বোবা কান্না

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
পর্ব ৬
রিনা বলল- সেন্টু জাল ল‌ইয়া যা ,দেখ মাছ পাও কিনা।
সেন্টু:- ঠিক আছে মামী।

সেন্টু জাল নিয়ে মাছ ধরতে গেল। মনে মনে ভাবছে আগের দিনগুলো যদি ফিরে আসতো। আমি আর সুমি মিলে কতো মাছ ধরেছি। হায়রে দুনিয়া বলে একটা দির্ঘ্য নিঃশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছে।

হঠাৎ করেই রিয়া বলল-
কি মাছ ধর না কেন? নাকি কারো জন্য অপেক্ষা করছো?
সেন্টু:-তুই এখানে আইছো কেন?
রিয়া:-মা বলছে তোমার সাথে মাছ ধরতে।
সেন্টু:-সুমি কি করে?
রিয়া:-আপু অনেক ব্যস্ত এখন পড়ে একটু পড়ে কলেজে যাবে।
সেন্টু খালে জাল ফেলতে ফেলতে বলল- তুই পড়তে না বসে এখানে আইছো কেন?
রিয়া একটু রেগে গিয়ে বলল-আইছি তোমার ভালোর জন্যই। সাহায্য করতে চাইলাম। ঠিক আছে আমি যাই।

বলেই হাটা শুরু করলো, সেন্টু যদিও রিয়া কে পছন্দ করে না। কিন্তু তার পর একটা ছেলে মানুষ একটা মেয়ের সাথে থাকতে পছন্দ তো করবেই।

সেন্টু বলল-আরে রিয়া শুনে যা? এতো রাগ করছ কেন?
রিয়া:- কি বলো?
সেন্টু:-সত্যিই যাইতে চাও?

জাল টেনে তুলল, অনেক গুলো মাছ উঠেছে।

রিয়া:- ঠিক আছে তুমি বললেই থাকবো।
সেন্টু:- একা আমার ভালো লাগে না।আর যদি আবার শয়তানে ধরে তখন।

রিয়ার সেন্টুর বেহুঁশ হয়ে পড়ার কথা মনে পড়লো। কিন্তু তার পরও বলল-
শয়তানেরে আবার কোন শয়তান ধরবে?

সেন্টু একটুখানি হাসি দিয়ে রিয়া কে বলল-মাছগুলো তুলে আমার সাথে আয়..

দুজনে মাছ ধরছে আর গল্প করছে। রিয়ার প্রচন্ড ভালো লাগে সেন্টুর সাথে সব সময় থাকতে। মনে মনে অনেক পছন্দ করে। কতো আকার ইঙ্গিতে বুঝাতে চেষ্টা করছে।এক বোকা ছেলেটা কখনো বুঝতেই পারলো না।
রিয়া সেন্টু কে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সব চেষ্টা করে চলেছে।ভাবছে মেয়েদের ভিজা শরীর প্রতি ছেলেরা অনেক আকৃষ্ট হয়।দেখি তাতে লাভ হয় কি না।

রিয়া বলল- ভাইয়া এতে মাছ বেশি উঠে না। একটা দুইটা করে, এভাবে সারা দিন জাল ফেলতে হবে।
সেন্টু রিয়া দিকে তাকিয়ে বলল- তুমি চিন্তা করো। সারাটা দিন জাল ফেলার শক্তি আমার আছে।
রিয়া:- একটা কাজ করো, তুমি আর আমি জাল দিয়ে খালের জলে টেনে মাছ ধরি? অনেক মাছ উঠবে।
সেন্টু:- কথাটা খারাপ বলনি, কিন্তু যদি তোমার ঠান্ডা লেগে যায়?
রিয়া:- দূর আমার কিছু হবে না। দেখো আমার গা কত গরম বলে সেন্টু কে জড়িয়ে ধরলো।

সেন্টু অবাক হয়ে গেল ভাবলো এই মেয়েটা কতো বোকা।ও নিজেই জানে না যে ও এখন ছোট নেই। এখনো কত সহজ সরলভাবে জড়িয়ে ধরে। সেন্টু রিয়ার উষ্ণ নরম, কোমল শরীরে স্পর্শ পেয়ে। পাগল হয়ে যাচ্ছে।

