আমি ওদের কে বিদায় দিয়ে যখনি বের হতে যাব ঠিক তখনি কারো সাথে আমার ধাক্কা লাগলো।
আমি চেয়ে দেখি একটা মেয়ে।
মেয়েটি উঠেই ঠাস, ঠাস, ঠাস , করে চড় বসিয়ে দিল।
মেয়েটি -- চোখ কোথায় থাকে। মেয়ে দেখলেই ধাক্কা দিতে ইচ্ছে করে তাইনা।
আমি-- আমি তো ইচ্ছে করে দেইনি। হঠাৎ করে লেগে গেছে।
মেয়েটি -- জানি,জানি,তোদের মতো ছেলে দের ভালো করেই চিনা আছে। কোথা থেকে যে এসব ক্ষেত ট্যাত আসে।
এই বলে মেয়েটি চলে গেল, আমি আবুলের মতো দাড়িয়ে থাকলাম।
নাইম -- কিরে কি হইছে তোর।
আমি-- কিছু হয় নাই।,, আচ্ছা দোস্ত এই মেয়ে টা কে।
নাইম-- কোন মেয়েটা,।
আমি-- ওই যে নিল জামা পড়া।
নাইম -- ও মাহিমার কথা বলছিস।
আমি -- ও মেয়েটার নাম মাহিমা।
নাইম-- শুন একটা কথা বলি,, তুই মাহিমার থেকে যত টা সম্ভব দূরে থাকবি। ওর বাবা এখান কার এমপি,, ও যখন যা চায় তাই করে,,,। বলতে গেলে অহংকারী।
আমি-- হুম বুঝলাম।৷ আচ্ছা যা বাসায় যা কালকে দেখা হবে।
নাইম-- আচ্ছা ভালো থাকিস।
নাইম কে বিদায় দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম।
দেখতে দেখতে 2 দিন চলে গেল। এখনো কোনো ইনফরমেশন পেলাম না।
কলেজে,,,,,,,,,,
আমি-- কিরে মিজান আসে নাই।
নাইম -- না আসে নাই।। ওর নানির বাসায় গেছে।
আমি-- ওও।
তখন আমি লক্ষ করলাম কলজের গেট দিয়ে দুইটা লোক প্রবেশ করলো।
আমি ভাবলাম হয়তো স্যারের কোনো আত্নীয় হবে।
কিন্তু দেখলাম লোক দুটো কলেজের পেছনে যেতে লাগলো।
আমার সন্দেহ হলো তাই আমি নাইম কে বললাম।
আমি--- নাইম,, তুই একটু থাক আমি আসতেছি।
এই বলে চলে আসলাম। এবং লোক দুটোর পিছু নিলাম। লোক দুটো কলেজের পেছনে জংগলের দিকে যাইতেছে ।
আমি লোক পেছনে যেতে লাগলাম।
যেতে যেতে জংগলের প্রায় মাঝখানে চলে এসেছি।
আর একটু যাওয়ার পর দেখলাম একটা ঘর দেখা যাইতেছে।
লোক দুটো ঘরের ভিতরে গেল। আর আমি ঘরের জানলায় কান পাতলাম।
ঘরের ভিতরে,,,,,,,,,,,,
--- ভাই সময় তো চলে যাইতেছে আর কত দেরি করবেন।
--- আরে এতো তারা কিসের,, সব কিছু ঠিক ঠাক আছে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
--- কিন্তু সেই সময় টা কখন আসবে।
--- আসবে, সামনে 27 তারিখে কলেজে একটা অনুষ্ঠান আছে। সেই দিনই কাজ টা করতে হবে।
--- কেমন করে করব ওখানে তো অনেক মানুষ থাকবে।
--- আরে যখন সবার মন অনুষ্ঠানের দিকে থাকবে তখন একটা ট্রাক নিয়ে কলেজ এ ঢুকে সব ড্রাক্স ট্রাকে ভরে পাচার করে দেব।
আমি এই টুকু শুনেই চলে আসলাম।
কলেজের মাঠে এসে ফোন টা বের করে রাকিব ভাই কল দিলাম।
কল টা রিসিব করে বলতে লাগলো।
রাকিব ভাই -- কি নিরব কাজ কত দূর।
আমি-- জি ভাই কাজ অনেক টা এগিয়ে ছে।
