...

ক্ষেত ছেলেটি যখন সেনাবাহিনীর অফিসার

...
মো: আমিরুল ইসলাম নিরব
...
06-Oct-2024, 10:10 PM
...

126

...

6

...

5.0(3)

ক্যাটাগরি : রোমান্টিক গল্প

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,


নাইম-- তুই কিন্তু কাজ টা ঠিক করিস নাই, ফাহিমা ওর বাবা কে ফোন করে আসতে বলছে। জানিনা এখন তোর কি হবে।



আমি নাইমের কথায় কান না দিয়ে ক্লাস করতে লাগলাম।


ঠিক তখনি আমি জানালা দিয়ে দেখলাম, অনেক গুলো গাড়ি কলেজে ঢুকলো, হয়তো মাহিমার বাবা এসে গেছে।


আমি আমার মতো ক্লাস করতে লাগলাম।
তখন একজন লোক (বডিগাড হবে) ভেতরে এসে বলল।

লোকটি-- এই ক্লাসে নিরব কে,,।

নাইম-- এই নিরব তুই তো মনে হয় এবার গেলি রে।

আমি দারিয়ে বললাম,,,,,,

আমি-- আমিই নিরব কিছু বলবেন।


লোকটা -- তুমাকে এমপি সাহেব ডাকতেছে।


আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে লোকটার সাথে যেতে লাগলাম।

কলেজ মাঠে এসে দেখি অনেক পুলিশ এবং আরো অনেক বডিগার্ড দারিয়ে আছে।


আমি যাওয়া মাত্রই,,,,,,,,,,, ঠাস ঠাস ঠাস,,

এমপি সাহেব আমার গালে চড় লাগিয়ে দিল।
আমার তখন অনেক রাগ হয়েছিল কিন্তু তখন রাগটাকে কন্ট্রোল করলাম।


এমপি -- তোর সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি,, তুই আমার মেয়েকে থাপ্পড় দিয়েছিস, আমার মেয়ে কে আমি এখন পর্যন্ত একটা ফুলের টোকা লাগতে দেইনি, আর তুই আমার সেই মেয়েকে থাপ্পড় দিয়েছিস।


আমি-- এখানে তো আমার একার দোস না আপনার মেয়ের ও দোস আছে,।


এমপি -- তোর সাহস কত বড় এখনো আমার সাথে মুখ তুলে কথা বলছিস। কুত্তার বাচ্চা।


আমি-- আমাকে মারুন কাটুন যা ইচ্চা তাই করুন, কিন্তু আমার জন্ম ও মা বাবা কে নিয়ে কথা বললে আমি চুপ থাকবনা।


আমার কথা৷ শুনে এমপি সহ কলেজের সবাই অবাক হচ্ছে, যে এমপির সামনে কেউ মাথা উচু করে কথা বলতে পারেনা, আর সেই এমপি কে আমি হুমকি দিচ্ছি।



মাহিমা-- বাবা তুমি কিছু বলছনা কেন, একটা রাস্তার ছেলে তুমাকে অপমান করছে আর তুমি কিছুই বলছনা।



এমপি -- হুম, ওই তোরা সবাই একে মেরে ডাস্টবিন এ ফেলে দিয়ে আয়।


আমি-- আরে দাড়া এতো তারাহুরা কিসের, আর এই এমপি তুই ও এখানে আয়।
আমি কে তুই মনে হয় এখনো জানিসনা,, আর আমাকে গরিব ভেবে ভুল করিস না,,,, তোর পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল টা বের কর দেখ এখনি একটা কল আসবে।

আর তখনি এমপির ফোনে একটা কল আসলো।


আমি-- তোর পকেটে ফোন বাজতেছে, ফোনটা ধর।

এমপি ফোন টা ধরে কিছুক্ষণ কথা বলে আমার কাছে এসে বলল।

এমপি -- (আমার পা ধরে) আমাকে মাফ করে দিন স্যার,, আমি আপনাকে চিনতে পারিনি আমার ভুল হয়েছে। । (ইশ এখানে যদি KGF মুভির বাজনা টা বেজে উঠতো🤭,,।

কলেজের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, কারন একজন এমপি সাহেব, একজন গরিব ক্ষেত এর পা ধরে মাফ চাইতেছে।


আমি-- আচ্ছা উঠ আর হ্যা এমপি হয়েছিস বলে যা ইচ্চা৷ তাই করবি এটা ভাবিসনা,, আর একবার যদি এরকম কোনো বার হয়েছে তাহলে তোর ক্ষমতা শেষ।

এই বলে আমি নাইমের কাছে চলে গেলাম।


নাইম-- স্যার একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি।


আমি-- এতো ন্যাকামো না করে বল কি বলবি।

নাইম-- আসলে তুই কে,, তুই কি আসলেই গরিব নাকি,,,,।


আমি-- এসব কিছুর উত্তর একদিন পেয়ে যাবি।

নাইম-- কিন্তু সেই একদিন টা কবে।


আমি-- বেশি দূর নেই এই তো সামনে।

এতক্ষন এ কলেজ ও ছুটি হয়ে গেল, তাই বাসায় আসলাম।

কলেজে,,,,,,,,,, মাহিমা এমপি,, কথা


মাহিমা -- বাবা তুমি এটা কি করলে হ্যা তুমি এতো বড় এমপি হয়ে ওর মতো ক্ষেত এর পা ধরে মাফ চাইলে,, ছিহ বাবা ছিহ।


এমপি -- মা চুপ কর,, ও কোনো সাধারণ কোনো ছেলে না,, ও চাইলে আমাকে এমপি পদ থেকে নামিয়ে দিতে পারে।

মাহিমা -- তাহলে ও কে বাবা।

এমপি -- এতো কিছু বলতে পারবনা। শুধু এটুকু জেনে রাখ ও কোনো ক্ষেত না,, ও অনেক বড় পরিবারের ছেল।


এদিকে আমি,,,,,,,,,

বাসায় এসে যা দেখলাম তা দেখে আমি অবাক, কারন, বাসা টা পুরো সাজানো, মনে হচ্ছে কারো বিয়ে হবে,,, কিন্তু এই বাসায় আমি ছাড়া তো আর কোনো বিয়ের পাত্র নেই,,,, তাহলে কি আমিইই।


আমি বাসার ভেতরে যেতেই দেখি চাচা চাচি মা, বসে আছে এবং অন্য পাশে একটা মহিলা, আর একজন বয়স্ক পুরুষ।

আমি যেতেই মা বলল,,,,,,,


মা-- এই তো আমার ছেলে এসে গেছে, এই নিরব আয় বোস এখানে।


আমি আম্মুর কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলাম।,,,


আমি-- আম্মু এসব হচ্ছে আর এরা কারা,।


আম্মু-- এরা তোকে দেখতে এসেছে,,।


আল্লাহ সারাজীবন শুনছি ছেলেরা মেয়ে দেখতে যায়, কিন্তু আমার বেলায় তা উল্টো।


আম্মু-- এই যে আমার ছেলে, আপনাদের কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন।


বয়স্ক ব্যক্তি-- ছেলে আমাদের পছন্দ হয়েছে এখন শুধু আমার মেয়ে পছন্দ করলেই হবে।

আম্মু-- আমারো আপনার মেয়েকে পছন্দ হয়ে, এখন এরা দুজন দুজন কে পছন্দ করলেই হলো।


বুঝলাম না এখানে মেয়েই তো দেখতেছিনা মেয়েকে পছন্দ করলো কিভাবে।

আম্মু -- এই নিরব যা রুমে যা দেখ আশা বসে আছে।


আমি-- আম্মু এই আশা কে আবার।


আম্মু-- যার সাথে তোর বিয়ে হবে।


এইবার বুঝতে পারলাম মেয়েটা আমার রুমে আছে,, কিইই রুমে আছে মানে তো সব দেখে ফেলেছে মনে হয়।

আমি তারাতাড়ি রুমের দিকে গেলাম,, রুমে গিয়ে দেখি মেয়েটি মানে আশা আমার পিস্তল টা হাতে নিয়ে দেখতেছে।


আমি-- এই মেয়ে আপনি আমার পিস্তল দিয়ে কি করেন।


আশা-- দেখতেছি আসল নাকি নকল।

আহ চেহারা আর কন্ঠ শুনে ব্রাশ মানে ক্রাশ খেয়ে গেলাম,


আশা-- কি হলো কথা বলেননা কেন।

আমি-- আপনি একটু দাড়ান আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।

এই বলে ওয়াশ রুমে গিয়ে নাচতে লাগলাম,,,,, কিছুক্ষন পর বের হয়ে এসে দেখি মেয়েটা শুয়ে আছে।


আমি যেয়ে মেয়েটির পাশে বসলাম,,,,,


আমি-- আপনার নাম তাহলে আশা তাইনা।

আশা -- হুম,


আমি-- আপনার কি আমাকে পছন্দ হয়েছে,,,


আশা-- হুম আমি আপনাকে দেড় বছর ধরে চিনি এবং ভালোবাসি।


আমি-- কিইইই একটা মেয়ে আমাকে দেড় বছর ধরে ভালোবাসে আর আমিই জানিনা।


আশা-- হুম,, আমি আপনাকে আগে থেকেই ভালোবাসি।

আমি-- আচ্ছা আপনি যে আমার বন্ধুক দেখলেন,, এখন আমাকে কি আপনার গুন্ডা মনে হয়তেছে না।



আশা-- আমি তো বললাম আমি আপনাকে আগে থেকেই চিনি,, এবং এও জানি আপনি একজন সেনাবাহিনী।

আমি তো অবাক হয়ে গেলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,



To be continue,,,,,,,,


(পরের part এর জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ)


মন্তব্য

রেটিং দিন

সকল মন্তব্যগুলো (2)
user
Sumaiya Akter

পরের পার্ট তারাতাড়ি দিন

user
Sumaiya Akter

পরের পার্ট তাড়াতাড়ি দিন

সকল পর্ব