রহিম মিঞা:-নোমান? খাবার খাইয়া গরু দুইটা লইয়া ছাড়া বাড়িতে বাইন্ধা রাখবি। আর শোন করিম ভাই গো বাড়িতে যাইয়া,টাকা না লইয়া আবি না।
নোমান:- ঠিক আছে,কাকা বাবু
সিডরে নোমান এর মা বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রহিম মিঞার ঘরে থাকে।সব কাজ কর্ম করে। নোমান নাম থাকলেও সবাই নিমাই বলে ডাকে। রহিম মিঞা ডাকে নোমান।আর তার মেয়ে তানজিলা ডাকে নিমু বলে।
নিমাই খাবার খেয়ে উঠানে এক পাশে বসে।
গায়ে তেল দিচ্ছে। স্যাম বর্ণের শরীর তেলে চিক চিক করছে। তানজিলা এসেই পিছন দিকে দিয়ে খোঁচা দিল।
বলল- কিরে নিমু! এতো ত্যাল মাইখা কোথায় যাইবা?
নিমু:-তানি! তোরে ক্যান কমু? আমার যে হ্যানে ইচ্ছে যামু।
তানি:- ক্যান তাহলে কারে কইবা? কাউকে পছন্দ হরো নাকি?
নিমাই একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল-
কি যে কও না , মোরে কি কেউ পছোন্দ হরবে?
তানি:-কেন হরবে না কও তো দেহি? তুমি তো দেখতে খারাপ না, অনেক ভালা মানুষ।
নিমু:-তাতে কি অইছে। আমার তো কিছু নাই। গরিব মানু।
বলে নিমাই গরু নিয়ে একটা গানে গাইতে গাইতে চলে গেল।
আমার সোনার ময়না পাখি..
কোন দেশেত উইরা গেলিরে দিয়া মোরে ফাঁকি..,
তানজিলা:- বিকেলে তারাতাড়ি আইয়ো তোমারে নিয়া এক খানে যামু।
নিমু:- ঠিক আছে, পিছন দিয়া ড্যাকলে অমঙ্গল অইবো,যাও।
বিকেলে নিমাই গরু একটা পায় না। অনেক খুঁজে সরদার বাড়ীতে পাইছে।
সরদার:- ওই নিম্মার বাচ্চা নিম্মা ? কেমনে গরু বান্দো?গরুতে মেলা অইয়া আমার গাছ খাইছে।তোর বাপে টাহা দিবে অ্যায়? হ্যালার পুত তোরে প্যাছার দিয়া মাইর্রালামু।
বলে একটা চড় দিলো।
নিমাই:- বড় বাবু মাফ করে দ্যান।ভুল অইছে,আর কখনো এমন অইবো না।
সরদার:- ঠিক আছে যা।হ্যালার পুত এরপর গরু আইলে তোর খবর করমু-আনে।
নিমাই গরু বেঁধে একটা গাছের টুকরো উপরে বসে আছে। হঠাৎ করেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। মা বাবা কথা খুব মনে পড়ে। ছোট বেলায় বাবা বলতো - আমার নিমাই একদিন অনেক বড় হবে।বড় চাকরি করবে।
নিমুর মা বলতো - আমার ছেলে চাকরি করবে না। বড়ো উকিল হবে। সারা দেশে নাম করবে। এগুলো ভাবতে ভাবতে নিমাই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। আজকে খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে। নিমাই কেউ নেই,কেউ তাকে ভালোবেসে না।
এই পৃথিবীতে সবার মা আছে বাবা আছে,ভাই বোন আছে আমার কেউ।কেউ কখনো বুঝবে না আমার কষ্ট।এই পৃথিবীর মানুষ গুলো খুব বেশি নিষ্ঠুর। এভাবে ভাবতে ভাবতে। গাছের উপর শুয়ে রইল।
বিকেলে নিমাই তানজিলা আর ওর দাদী উঠানে বসে গল্প করছে। নিমাইর তানজিলা কে ছাড়া এক মূহুর্ত ভালো লাগে না। তানজিলা নিমাই ছাড়া থাকতে পারে না। দুজনে প্রায় সমবয়সী তাই দুষ্টুমি ভালো জমে।
ভোরে নিমাই তানজিলা বড়সি দিয়ে পুকুরে মাছ ধরে।
নিমাই:- তানজু তুই যদি মোর চেয়ে বেশি মাচ পাও তাহলে তোরে অনেক গুলো আম এনে দিমু। আর যদি না পারো তা-অইলে কি দিবা?