রাকিব ভাই -- হু গুড।
আমি-- ভাই একটা কথা বলার ছিল।
রাকিব ভাই -- হুম বল।
আমি-- এই মাসের 27তারিখে আমাদের কলেজে একটা অনুষ্ঠান আছে সেই অনুষ্ঠানেই ড্রাক্স পাচার হবে। আর সেই 27 তারিখে 15-20 জন সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দিবেন।
রাকিব ভাই -- ওকে দিবনে। আর কোনো হেল্প লাগলে বলিও।
আমি -- জি ভাই আজ তাহলে রাখি।
ফোন টা কেটে দিয়ে গাছ তলায় বসে থাকলাম।
এমন সময় নাইম আসলো৷।
নাইম -- কিরে তুই কই গেছিলি 1 টা ক্লাস তো শেষ হয়ে গেল।
আমি -- আরে একটা কাজে গেছিলাম।
আমি আর নাইম বসে বসে গল্প করতেছিলাম।
তখন কে যে আমারে ডাক দিল।
আমি ঘুরে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটি মানে মাহিমা।
আমি গেলাম,,,
আমি-- আপনি কি আমাকে ডাকছেন।
মাহিমা -- এখানে তুই ছাড়া কি আর কেউ আছে নাকি।
আমি-- জি বলুন।
মাহিমা -- আমার জুতা টা পরিস্কার করে দে।
আমি-- আমি কেন আপনার জুতা পরিস্কার করব। আপনার জুতা আপনি পরিস্কার করেন।
মাহিমা -- তোর এতো বড় সাহস আমার মুখের উপরে কথা বলিস।
এই বলে আবার চড় দিল।
ঠাস ঠাস ঠাস।
মাহিমা -- নে তারাতাড়ি পরিস্কার কর নাহলে কি করব আমি নিজেই জানিনা।
আমার এবার প্রচুর পরিমাণ রাগ উঠে গেল। তবুউ রাগ টা কন্ট্রল করে নিলাম।
আমি-- আমি পারবনা মানে পারবনা।
এবার ও মাহিমা আমাকে চড় দিবে ঠিক তখনি তার হাত টা ধরে আমি লাগিয়ে দিলাম।
আমি -- ঠাস ঠাস ঠাস। কি মনে করিস নিজে কে গরিব দের কি তোর মানুষ মনে হয়না।
তোর বাবার টাকা আছে বলে তুই যা ইচ্ছা তাই করবি। শুনে রাখ তোর ওই বাবা এবং তোকে এই নিরব কখনো ভয় পায়না।
কলেজের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তাতে আমার কি অনেক সহ্য করছি আর না।
মাহিমা-- তুই আমাকে মারলি,, তুই এখানে দশ মিনিট দাড়া দেখ তোর আমি কি করি।
আমি-- দশ মিনিট কেন আমি এখানে সারাদিন আছি দেখি তুই আমাত কি করতে পারিস।
এই বলে আমি ক্লাসের দিকে যেতে লাগলাম ক্লাসে ঢুকার আগে রাকিব ভাই কে কল করে সব জানিয়ে দিলাম।
রাকিব ভাই বলল সে সব দেখে নিবে।
তাই আমি ক্লাসের ভেতরে ঢুকে ক্লাস করতে লাগলাম।
নাইম-- তুই কিন্তু কাজ টা একদম ঠিক করিস নাই। এখন ও ওর বাবা কে ফোন করে আসতে বলছে। জানিনা তোর কি হবে।
আমি ওর কথায় কান না দিয়ে ক্লাস করতে লাগলাম।
হঠাৎ দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
To be continue
পরের part এর জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ
ক্ষেত ছেলেটি যখন সেনাবাহিনীর অফিসার
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
833
Views
12
Likes
1
Comments
5.0
Rating