রুদ্র আর শীলা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। দুজনেই পাশাপাশি বাড়িতে থাকে, আর প্রায় প্রতিদিনই একসাথে স্কুল, খেলার মাঠে যেত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হতে থাকে। স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়— সব সময়ে একে অপরের পাশে থাকত।
শীলার হাসি, তার কণ্ঠস্বর, তার ছেলেমানুষি সবকিছুই রুদ্রের মন ছুঁয়ে যেত। কিন্তু কখনোই সে নিজের অনুভূতির কথা শীলাকে বলতে পারেনি। রুদ্রের ভয় ছিল, তার বন্ধুত্ব যদি প্রেমে রূপ নেয়, তবে হয়ত শীলা তাকে হারিয়ে ফেলবে।
অন্যদিকে, শীলা তার জীবনের প্রতিটি ছোটবড় সমস্যায় রুদ্রকে পাশে পায়। কিন্তু প্রেমের অনুভূতি তারও ছিল। একদিন, যখন রুদ্র দূরে কোথাও চাকরির জন্য চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন শীলা হঠাৎ উপলব্ধি করল, সে রুদ্রকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
শীলার মনে তখন একটাই প্রশ্ন ছিল— রুদ্র কি তাকে ভালবাসে? নাকি তার কাছে শুধু বন্ধু হিসেবেই তাকে ভালো লাগে?
একদিন বিকেলে, দুজনেই নদীর ধারে বসে ছিল। হঠাৎ শীলা রুদ্রের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “রুদ্র, আমি যদি বলি, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না, তুমি কি করবে?”
রুদ্র একটু হতবাক হয়ে শীলার দিকে তাকাল। সে মনে মনে ভেবেছিল, আজ হয়ত তার ভালোবাসার কথা বলার সময় এসেছে। সে ধীরে ধীরে শীলার হাত ধরল আর বলল, “আমি তো তোমার সঙ্গেই থাকতে চেয়েছি সবসময়। তবে বন্ধুর মতো নয়, আরও বেশি কিছু।”
শীলা কিছুক্ষণ চুপ করে ছিল। তারপর রুদ্রের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল, “তাহলে আজ থেকে আমাদের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নিল।”
এভাবে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠল। বন্ধুর প্রেমের গল্প, যা শেষমেষ তাদের জীবনের সেরা অধ্যায়ে পরিণত হলো।
---
এই ছিল "তোমার প্রেমে, বন্ধু" গল্পের সারাংশ। তুমি যদি এই গল্পে কিছু যোগ বা পরিবর্তন করতে চাও, আমাকে জানাতে পারো!
তোমার প্রেমে বন্ধু
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
657
Views
64
Likes
6
Comments
4.8
Rating