তানু:- না পারলে তোমারে ভালো একটা জিনিস দিমু আনে।
নিমু:- কি এহনি কয়?
তানু:- না,বলুম না।যহন দিমু,তহনি দেইখা নিবা।
নিমাই একটুখানি ভেবে বলল-
ঠিক আছে,তহন কিন্তু না, কইবা না।
তানু:- হ, ঠিক আছে,তোমর চিন্তা হরোন লাগবো না।
দুজনে একসাথে মাছ ধরলো, অনেক চেষ্টা করেও। নিমাই জিততে পাড়লো না।
দুপুরে নিমাই বাগান থেকে আম পেড়ে আনলো। তানজিলা কে দিতে হবে।
তানজিলা বসে আম কেটে দেয় আর দুজনে মিলে। লবণ মরিচের গুঁড়া তেল লাগিয়ে খায়।
নিমাই:- তানি তুই না, অনেক সুনদার কইরা আম কাডো।
তানজিলা একটা হাসি দিয়ে নিমাইর দিয়ে
তাকিয়ে বলল-
হ,তোর মাথাডা।মুই তো সবার মতো কাডি।
নিমু:- হ্যার পরো তোর হাতে তা মজা হয় বেশি।
তানু:-লাগবোই তো,দেখা লাগবে না।কেডা কাটতেছে।
বলেই চুপ হয়ে আড় চোখে নিমাইর দিয়ে তাকিয়ে বলল-
আচ্ছা নিমু তুই কি মোর হাতের তা বেশি পছন্দ হরো?
নিমু:- তোর সব কিছুই মুই অনেক পছন্দ হরি।
তানু:- যদি আমি চইলা যাই,তহন মনে হরবি তো আমারে?
বলে তানজিলা নিমাইর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
নিমাই কি বললে কিছু বুঝতে পারছে না।
সে যে তানজিলার সব কিছুই পছন্দ করে কিভাবে বলবে তা জানে না।
শুধু তানজিলার চোখের দিকে তাকিয়ে
বলল- তোর হাতের তা ছাড়া জীবনেও মুই কেওর তা খামু না।
তানজিলা একটা হাসি দিয়ে বলল-
তুই যে পাগোল আছো হ্যাঁ জানো?
হঠাৎ করে তানজিলার হাত কেটে গেল।
উফ্ঃ আহ্ বাবারে.., বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
নিমাই হাতটা মুখে নিয়ে চোষা দিলো।
তানজিলা বা হাত দিয়ে নিমাই গালে একটা চড় দিয়ে
বলল-
তুই গাধা অইছো। রক্ত খাও ক্যা? চ্যাইপ্পা ধর যেন রক্ত পড়তে না পড়ে?
নিমাই তানজিলার দিয়ে তাকিয়ে বলল-
না, ছবিতে দেহি নায়ক রে এমন হরতে।
বলে আঙ্গুল চেপে ধরলো। তানজিলা ঠিক আছে বলে নিমাইর চোখের দিকে তাকালো।
নিমাইর চোখে জল দেখে,বাম হাত গালে
দিয়ে বলল-
তোমারে অনেক জোরে মারছি না?
নিমাই:- না, তেমন বেতা লাগে নায়।
তানি:-তা হলে চোখে পানি আইছে ক্যান?