সেন্টু নিজেকে সামলে বলল-ঠিক আছে এখন ছাড়ো। আমি মানছি তোমার শরীর অনেক বেশি গরম।

রিয়া মনে মনে ভাবছে তোমাকে জড়িয়ে ধরার এটা সুযোগ। অনেক গভীরভাবে শরীরের সাথে মিশিয়ে ধরলো। সমস্ত আবেগ অনুভূতি দিয়ে। রিয়া সেন্টু কে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরছে।এই আনন্দের পাগল হয়ে যাচ্ছে।আর সেন্টুর শরীরের স্পর্শে নিজেকে ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছে।
রিয়া মাত্র নাইনে পড়ে, বয়ঃসন্ধিকাল চলছে। শরীরে নতুন অনুভূতি আর ভালোবাসা শুরু হয়েছে। এখন প্রচন্ড আবেগি বয়স। সেন্টুর ধাক্কা দিয়ে ছুটে যেতে চাইলে। রিয়া ছেড়ে দিয়ে সেন্টুর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

সেন্টু বলল-কি হলো তারাতাড়ি চলো..

রিয়া অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে আছে। কিছু না বলে খালে জলে নামলো।

দু'জনে অনেক মাছ ধরলো আজকে রিয়া অনেক খুশি। অনেক মাছ পেয়েছে তাই খুব আনন্দ হচ্ছে।

সেন্টু বলল- চল এখন বাড়িতে যাই?
রিয়া শীতে কাঁপতে কাঁপতে বলল- হুম চলো।
সেন্টু বলল-কি তোমার শীত লাগছে নাকি?
রিয়া বলল-আমার শীত কখনো না। আমি তো সারা দিন পানিতে থাকতে পারি।

দুজনে উপরে উঠলো। রিয়ার ভেজা শরীর উর্তি বয়সে। স্বাস্থ্য অনেক ভালো তার শরীরের গঠন বেশ চমৎকার। সেন্টুর ইচ্ছে না থাকলে, চোখকে আটকাতে পারছে না।
সুন্দর করে এক নজর রিয়ার দিকে দিয়ে দেখলো।পা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর শেষ করে মাথা পর্যন্ত দেখলো। দেখার লোভ সামলাতে না পেরে আবার তাকালো।
স্বাস্থ্যবতী হাত,পা, বডি বেশ চ‌ওড়া, খুব বেশি বাড়ন্ত শরীর, এই বয়সে নিতম্ব অনেক ভারি।
দেখলে যে কোন পুরুষ নজর ফেরাতে পারবে। রিয়া দেখলো সেন্টুর তার চোখ দিয়ে, ওর শরীরের পরিক্ষা নিরিখা শুরু করছে। বিজ্ঞানীদের মত আবিস্কারের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।চাতক পাখির দৃষ্টি রিয়ার চোখের উপরে পড়ল। সেন্টুর লজ্জায় চোখ নিচে নামিয়ে আনলো। কিন্তু রিয়া কে দেখার প্রবল আঙ্খাখা রয়ে গেছে।

রিয়া সেন্টু কে খুব লজ্জা পেতে দেখে আনন্দ হলো।বলল-এভাবে দাড়িয়ে থাকবা না কি যাইবা?

সেন্টু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে হাঁটতে শুরু করলো। লজ্জায় রিয়ার দিকে আর তাকাতে পারেনি। একটা কথাও বলেনি।
রিয়া সেন্টু কে স্বাভাবিক করতে সেন্টুর হাত ধরলো। বলল- ভাইয়া তুমি কি জানো আজকে আমি অনেক খুশি?
সেন্টু বলল- কেন?
রিয়া:- অনেক মাছ পেয়েছি তাই।
সেন্টু:- আমি আর সুমি এর চেয়েও বেশি মাছ ধরেছি।

রিয়ার মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছু না বলে হাঁটতে শুরু করলো। একটা গাছে অনেক গুলো চালিতা ।

রিয়া বলল- ভাইয়া! চালিতা খামু?
সেন্টু:-কোথায় চাইলতা?

রিয়া কপাল কুঁচকে ঠোট দুটো চোখা করে , খুব মিষ্টি এবং বিরক্তির ভাব ধরে বলল-
দূর কানা একটা?

বলে ডান হাতের একটা আঙ্গুল দিয়ে গাছে ইশারা করলো। এভাবে ভঙ্গিমা করা সেন্টুর প্রচন্ড ভালো লেগে গেল। সেন্টু হঠাৎ করেই আনন্দে দিশেহারা হয়ে উঠলো। ইচ্ছে করছে রিয়া কে জড়িয়ে ধরে মিষ্টি ঠোঁটে একটা চুমু দিতে। সেন্টু অবাক হয়ে রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল- উফ্ আপু তুমি এতো মিষ্টি করে কথা বলতে জানো?
রিয়া:-তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছ কেন? চাইলতা পাড়ো ?

সেন্টু চালিতা গাছের দিয়ে তাকিয়ে
বলল-
এখন গাছে উঠতে পারবো না। ভিজা গা নিয়ে।
রিয়া:- তুমি এতো বোকা কেন? একটা ডিল ছুড়ে মারলেই তো হয়।
***000***000***
সেন্টু লিজা কে নিয়ে আসলো,কিছু টাকা লোন নিয়ে একটা দোকান করলো। সেন্টু এক পাশে মুদি-মনহরী মাল উঠায়,অন্য পাশে কিছু মহিলাদের কাপড়। লিজা ঘরে বসে সারা দিন মহিলাদের পোশাক বানায়।
দুজনে কঠোর পরিশ্রম করে।

লিজা দুপুরে খাবার খেতে খেতে বলল- দোকান তো খুব ভালো চলছে। একা মানুষ সামলাতে পারবেন? আমিও সাথে বসলে ভালো হতো না ‍?
সেন্টু লিজার দিকে তাকিয়ে চেয়ে রইল।
লিজা:-কিছু বলবে ?না তাকিয়ে থাকবেন।
সেন্টু নিচে তাকিয়ে বলল- হুম কষ্ট হয়। কিন্তু যখন তোমার দিকে সবাই কামনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে । তখন এর চেয়ে হাজার গুণ বেশি কষ্ট হবে।
এই কষ্ট ভুলে যাই তোমার কাছে আসলে। কিন্তু সেই কষ্ট তখনই ভুলে যাবো যখন মৃত্যু হবে।
লিজা:- আমাকে ভালোবাসেন?
সেন্টু:- ভালোবাসি কিনা জানিনা, তবে আপনাকে ছাড়া একটি মূহুর্তে থাকতে পারছি না।
লিজা:- কেন এতো ভালোবাসা আমায়?
যদি সুমির মতো তোমাকে ঠকাই?
সেন্টু চোখে কোনে জল এসে গেল।বা হাত দিয়ে মুছে বলল- খোঁচা দিস আমাকে?
লিজা:- না, তুমি তো নারী জাতিকে বিশ্বাস করো না।
সেন্টু:-ভালোবাসা কি জিনিস, কেমন হয় আমি জানি না। তবে ইচ্ছে করে তোকে আমার কলিজা টা কেটে ভিতরে লুকিয়ে রাখি, যেন পৃথিবীর কেউ তোমাকে আমার থেকে আলাদা করতে না পারে। ইচ্ছে করে তোর একটা হাসির জন্য জীবনটা বিলিয়ে দিতে।
লিজা:-থাক তোমার জীবন দিতে হবে না। তাহলে আমি কার কাছে এতো ভালোবাসা পাবো।
সেন্টু গলাটা ধরে আসলো কেমন জানি কান্না পাচ্ছে। অনেক কষ্টে জোর করে হাসির অভিনয় করে বলল- তোমার মতো একটা সুন্দরী মেয়ের কখনো ভালোবাসার অভাব হবে না।
লিজা:- হয়তো কিন্তু এই জীবনে আপনি ছাড়া আর কারো ভালোবাসা আমি চাইনা।

সেন্টু সারা দিন খুব ব্যস্ত থাকে, অনেক রাতে বাসায় আসে। লিজা সংসারে কাজ করে, দোকানের কাজ সব কিছুই নিয়ে দুজনের খুব ব্যস্ত জীবন। রাতে ক্লান্ত হয়ে দুজন ঘুমিয়ে পড়ে, ভোরে উঠে কাজ আর কাজ।
জীবনটা যান্ত্রিক হয়ে গেছে, এখন আর দুজনে একসাথে বসে প্রেম করার সময় নেই।
লিজা বলল- তুমি একটা গাভী কিন ?
সেন্টু:- পালার সময় হ‌ইবে না। কে পালবে?
লিজা:- তোমার পালন করতে হবে না। আমি পালবো।

সেন্টু বড় বাজার থেকে দোকানের জিনিস কিনে। অটোরিকশা করে আসছে। হঠাৎ সামনে একটা অটো এক্সিডেন্ট হলো।
কিছু কলেজের ছাত্রী ছিল সেই অটোতে।
একটা মেয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে গেছে। রক্তে সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে গেছে।
অনেক মানুষ জড়ো হয়ে বলল-কিভাবে এক্সিডেন্ট হলো। কিছু লোক মোবাইল দিয়ে ছবি ভিডিও বানাতে ব্যস্ত হয়ে আছে।
সেন্টু দৌড়ে কাছে গিয়ে দেখলো ।অনু দেহটা পড়ে আছে রক্তে রঞ্জিত অবস্থায়।অনু কে নিয়ে হাসপাতালে গেল। ভর্তি করিয়ে ঔষুধ দিয়ে বাসায় আসলো।

