...

সুমির স্বপ্নের আলো

...
হাবীবা জাহান
...
24-Sep-2024, 10:17 AM
...

35

...

0

...

(0)

ক্যাটাগরি : বাস্তববাদী

পর্ব ১: সত্য ও রেশমি

সত্য, একটি ছোট গ্রামের একজন দরিদ্র মেকানিক, এবং তার স্ত্রী রেশমি, একজন গৃহিণী, তাদের সীমিত আয়ে সন্তুষ্ট ছিল। তাদের একমাত্র আনন্দ ছিল তাদের কন্যা, সুমি, যার বয়স ছিল আট বছর। সুমি খুবই মেধাবী এবং প্রজ্ঞাবান ছিল, এবং তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া।

সত্য এবং রেশমি তাদের সমস্ত চেষ্টা করত সুমির স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। তারা জানত যে, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই দুর্বল, কিন্তু তারা সুমি’র ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।

পর্ব ২: একটি অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ

একদিন, সুমি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার একটি গুরুতর অসুখ ধরা পড়েছে, যার চিকিৎসার জন্য ব্যাপক পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে। সত্য এবং রেশমি নিজের সমস্ত সঞ্চয় এবং ঋণ নিয়ে সুমির চিকিৎসার চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু রোগের প্রগতি দ্রুত হওয়ায় তাদের চেষ্টা তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছিল না।

পর্ব ৩: শেষ আশা

সুমির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে এবং চিকিৎসকরা জানান যে, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সত্য এবং রেশমি তাদের মেয়ের কষ্ট দেখার পাশাপাশি নিজের অক্ষমতা অনুভব করে। তারা একে অপরকে সান্ত্বনা দেয় এবং চেষ্টা চালিয়ে যায়, যদিও তারা জানে যে, সময় তাদের পক্ষে নেই।

পর্ব ৪: সুমির শেষ ইচ্ছা

একদিন, সুমি তার মা-বাবার কাছে এসে বলে, “মা, বাবা, আমি জানি আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। আমি চাই তোমরা আমার জন্য কান্না করবে না। আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার, কিন্তু আমি চাই তোমরা আমার স্মৃতিকে জীবন্ত রাখো। আমার মতো দরিদ্রদের সাহায্য করার চেষ্টা করো।”

সুমির শেষ ইচ্ছা শোনার পর, সত্য এবং রেশমি কাঁদতে কাঁদতে তাকে আলিঙ্গন করে। সুমির মৃত্যুর পর তারা গভীর শোকে ভোগে, কিন্তু তারা তার শেষ ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানায়।

পর্ব ৫: নতুন শুরু

সুমির মৃত্যুর পর, সত্য এবং রেশমি একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে যা দরিদ্র শিশুদের চিকিৎসা এবং শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে। তারা সুমির নামেই এই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠা করে, যাতে অন্য শিশুরা সুমির মতো স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেতে পারে।

ফাউন্ডেশনটি সমাজে শিশুদের জীবন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সত্য এবং রেশমির চেষ্টা সুমির স্মৃতিকে চিরকাল অম্লান রাখে।

শেষ: সুমির স্মৃতির চিরকালীন গুরুত্ব

সত্য এবং রেশমি জানে যে, সুমির ভালোবাসা এবং স্মৃতি তাদের জীবনের অমূল্য অংশ হয়ে থাকবে। তারা সুমির স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে জীবন কাটায় এবং তার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে।

সুমির স্মৃতি তাদের জীবনকে নতুন দিশা এবং শক্তি প্রদান করে, এবং তারা জানে যে, তার মেয়ে চিরকাল তাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।


---এই গল্পটি সন্তান হারানোর শোক এবং সেই সন্তানের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা নিয়ে। এটি পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে এবং পরিবার, ভালোবাসা, এবং স্বপ্ন পূরণের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে।


মন্তব্য

রেটিং দিন