নিমাই:- এমনি,মুই কেউর কষ্ট দেখতে পারি না।
তানি:- তাইলে হেদিন কান্দো না ক্যান? যখন করিম চাচায় পাছার খাইয়া পড়ে গেছে।
নিমাই:- মুই যাই কাপড়ের ত্যানা লইয়া আই। তুই এই হানে বয়ে থাক,অহনি হাত বান্দোন লাগবো।
নিমাই চলে গেল তানজিলার প্রশ্ন থেকে বাঁচতে। তানজিলা বুঝতে পারছে নিমাই তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তার কষ্ট দেখে কেঁদে ফেলছে।
দুজনে সারা দিন দুষ্টুমি করতে করতে। দিন যায়।এক সাথে মাছ ধরে, গল্প করে। রাতে চাঁদ দেখে এভাই কেটে যায় মাস,দিন, বছর।
চৈত্র মাসের প্রচণ্ড গরমের রাতে নিমাই।
উঠানে বসে আছে, হঠাৎ করেই তানজিলা আসলো।
নিমাই বলল-
এতো রাইতে তুমি এই হ্যানে কেন এইছো?
তানি:-বাবায় আইজ ঘরে আইবো না।
মা গেছে পাশের বাড়িতে।
দাদী হেও ঘুমে। কি হরুম ভালো লাগে না হেই জন্যই
নিমাই:-তাইলে চলো রাস্তায় যাই?
তানি:- সত্যি তুমি আমারে নিবা?
নিমু:- হ,নিমু না কেন? অহনি চলো?
দুজনে একসাথে রাস্তায় আস্তে আস্তে হাঁটছে। আর গল্প করছে। হঠাৎ করেই নিমাই তানজিলার হাতের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিল। তানজিলার শরীরের একটা শিহরণ অনুভব করলো।
মনে মনে বললো - শয়তান তুই হাত ধরতে রাস্তায় লইয়া আইছো।
নিমাই বলল-:- তোমার লগে থাকলে মোর খুব বেশি ভালো লাগে। হারা দিন তোমার লগে থাকতে মন চায়।
তানি:- নিমু! মোর ও তোর লগে থাকতে ভালো লাগে। তোর ছাইড়্যা এক মিনিট ভালো লাগে না।
নিমু:- তানু তুই দূরে চইলা গেলে মনডার মধ্যে কেমন জানি হরে।
তানি:- কেমন হরে কও তুমি?
নিমু:-হ্যা মুই কইতে পারুম না।তয়ে খুব কষ্ট অয় কান্দোন আইয়া যায়।
তান:-তুই না একটুখানি বেশি পাগোল আছো।
রহিম মিঞার মেয়ে তানজিলা SSC পরিক্ষা দিসে। অনেক ভালো রেজাল্ট করছে। মেয়েদের বেশি লেখা পড়া করানোর দরকার নেই। তাই এখন বিয়ে দিবে।
প্রতিদিন ঘটক আসে নতুন পাত্রে খবর নিয়ে। রহিম মিঞার বড় বাড়ি অনেক জায়গায় জমি। এক মাত্র মেয়ে। মেয়ে অনেক সুন্দরী। সবাই প্রস্তাব নিয়ে আসে।
নিমাই নিজের মতোই কাজ করে, সময় পেলে তানজিলার সাথে গল্প করে। কখনো মনে হয়নি তানজিলা তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। মনে হয়েছিল দুজনের জন্ম-জন্মন্তরের সম্পর্ক । কখনো কাউকে ছেড়ে কোথায় যেতে হবে না। সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এভাবে দুজনে একসাথে থাকবে। কিন্তু ভাগ্য বড়ই নির্মম আর নিষ্ঠুর। সময়ের সাথে সাথে সে তার মতো করে খেলতে থাকে।আমরা শুধু রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা। তার ইশারাতে চলি।
নিমাই দুপুরে ক্ষেতে সরিষা তুলে। হঠাৎ তাকিয়ে দেখলো তানজিলা।
নিমাই বলল-
কিরে তানি তুই এই হানে কি অইছে কয়?
তানি:- এমনি এইলাম,দেহি তুমি কি হরো ?
নিমাই তাকিয়ে দেখলো তানির চেহারা মলিন হয়ে আছে। শুধু নিমাইর দিয়ে তাকিয়ে আছে।
নিমাই বলল-তোর কি অইছে কয় ? চেহারাডা অমন দেহায় কেন?
তানি:-আচ্ছা নিমু তোর মোরে ছাড়া থাহন লাগবো,পারবি না?
নিমাই:-মোরে এমোন কথা কও কেন তুমি? কি হইছে খুইল্লাহ কহো?
তানি:-বাবা মোরে বিয়া দেবে।হেই পোলায় দেইখা মোরে পছন্দ হরছে।
নিমাইর কলিজাটা উপরে কে যেন একটা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলো। মনে হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না। পায়ের নিচের জমিটা কেঁপে উঠলো। হয়তো পৃথিবীতে ভুমিকম্প শুরু হয়েছে। অনেক কষ্ট নিজেকে সামলে নিল।
ঢোঁক গিলে বলল- তো তো তোরে ছাড়া কেন থাহোন পারুম না? কয়দিন মনে রাহুম। তার পর ঠিকই ভুইলা যায়ূম।
তানজিলার কষ্ট বুকটা ফেটে যাচ্ছে নিমু কে ছাড় কি করে থাকবে? চোখ ফেটে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
নিমাই বলল-
তোর কষ্ট হইবো মোরে ছাইড়া থাকত?
তানজিলা:- কষ্ট হইবো ক্যা থাকুম দেহিস তোরে ছাড়াই।
নিমু:-হলে কান্দো ক্যান?
তান:- তুমি মোরে সত্য ভুইলা যাইবা?
নিমু:-হ্যা মনে হয় জীবনে পারুম না। তানজু অহন ঘরে যা,আইছো অনেক সময়ে হইছে।
নিমাই তানজিলা কে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু কি আর করবে,ওর তো কিছুই নেই। বাড়ি-ঘর, টাকা-পয়সা, শিক্ষা ।যে তাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিন বেলা খাবার দিয়েছে।কি করে তার সাথে বেইমানি করবে। তানজিলা কে যতো ভালোবাসুক এই সমাজ তা মেনে নিবে না। যার কিছু নেই তার কোন অধিকার নেই ভালোবাসার। আমি তো একটা কাজের লোক। মানুষের চাকর কি করে, বড় লোকের মেয়ে কে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি। এভাবে অনেক ভেবে চিন্তে পাগল হয়ে যাচ্ছে।
ছেলে পক্ষ লোক কালকে শুক্রবার এসে মেয়ে কে শরা-কাবিন করে নিয়ে যাবে। আজকে মেয়র বয়স বাড়িয়ে আনতে গেছে ইউনিয়ন পরিষদে।ঘুষ দিয়ে বয়স বাড়িয়ে না নিয়ে আসলে সরকার ঝামেলা করবে।
নিমাই তানজিলার দুজনের গোসল, খাওয়া সব কিছু প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তানজিলা বুঝতে পারছে নিমাই কে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। কিন্তু কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। শুধু একা নিরবে কাঁদে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছে।
কষ্টের আগুনে নিমাইর বুকটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে তানজিলা কে নিয়ে কোথায় পালিয়ে যেতে। ইচ্ছে করে এই সমাজের মানুষগুলো কে হত্যা করে ফেলতে। ইচ্ছে করছে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে। নিজের কষ্ট একা মাঠের মধ্যে শুয়ে শুয়ে চিৎকার দিয়ে কাদেঁ।
বিয়ে আয়োজন চলছে নিমাই নিজের হাতে বাড়ি,গেট, উঠানে সব খানে মনের মত করে সাজাচ্ছে। হঠাৎ করেই তানজিলা এসে
বলল- নিমাই এদিকে আহো একটু হ্যানে?
