ছোট্ট লেখকের প্রেমে

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আপুঃ এখন বল তুই কেমনে জানলি তিথী ই আয়েশা ।

তারপর আমি বললাম,,,,,,,,

আমিঃ তিথী যেদিন আমাদের বাসায় আসে আর আমাকে দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় সেদিনই আমি সন্দেহ করেছিলাম । কিছু তো একটা ব্যাপার আছে ।

আপুঃ তারপর,,,

আমিঃ তারপর আমার বন্ধুদের সব জানাই । এবং তিথীর ব্যাপারে খোঁজ নিতে বললাম । খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তিথী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা সুনাম ধন্য ভার্সিটি ছেড়ে এখানে এই নরমাল ভার্সিটিতে ভর্তি হইছে ।

আপুঃ তারপর,,,,

আমিঃ সেখানেই আমার সন্দেহ আরো বেড়ে গেল । আমি সেদিন একদম শিওর হয়ে গেছিলাম যেদিন আমার বাইকের পিছনে তোমরা দুইজন আমার বিষয়ে বির বির করে বলছিলে । সেদিন আমি সব শুনতে পেয়েছিলাম ।

আপুঃ তাহলে তুই এতো দিন তিথীকে কিছু বলিস নি কেন ? ও তোকে অনেক ভালোবাসে ।

আমিঃ আমি চাইছিলাম ও নিজ থেকে এসে আমাকে বলুক যে ও আয়শা । কিন্তু সে আমাকে দেখা মাত্র ভ*য় পেয়ে থাকে । তোমার বান্ধবী এতো গা*ধী কেন হুমম ? ওকে এতো বার সুযোগ দিয়েছি তবুও বলতে পারে না ।

আপুঃ এই খবরদার আমার ভাবী + বান্ধবীকে গা*ধী বলবি না ।

আমিঃ তো গা*ধী*কে গা*ধী বলবো না তো কি বলবো হুমম । আর ভাবী,,হুহ সেই আশা ছেড়েই দাও । ও কখনো বলতে পারবে না । গা*ধী কোথাকার ।

আপুঃ তাহলে এখন কি করবি ?

আমিঃ হুমম দেখো না কি করি । এমন নাটক করবো না,,,ও নিজ থেকে এসে বলবে যে ও আয়শা ।

আপুঃ ওকে লেটস সি ।

তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ফ্রেন্ড সার্কেল রানা,,মেহেদী,,জাহিদ,,আর জেরিন আমার আপুর হলুদ অনুষ্ঠানে এলো ।

আমিঃ কি রে তোরা এতো দেরী করলি কেন ?

সবাইঃ সরি দোস্ত একটু লেট ই হয়ে গেল ।

মেহেদীঃ খাবার দাবার আছে নাকি সব শেষ ।

আমিঃ সা*লা খাদক ।

বলেই সবাই হাসতে লাগলো । তারপর জেরিন বললো,,,,,,

জেরিনঃ আচ্ছা দোস্ত ভাবি কই । মানে সেই তিথী ।

আমিঃ ওই যে ।

জাহিদঃ বাহহ দোস্ত । ভাবী তো সেই সুন্দরী । তোর তো সব আশাই পূরণ হয়ে গেল । তোর দুর্বলতা সিনিয়র মেয়ে পেয়ে গেলি ।

আমিঃ 🙈 ।

জেরিনঃ থাক দোস্ত আর লজ্জা পেতে হবে না ।

আমি তাদের কে এই সব ঘটনা খুলে বললাম যে তিথী এখনো নিজ মুখে বলে নি সে আয়শা ।

মেহেদীঃ কি বলিস । এখনো বলেনি ।

আমিঃ না ।

জাহিদঃ তাহলে এখন কি করবি ?

রানাঃ আমার কাছে একটা প্লান আছে ।

আমিঃ কি প্লান ।

রানাঃ তাহলে শোন সবাই ।

তারপর রানা যা বললো সেটা শুনে সবাই সায় দিলো । রানা বললো,,,,,

রানাঃ শোন তুই তিথীর সামনে অন্য মেয়েদের সাথে হেসে কথা বলবি এমনকি তাদের গায়েও পড়বি । কারন মেয়েরা তাদের ভালোবাসার মানুষকে অন্য মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারে না । আর তিথীকে কিছুক্ষণের জন্য ইগনোর কর । দেখ প্লান সাকসেসফুল হবে ।

আমিঃ তুই কি আমাকে মা*ই*র খাওয়াবি ভাই ।

মেহেদীঃ আরে কিছু হবে না । একবার করেই দেখ । অবশ্যই কাজে দিবে ।

আমিঃ ঠিক আছে কিন্তু মেয়ে পাবো কই ।

মেহেদীঃ এটা কি বলিস দোস্ত । জেরিন আছে কি করতে ।

জেরিনঃ কিহহ আমি ?? না বাবা আমি এগুলো পারবো না ।

জাহিদঃ বন্ধুর জন্য তুই এতোটুকু করতে পারবি না । তাহলে তুই কিসের বন্ধু ।

জেরিনঃ আচ্ছা ঠিক আছে করবো ।

জাহিদঃ এই তো কলিজার দোস্ত ।

তারপর রানার বলা প্লান মতো আমি আর জেরিন যেখানে যাচ্ছি একসাথে । হাত ধরে হাটছি তিথীর সামনে দিয়ে । একে অপরের সাথে হেসে কথা বলছি । মাঝে মাঝে জেরিন হেসে গায়ের উপর ও পরছে । আর আমিও পড়ছি ।

এগুলো দেখে কিছুক্ষণ পর আপু এসে বললো,,,,,,,

আপুঃ কী করছিস ভাইয়া । তিথী তো ফায়ার হচ্ছে ।

আমি চুপিচুপি বললাম,,,,

আমিঃ হতে দাও । ওকে জ্বালানোর জন্যই ।

আপুঃ ওহহ এটাই তোদের প্লান ।

আমিঃ হুমম । এখন তুমি যাও ।

আপুঃ ওকে ।

আপু যাওয়ার সময় তিথী ওকে ডেকে বললো,,,,

তিথীঃ জান্নাত তোমার ভাইয়ার সাথে ওই অসভ্য মেয়েটা কে । কথায় কথায় ওর গায়ে ঢলে পড়ছে কেন ?

আপুঃ মনে হয় ওর ভালোবাসার মানুষ আয়শা ।

তিথীঃ কিহহহ । আয়শা তো আমি ।

আপুঃ হুমম সেটা আমি আর তুমি জানি । ও তো আর জানে না । তুমি কি তাকে বলেছো । আচ্ছা থাকো আমার উপরে কাজ আছে ।

বলেই আপু উপরে চলে গেল । আমি তিথীর দিকে তাকিয়ে দেখি তিথী আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি করে তাকিয়ে আছে । চোখ অনেক লাল হয়ে গেছে ।

কিছুক্ষণ পর দেখলাম তিথী আমাদের দিকেই আসছে । এসে যা করলো দেখে তো আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম । কারন তিথী,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।
214 Views
16 Likes
1 Comments
4.6 Rating
Rate this: