে ভালোবাসি। খুব বেশি ভালোবাসি।ভালো বাসলেই যে পেতে হবে এমন কথা নয়। আমার কাছে ভালোবাসা মানে ভালো রাখা...

হঠাৎ একটা বাসে সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলো। মূহুর্তে নিস্তেজ হয়ে গেল রান্না।
তাসনিম মাথা আঘাত পেয়ে বেহুঁশ হয়ে গেল।শত শত লোকের ভিড়ে সমস্ত যাত্রী আহত - নিহত অবস্থা পড়ে আছে। রক্তে রাস্তা ভিজে গেছে চিৎকারে চার দিন কেঁপে উঠলো।

অতঃপর... কি হলো...

খবর শোনার জন্য দেশের মানুষ পাগল হয়ে আছে। সারা দেশে শোকে ছেয়ে গেছে।শত শত মানুষের লাশ আর কান্না..,

রানার লাশ নিয়ে তার বাবা চিৎকার দিয়ে কান্না করছে। বলল-
বাবা তুই কথা বল? তোর কত টাকা লাগবে বল? কি লাগবে বল আমার কিছু চাই না টাকা পয়সা, বাড়ি গাড়ি। শুধু তুই আমাকে ছেড়ে যাইস না।

রানার লাশ বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে ।
তুই প্রিয়া কে চাই ছিলি না। আমি নিজে গিয়ে হাত জোড় করে তোর জন্য ভিক্ষা চাইবো।
শুধু ওর লেখা পড়া নয় ,ওর সমস্ত পরিবারের খরচ আমি দিব। বাবা তুই শুধু এক বার বাবা বলে ডাক দে..
সবাই তার এভাবে কান্না দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না।

প্রিয়া সুস্থ হলো,মৌ কাছে শুনলো। মাজারে গিয়ে ওর এভাবে কান্না করতো। রনি, তাসনিম সব কিছুই বললো ওর লেখা পড়া খরচ এনজিও না রানার বাবা দিত। নিজের কিডনি দিয়ে প্রিয়া কে সুস্থ করেছে।

প্রিয়া চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গেল রানার বাড়িতে। উঠানে লাশ পড়ে আছে।সবাই বসে আছে।

প্রিয়া বলল-
তোকে আমি অনেক বেশি কষ্ট দিসি তাই না?তাই তুই আমাকে এখন কষ্ট দাও?
আ আ আমি আর কখনো তোকে কষ্ট দিব না কথা দিলাম।
তোকে ছেড়ে কখনো কোথাও যাব না।

প্রিয়ার চোখের জলে বুক ভেসে যাচ্ছে। ঠোঁট দুটো হালকা কাঁপছে। সবাই শুধু তাকিয়ে দেখছে।কেউ খারাপ মন্তব্য করে

প্রিয়া:-তুই বলেছিলি আমি তোর জীবন।
তোর আর আমার একটা জীবন। তাহলে তুই আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না।বলে কয়েকটি কিল দিয়ে চিৎকার দিয়ে বলল-

কি করে ভাবলি তোকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকবো। তোকে ছাড়া একটা মুহূর্ত আমি বাঁচতে চাই না।কি ভাবো নিজেকে আমাকে কিডনি দিয়ে মহান হয়ে যাবি। একবারও ভাবলি না। তোকে আমার কতটা প্রয়োজন? তোকে ছাড়া আমি এই পৃথিবীতে একটা নিঃশ্বাস নিতে পারবো না। প্রিয়া ঢলে পড়লো।
সবাই হাতে হাতে ধরে নিয়ে গেল। ডাক্তার বলল-
বিষ পানে মারা গেছে।আরো আগে নিয়ে আসা উচিত ছিল।

প্রিয়া আর রানা কে পাশাপাশি কবর দেয়া হলো।
দেখলে মনে হয় এখানে ভালোবাসার নীড়।
এখানে প্রতিদিন মানুষ আসে ভালোবাসার নিদর্শন দেখতে। সত্যি কারের ভালবাসা হয়তো এভাবে হয় তাদের দেহ আলাদা থাকলেও তাদের আত্মা,মন মস্তিষ্ক এক হয়ে যায়। হয়তো তারা যুগ-যুগ ধরে এখানে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকবে
134 Views
1 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: