বাকি অংশ
সেন্টু কিছু না বলে নিজের পোশাক আর পুরাতন টেংরা নিয়ে চলে আসলো। কোথায় যাবে?কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
রানার কাছে গিয়ে বলল-ভাই আপনার আত্মীয় কথা বলেছিলেন টলারে মাছ কথা। এখন কি লোক লাগবে?আমাকে একটা থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন?
রানা বলল-এখন লোক লাগবে না।
পরে লাগলে বলবো।
সেন্টু কোথায় যাবে?কে একটা কাজ দিবে?
নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে। এতো বড় পৃথিবীতে কোথায় একটুখানি থাকার জায়গা নেই। ক্লান্ত হয়ে একটা গাছের নিচে বসে আছে। পেটে অনেক ক্ষুধা লাগছে। কিন্তু একটা কাজ যোগার করতে হবে। অনেক ভেবে রাকিব এর কাছে গিয়ে বলল-
ভাই এই অবস্থা এখন একটা কাজের ব্যস্ততা করে দেয়?
রাকিব বলল- বাড়িতে যা কালকে কথা বলবো।
সেন্টু একটুখানি নিশ্চিন্তে খালা বাড়িতে চলে আসলো। পরদিন ভোরে কাদের মাঝির সাথে সেন্টু নৌকায় মাছ ধরে।পরে রুস্তম আলীর সাথে গাছের কাজ করে।
সেন্টুর সব কিছু ভুলে এখন কাজ করে।
খালার বাসায় বাসায় থাকে। রাকিব ছোট একটি ঘর উঠিয়ে দিসে। বিয়ে করবে বলে মেয়ে দেখতে গেছে। কিন্তু সেন্টু মেয়ে না দেখেই পালিয়ে এসেছে।সে কখনো বিয়ে করবে না।
**০০**০০**
বর্তমানে জীবন
সেন্টু অতীত জীবনের সব কিছু ভুলে গেছে।এখন লিজা কে নিয়ে সুখের সংসার করছে।
মা,বাবা আর বোন সবার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়েছে। ব্যাবসা অনেক ভালো চলছে টাকা পয়সা সব কিছু মিলিয়ে। সুখের সংসার হয়েছে। এখন দুজনে এখন একটা বাচ্চার নিবে। ভালো ইস্কুলে পড়া লেখা করাবে। শহরে একটা বাসা কিনবে। অনেক স্বপ্ন আছে তাদের। সেন্টু ভাবছে এক সময় বিয়ে করতে চাইনি।এখন মনে হচ্ছে আরো আগেই লিজা কে বিয়ে করা উচিত ছিল
******সমাপ্ত******
Chowdhury Tamanna
very nice.
মোঃ বেল্লাল হোসেন চৌধুরী
TNX 💛💛💛