বিকাল বেলা তিশাকে কে পড়াতে আসছি। টেবিলের এক পাশে আমি আরেক পাশে ও বসে আছে । প্রাইভেট পড়ানোর আগে থেকেই আমাদের সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। একসময় ওর বাবা আমাকে পড়াতে বলে। আমরা একে অপরকে অনেক ভালোবাসি।
একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দিয়ে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ও খাতার দিকে তাকিয়ে ভাবছে আর লিখছে। আমি যে ওর দিকে তাকিয়ে আছি ওর খেয়াল নেই । রেশমি কালো চুলগুলো বেণী করে মাথায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে রেখেছে। ওড়নার ফাঁকা দিয়ে একটু একটু দেখা যায়। আমি বার বার চুল দেখার চেষ্টা করছি। লেখায় ওর যাতে সমস্যা না হয় তাই ওকে বিরক্ত করছি না।
মিনিট সাতেক এভাবেই দেখার চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষন পর ও আমার দিকে তাকালো। আমি ওর দিকে তাকাচ্ছি না এমন ভাব ধরলাম। কিছু না বলেই মাথা থেকে ওড়না টা নিচে নামিয়ে দিলো। দুইটা বেণী করা চুলগুলো দুইপাশ দিয়ে সামনে এনে আমাকে বললো , এতো কষ্ট করতে হবেনা। ভালো করে দেখো তাড়াতাড়ি, আম্মু চলে আসতে পারে।
আমি অবাক হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তিশার দিকে। সেও আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। কিছুক্ষনের জন্য কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। মনে হলো সৃষ্টিকর্তার থেকে পাওয়া আমার শ্রেষ্ঠ উপহার তিশা। হারাতে দিবোনা কোনোদিন তাকে।
কিছুক্ষন পর তিশা বললো ,দেখা হয়েছে ?
আমি মাথা নেড়ে বললাম হ্যা। ও আবার ওড়না মাথায় দিয়ে চুলগুলো ঢেকে দিলো। জিজেস করলাম, আমি এতোক্ষন তোমার চুল দেখার চেষ্টা করেছিলাম সেটা তুমি দেখে নিয়েছো ? একটু আস্তে করে বললো হ্যা সব দেখছিলাম তুমি কি করো।
এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের দিনগুলো....
Picchi
onek moja lagse golpo ta☺️
রনি
Thank you😍