...

ভয়ানক রাতের অভিজ্ঞতা (তৃতীয় পর্ব)

...
তমাল কৃষ্ণ মৃধা
...
28-Aug-2024, 01:02 AM
...

263

...

14

...

5.0(11)

ক্যাটাগরি : ভয়ানক গল্প

আচমকাই নির্জন জনমানবশূন্য একটা পরিবেশে এমন আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমরা তিনজনই রীতিমতো ঘাবড়ে গেলাম। তবে ঐ আর্তনাদের আওয়াজটা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না।

এদিকে আমরা তখনও ঐ রাস্তা ধরেই হাঁটতেছিলাম। কিন্তু তখনই হঠাৎ আমাদের সামনে থাকা বাঁশ ঝাড়টা নড়তে দেখে আমাদের পা থমকে গেলো। ভাবতে লাগলাম আশেপাশে তেমন বাতাস না থাকা সত্ত্বেও বাঁশঝাড়টা এতোটা দুলছে কিভাবে? আমরা তিন বন্ধুই যেন তখন হতবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। একে অপরের মুখের দিকে তাকালাম আর স্পষ্ট এক অজানা আতঙ্কের ছায়া দেখতে পেলাম সকলের চোখ মুখে।

আমরা কিছু না ভেবেই যেই আবার একসাথে হাঁটা শুরু করতে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই না জানি কোথা থেকে যেন একটা কালো বিড়াল এসে আমাদের পথের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়লো। অন্ধকার রাতে এমন কালো বিড়াল দেখে আমরা তিনজনই বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। অবশ্য বিড়ালটাকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু কারণও ছিল‌। বিড়ালটা অন্যান্য সাধারণ বিড়ালের থেকে আকারে বেশ খানিকটা বড় ছিল আর তার থেকেও বেশি ভয় লাগছিলো এটা দেখে যে ওর একটা চোখে মণির বদলে ছিল একটা কালো গর্ত। যেটা বিড়ালটার চেহারাকে আরো ভয়ানক করে তুলেছিলো।

এটা দেখে খালিদ যেই না বিড়ালটাকে তাড়ানোর উদ্দেশ্যে একটা লাঠি হাতে নিলো ঠিক তখনই আমাদের পাশে থাকা ঝোপঝাড় থেকে একটা ভয়ানক আওয়াজ কানে ভেসে আসলো। এটা শুনতে পেয়েই আমাদের তিনজনের পিলে চমকে গেলো আর খালিদের হাত থেকে লাঠিটা পড়ে গেলো।

ঝোপঝাড় থেকে আসা আওয়াজটা যে কিসের ছিল তা আজও আমার অজানা। তবে ওটা যে কোনো জন্তু জানোয়ারের আওয়াজ নয় এটা তো আমরা নিশ্চিত ছিলাম। কারণ ওটা হয়তো ছিল কোনো অপার্থিব আওয়াজ। এবং এই আওয়াজটা যেন ক্রমেই আরো তীব্রতর হচ্ছিলো।

এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা তিন বন্ধু সাত পাঁচ কিছু না ভেবেই বাঁশ ঝাড়টার নিচ থেকে জোরে দৌঁড়ে যেতে লাগলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই শুকনো রাস্তায় রুদ্র হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলো। আমরা রুদ্রকে তুলতে দেখলাম ওর পা যেন কেউ ধারালো নখ দিয়ে আঁচড়ে দিয়েছে। এমন একটা দৃশ্য দেখে আমরা তিনজনই রীতিমতো ঘাবড়ে যাই। যে এমন জনমানবশূন্য নির্জন রাস্তায় যেখানে কেবল আমরা তিনজনই রয়েছি সেখানে কেই বা রুদ্রে পা এমনভাবে আঁচড়ে দিলো!

সত্যি বলতে এত অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের তিনজনের সাথে যেসব অলৌকিক ঘটনাগুলো ঘটেছিলো তাতে আমাদের কারোরই আর এটা বুঝতে বাকি রইলো না যে এই রাস্তায় এসে আমরা খুব বড় ভুল করেছি। কিন্তু এখন পিছু ফিরে যাওয়ারও উপায় নেই। কারণ ততক্ষণে আমরা অনেকটা রাস্তা হেঁটে চলে এসেছি। এবার আমাদের কাছে কেবল একটাই পথ খোলা ছিল। যত দ্রুত সম্ভব আমাদেরকে সামনে থাকা গোরস্থানের রাস্তা পার হয়ে বাজারে পৌঁছাতে হবে। কারণ আশেপাশে তেমন কোনো বসতবাড়িও চোখে পড়ছিলো না।

যেই ভাবা সেই কাজ। আমরা এবার চাইছিলাম যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তা পার করতে। তাই রূদ্রকে সাথে করেই আমি আর খালিদ দ্রুত হাঁটতে লাগলাম। কিন্তু আমরা তখনো জানতাম না আমাদের জন্য কি ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে ; একটু পরেই আমরা যার মুখোমুখি হতে চলেছি।

চলবে....

###
(গল্পটা পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত এবং রেটিংয়ের মাধ্যমে গল্পটিকে মূল্যায়ন করার অনুরোধ রইলো। আর খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আসছে 🥰। সবাইকে ধন্যবাদ)


মন্তব্য

রেটিং দিন

সকল মন্তব্যগুলো (2)
user
তন্ময়

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

তমাল কৃষ্ণ মৃধা

অবশ্যই। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আসছে 🥰

user
স্বপ্ন

খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব চাইছি 🙂

তমাল কৃষ্ণ মৃধা

খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আসছে 🥰। ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য

সকল পর্ব