নিমু:- তানু তুই ? তুই এই হ্যানে কেন? কেউ দেখবো তাহলে আমারে খুন হইরা ফালাইবো।
তানজিলা নিমাইর হাত ধরে টেনে আড়ালে গিয়ে বলল- তুই মোরে ভালোবাসা?
নিমাই কি বললে কিছু বুঝতে পারছে না। এদিকে ওদিকে তাকিয়ে
বলল-
মুই তোরে অনেক পছন্দ হরি।
তানু:-মোরে লইয়া পলাইয়া যাইবা? মুই তোমারে ছাড়া বাছুম না।
নিমু:- মুই তোরে লইয়া কোন হ্যানে যামু কয়? তোর বাপে মোরে খুন হইরা হালাইবো।
তানু:- তোরে খুন হরলে, আগে মোরে হরতে হইবো।
নিমু:- বিয়া হইলে ঠিক হইয়া যাইবো।এহন তুই চইলা যা।
তানু:- কিছু ঠিক হইবো না, মোরে ছাইড়া তুই থাকতে পারবি। তোর মনে দরদ লাগে না? তুই ক্যা এতো পাষান অইছো।
চোখের জল মুছতে মুছতে তানজিলা চলে গেল। ধুম ধাম বিয়ে হয়েছে গেছে।
নিমাই সারা রাত কেঁদে কাটিয়ে দিল।জানে না তানজিলার কি অবস্থা। নিমাই চোখ লাল হয়ে গেছে মাথাটা ঝিমঝিম করছে।
ভোরে বর পক্ষ বউ নিয়ে চলে যাবে। কনের সাথে নিমাই দুটো মেয়ে আর দাদী যাবে। নিমাই ইচ্ছে নেই তার পর যেতে হবে। বরের পাশে তানজিলা কে দেখে নিমাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। চিৎকার দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। শুধু মাঝে মাঝে দুজনে চোখ মুছে তাকিয়ে আছে।
তানজিলা শ্বশুর বাড়িতে সবাই আছে। অনেক বড় লোক , ছেলে ব্যবসা করে। হুজুর টাইপের পরিবার। সবাই তানজিলা কে দেখে খুশি হয়ে গেছে। তানজিলা রুমে বসে আছে। হঠাৎ করেই নিমাই গিয়ে তানজিলার হাত ধরলো।
তানজিলা:- তুই এ হ্যানে ঢুকছো ক্যা।কেউ যদি দ্যাহে সব্বোনাশ অইবো।
নিমাই:-মুই তোরে ছাড়া বাছুম না? তুই ল দুই জোনে পলাইয়া যামু।
তান:-তোরে আগে কইছি হোন নাই। এহন যাইতে পারুম না। তাহলে মোর বাপের বদনাম অইবে।
নিমাই:- তোরে ছাড়া থাকুম ক্যামনে? বুকটার মধ্যে খালি জ্বইল্লায় যায় ।
তয় ভালো থাহিস তানু! তোরে মুই অনেক ভালোবাসি।
নিমাই চোখের জল মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসলো।
তানজিলা বসে বসে কাঁদছে।
পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিমাই কোথায় চলে গেছে কেউ জানে না। আর কখনো ফিরে আসেনি। দুইটা বছর হয়ে গেছে কিন্তু তানজিলা নিমাই কথাগুলো এখনো ভেবে কষ্ট পায়। এখনো আশা করে হয়তো নিমাই এক দিন এসে বলবে তানু চল দুজনে পালিয়ে যাই। তখন এই ঘর সংসার সব কিছুই ছেড়ে নিমুর হাত ধরবে। কোথায় চলে যাবে যেখানে কেউ খুঁজে পাবে না।
নিমাই
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
571
Views
11
Likes
5
Comments
3.9
Rating