প্রথম দেখা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
__গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে একটা মেয়ের করুন আর্তনাদ শুনে হচকচিয়ে সামনের দিকে তাকায় ডাঃ মেহেদী হাসান। একটা নীল চুরিদার পরিহিতা মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে মেহেদীর বুকের উপর এসে আচঁড়ে পরে। 😱

"আমাকে বাঁচান....আমাকে বাঁচান....ওরা...ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।'' 🥺

" কারা....কারা....কারা আপনাকে মেরে ফেলবে? " Hello? Response me, hello are you okey?"

মেয়েটা কথাগুলো কোনোরকম বলে মেহেদীর হাতের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যায়। মেয়েটা মেহেদীর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। মেয়েটির মাথার পেছন থেকে হাত সরাতেই মেহেদী দেখতে পায় মেয়েটির মাথা থেকে চাপ চা রক্ত বের হচ্ছে। তাড়াতাড়ি গাড়িটাকে নিজের বাড়ির সামনে পার্ক করে মেয়েটাকে কোলে তুলে নিয়ে নিজের বাংলো বাড়ির দুতলায় বেডরুমে এনে শুইয়ে দেয়। মাথার পেছনটা ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারে আঘাতটা বেশি জোড়ালো নয়। আস্তে আস্তে রক্ত পরিষ্কার করে ডেটল দিয়ে ধুয়ে মাথায় একটা ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়ে মেয়েটার জ্ঞান ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে মেহেদী। 😶

"'খাটের উল্টো দিকের সোফায় বসে মেয়েটাকে নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন মেহেদী। কি করে এতোটা আঘাত পেল মেয়েটি? আর কে-ই বা ওকে মেরে ফেলতে চাইছে? কেন-ই বা চাইছে? মেয়েটার বয়স খু্ব বেশি হলে 24 হবে, বিয়ে হযেছে বলেও তো মনে হচ্ছে না।
তবে কে মারলো মেয়েটাকে? 🤔 এসবের উত্তর শুধু ওই মেয়েটার কাছেই আছে। ওর এখন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ""

রাত দুটো বাজে.........

আমাকে....আমাকে একটু জল দিবেন? " আধ বোজা চোখে মেয়েটি মেহেদীর উদ্দেশ্য বলে উঠে।

মেয়েটির কথায় ঘোর কাটে মেহেদীর। তাড়াতাড়ি একটা বোতল নিয়ে ছিপি দিয়ে জল খাওয়াতে থাকে ও। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর মেহেদী মেয়েটিকে প্রশ্ন করে, "আপনার নাম কি? আপনি আঘাত পেলেন কি করে? কেউ মেরেছিল আপনাকে? "

কথাগুলো কানে যেতেই কিছুক্ষণ আগের ঘটনা একে একে চোখের সামনে ভেসে উটতে থাকে মেয়েটির, মূহুর্তের মধ্যেই মেহেদীর জামা খাঁমচে ধরে ওর বুকে মুখ লুকিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠে মেয়েটি।


"শান্ত হও, তুমি নিশ্চিন্তে আমাকে সব খুলে বলো,ভয় পেয়ো না আমি তোমাকে সাধ্য মতো সাহায্য করবো। "

মেহেদীর কথায় মেয়েটা কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে বলতে শুরু করে,"আমার নাম পৃথা, আমি আমার দাদিমার সাথে ওই গলির মুখে সাদা বাড়িটায় থাকি। আমরা এক মাস হয়েছে এখানে এসেছি আমার মা বাবা কিছুদিন আগেই গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায়। তারপর থেকে আমরা এখানে থাকি। আমি অংকে মাস্টার্স করছি। আজ কলেজে গিয়েছিলাম। কলেজ থেকে টিউশন পড়ে একেবারে বাড়ি ফিরবো ঠিক করেছিলাম। বাড়ি ফিরে দেখি দরজা খোলা ঘর অন্ধকার.....অনেক বার দাদিমাকে ডাকলাম, কোনঁ সারা না পেয়ে উপরে দোতলা যাই। দোতলায় যেতেই কয়েকটা লোকের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখি ওর.....ওরা.... দাদিমাকে এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে মারছো আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করি....ওরা আমার পিছু নেয়....তারপর...তারপর আমি আপনার কাছে পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় ওরা আমার মাথায় ভারি কিছু একটা দিয়ে মারে....তাও আমি দৌড়ে আপনার কাছে আসি। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বলেই......"
কান্নায় ভেঙ্গে পরে পৃথা। 😭

"শান্ত হও পৃথা, আমি দেখি কি করা যায়। তার আগে পুলিশকে খবর দিতে হবে।আর তুমি আমাকে একটা কথা বলো যতদিন ইনভেস্টিগেশন চলবে তুমি কি আমার সাথে চলবে নাকি তোমার কোনো আত্মীয় আছে তার কাছে যাবে? "

"না, আমি আপনার কাছেই থাকবো। আমার কাকু কাকিমা আমাকে পছন্দ করেনা আর আমার মামাবাড়ি বর্ধমান ওখান থেকে কলেজ করাটা আমার অসুবিধা হবে। "

"আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি আমার কাছেই না হয় থেকো।" বলেই পুলিশকে ফোন করে মেহেদী। ""

"" প্রিয় পাটক পাটিকা""আশা করি গল্পটা ভালো লাগবে,, নেক্স পার্ট দিবো ইনশাআল্লাহ,, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন...!!💌

688 Views
26 Likes
9 Comments
4.5 Rating
Rate this: