সত্যি কারের সুখের সন্ধান

একদা, এক বৃদ্ধ মানুষ ছিলেন, যিনি ছিলেন অত্যন্ত ধনী। তিনি তাঁর জীবনে অনেক সম্পদ অর্জন করেছিলেন, কিন্তু কখনোই প্রকৃত সুখ খুঁজে পাননি। তাঁর ধনসম্পদ ছিল অফুরন্ত, কিন্তু তার মন ছিল শূন্য। তিনি সবসময় চিন্তা করতেন, কীভাবে সত্যিকারের সুখ অর্জন করা যায়।

একদিন, বৃদ্ধ তার সন্তানদের ডেকে বললেন, "আমি তোমাদের অনেক কিছু দিয়েছি—ধনসম্পদ, বাড়িঘর, জমি। কিন্তু আমি তোমাদের জীবনের আসল শিক্ষা দিইনি। আজ আমি তোমাদের একটি মূল্যবান শিক্ষা দিতে চাই।"

বৃদ্ধ তাঁর সন্তানদের একটি প্রাচীন বনে নিয়ে গেলেন। সেখানে তারা একটি দরিদ্র কৃষকের সাথে দেখা করলেন, যিনি সামান্য জমিতে কাজ করতেন। তাঁর পরিবার ছিল ছোট, তবে তারা সবাই খুব খুশি ছিল। কৃষকের পরিবার প্রতিদিনের খাবারের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাতো, ছোট ছোট জিনিসেও আনন্দ পেত, এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতো।

বৃদ্ধের এক সন্তান কৃষকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, "তোমার তো কিছুই নেই, তবু তোমরা এতো সুখী কিভাবে?"

কৃষক হেসে উত্তর দিল, "আমাদের আল্লাহ আছেন। আমরা তাঁর উপর ভরসা করি। আমরা জানি, তিনি আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তাতেই আমাদের জন্য কল্যাণ আছে। আমরা সবসময় আল্লাহকে স্মরণ করি, তাঁর কাছে ধৈর্য এবং শোকর চেয়ে থাকি।"

এ কথা শুনে বৃদ্ধ এবং তাঁর সন্তানরা বুঝতে পারলো, সত্যিকারের সুখ ধনসম্পদে নয়, বরং আল্লাহর উপর আস্থা, ত্যাগ, এবং সন্তুষ্টিতে নিহিত।

এই শিক্ষা তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বৃদ্ধ তাঁর ধনসম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ অন্যদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন এবং জীবনের বাকি সময় আল্লাহর ইবাদত ও সাহায্যকার্যে কাটাতে লাগলেন।

গল্পের শিক্ষা: জীবনে সত্যিকারের সুখ ধনসম্পদে নয়, বরং আল্লাহর উপর আস্থা রাখা, ধৈর্য ধারণ করা, এবং ত্যাগ ও সন্তুষ্টি অর্জনেই নিহিত।