ডার্ক ডেভিল

কয়েকদিন আর কলেজে গেলাম না । এই কয়েকদিনে আমার অনেক ক্লোজ হয়েছে । আর ওকে হাসপাতাল থেকেও রিলিজ করে দিয়েছে ।

আর পুষ্প আমার থেকে না দূরে থাকার জন্য আমাদের ই কলেজেই ভর্তি হয়েছে । কয়েকদিন পর আমি কলেজে গেলাম । আমার সাথে আজকে পুষ্পও কলেজে আসলো ।

কলেজে ঢুকতেই কারো সাথে ধাক্কা লাগে পিছন থেকে। তাকিয়ে দেখি নীলা । উঠে দাড়াতেই......

নিলাঃ ঠাসসসসস ।

সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । পুষ্পও ব্যাপার টা খেয়াল করলো ।

নীলাঃ ফ*কি*রে*র বাচ্চা দিলিতো ড্রেসটা ময়লা করে।

আমিঃ ঠাসসসসসস ঠাসসসসসস

কি ভাবছেন ? হ্যাঁ এইবার আমি দিয়েছি ।

তাল সামলাতে না পেরে নিলা পড়ে গেছে আর গালে পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ভয়ে উঠে দাড়িয়ে।

আমিঃ এই তোকে আমি ধাক্কা দিয়েছি না তুই আমাকে দিয়েছিস?

আমার এমন চিল্লানীর আওয়াজে পুরো ক্যাম্পাস স্তদ্ধ হয়ে গেছে। কেউ ভাবে নি আমার এমন রুপ বের হবে।

নিলাঃ মমমানে?

আমিঃ মানে মানে করিছ কেন? আমি ঢুকতেছি পেছন থেকে ধাক্কা তুই দিছিস তার উপর আবার গালি দেস।

নিলাঃ নিশ্চুপ.....

আমিঃ এইবার সবকিছুর জন্য সরি বল না হলে দেখবি আরো কত কি করি ?

নিলাঃ সসসররররি।

আমিঃ ওকে চল যা এখান থেকে।

দূর মুডটাই খারাপ করে দিলো । তারপর একটু খেয়াল করে দেখি ভার্সিটির সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমি চিড়িয়াখানার প্রাণী। আসতে আসতে ক্যাম্পাস স্বাভাবিক হতে লাগলো।

তারপর পুষ্প আমার কাছে এলো । এসে আমাকে বললো,,,,,,

পুষ্পঃ তুমি এটা কি করলে,,?

আমিঃ কি করলাম আমি?

পুষ্পঃ তুমি নিলাকে কেন চড় মারলে ?

আমিঃ তো কি করবো? দোষ না করেই তার এমন অপমান সহ্য করবো নাকি?

পুষ্পঃ তুমি জানো ও কে ?

আমিঃ কে ও ??

পুষ্পঃ ওর বাবা হচ্ছে দেশের টপ বিজনেসম্যান আর ওর ভাই হচ্ছে এখানকার ডিসি । বাবা আমাকে বলেছে এমনিতেই তুমি আমাকে বাঁচিয়ে ডার্ক ডেভিলের টার্গেট হয়ে গেছো । আবার নিলার বাবার আর ভাইয়ের ও টার্গেট হয়ে গেলে ।

আমিঃ বাদ দাও তো এখন এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে চাই না ।

পুষ্পঃ জানো আজ পর্যন্ত যত ছেলেদের পুলিশ নিয়ে গেছে পরেরদিন থেকে তার আর কোনো খবর থাকে না।

আমিঃ তুমি এতো কিছু জানো কি করে ।

পুষ্পঃ আব্বু বলেছে । শুধু আব্বু না সবাই জানে ।

আমিঃ বাদ দাও । চলো তো ক্লাস করি ।

তারপর আমরা একসাথে সব ক্লাস করলাম । ক্লাস শেষে বাসায় চলে এলাম ।

কয়েকদিন আর কলেজে গেলাম না । এই কয়েকদিন পুষ্পের সাথে জমিয়ে প্রেম করলাম । কয়েকদিন পর ভাবলাম আবার কলেজে যেতে হবে ।

তাই পরের দিন সকালে উঠে নামাজ পড়ে একটু হাটাহাটি করে আসলাম । তারপর এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।

কলেজে গিয়ে দেখলাম নীলাকে ডার্ক ডেভিলের ছেলে গুলো মানে রকি আর তার বন্ধুরা টানাটানি করছে । আমি কাছে গিয়ে বললাম,,,,,,

আমিঃ আরে ভাইয়ারা ওকে এভাবে টানছেন কেন ।

তখনই নিলা বললো,,,,,,,

নীলাঃ প্লিজ তুমি আমাকে এদের হাত থেকে বাঁচাও । এরা আমার সর্বনাশ করতে চায় । (কাঁদতে কাঁদতে)

বাকি স্টুডেন্ট গুলো কিছু বলারও সাহস পাচ্ছে না কারন তারা ডার্ক ডেভিলের লোক । আমিও তেমন সাহস পাচ্ছি না কিন্তু চোখের সামনে একটা মেয়ের সর্বনাশও হতে দিতে পারি না ।

তাই আমিই তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম । আর বললাম,,,,,,,

আমিঃ ভাইয়া প্লিজ ওকে ছেড়ে দিন ।

ওদের সবাই অনেক হাসতে লাগলো । আর রকি বললো,,,,,,

রকিঃ আরে ক্ষ্যাত ছেলের দেখি আমাদের সাথে লড়ার সাহস গজিয়েছে । এই ওকে বুঝিয়ে দে ডার্ক ডেভিলের ছেলে গুলোর সাথে লাগলে কি হয় ।

তারপর সবাই নীলাকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে ওরা মা*র*তে আসলো । অনেক মা*র খেলাম । কিন্তু আমিও মে*রে*ছি । যাওয়ার সময় রকি আমাকে বলে গেল,,,,,,,,

রকিঃ তোকে আমরা দেখে নিবো । তুই কার গায়ে হাত তুলেছিস মনে রাখিস । শীঘ্রই দেখা হবে ।

তারপর ওরা চলে গেল । আর সাথে সাথে নীলা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো । আমি বললাম,,,,,,

আমিঃ আরে কি করছেন সবাই দেখছে । ছাড়ুন বলছি ।
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,
To be continue,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে অবশ্যই রেসপন্স করবেন । পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।