লিজা- তুমি গোসল সেরে খেতে বসো।
সেন্টু ঝিম মেরে বসে বসে অনুর কথা ভাবছে।
লিজা বলল- কি হলো বসে আছো কেন?
সেন্টু:- খেতে ইচ্ছে করছে না। তুমি খেয়ে নাও।
লিজা মাথায় হাত দিয়ে বলল- শরীর ঠিক আছে তোমার।কি চিন্তা করো তুমি?
সেন্টু:‍- লিজা তোমাকে কিছু কথা বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু বলবো কিনা কিছুই বুঝতে পারছি না।
লিজা:- এতো ভঙ্গিমা না করে সোজাসুজি বলে ফেল।
সেন্টু:-আমার একটা বোন আছে অনু।সৎ হলো ছোট বেলা থেকেই আপন বোনের মতোই ভালোবাসি। অনেক আদর যত্ন করেছি ওকে।
লিজা:-আমি জানি তো কিন্তু কি হয়েছে সেটা বলো?
সেন্টু:-অনু হাসপাতালে ভর্তি,গাড়ি এক্সিডেন্ট করছে। খুব খারাপ অবস্থায় ডাক্তার বলেছে খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে হবে। কিন্তু বাবার এতো টাকা কোথায় পাবে বলো?

লিজা চুপচাপ বসে আছে কোন কথা বলছে না। সেন্টু কিছু শোনার জন্য অস্থির হয়ে তাকিয়ে রইল। লিজা সেন্টুর খুব কাছে এসে একটা দির্ঘ্য নিঃশ্বাস ছেড়ে লিজা বলল-
বোনকে খুব ভালবাসো তাই না?
সেন্টু চুপ হয়ে তাকিয়ে রইল। তারপর বলল- আমরা যদি কিছু সাহায্য করতে পারতাম?
লিজা: যে টাকা দিয়ে গরু কিনতে চাইছিলাম। ওই টাকা তাকে দিয়ে দাও।

সেন্টু মনে মনে খুশি হয়ে গেল। বলল-
দেখো ওটা তো গরু কিনতে রাখছি। তোমার আশা ছিল একটা গরুর?
লিজা:-তুমি কি জানো এই পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি মূল্যবান হলো তোমার খুশি।
আমার জীবনে কিছু নেই একটা ভালোবাসার মানুষ ছাড়া।তার কষ্ট দেখবো কিভাবে বল?
সেন্টু:- লিজা তুমি দেখে নিও আল্লাহ এক দিন আমাদের সব কিছুই দিবে।
লিজা:- তারাতাড়ি খেয়ে হাসপাতালে চলো।

অনু বেডে হুঁশ নেই স্যালাইন চলছে।ওর মা পাশে বসে আছে।অনুর বাবা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। অনেক টাকা কোথায় পাবে?কে দিবে এতো টাকা?
মেয়ের চিন্তায় নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছে।
সমস্ত আত্মীয় স্বজন বাড়িতে গেলো কেউ টাকা দিল না।
মেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
কি করবে ? বাবা হয়ে যদি মেয়েকে না বাঁচাতে পারে এটা বড় কষ্টের। কোন মুখে টাকা ছাড়া হসপিটাল যাবে।

মন্টু মিঞা বাড়ির পাশে সত্তর গাজি কাছে গেল...
গাজী সাহেব বাড়ি আছেন?
গাজী:‍- হ, বাড়িতে আছি । মিন্টু রিকশা ওয়ালা কি খবর?
মিন্টু দৌড়ে গিয়ে পায়ে পড়লো বলল- গাজী সাহেব আমার মেয়েকে বাঁচান। হাসপাতালে ভর্তি অনেক টাকা লাগবে। আপনি কিছু টাকা দার দিন পড়ে শোধ করে দিব।
গাজী সাহেব গলায় খাকড় দিয়ে বলল-
দেখ আমি টাকা পাবো কোথায়?
আমি নিজেই চলি মানুষের কাছে দার-দেনা করে।
মন্টু:- পা ধরে কেঁদে ফেললো আপনি কিছু করেন ।
গাজী:-ঠিক আছে পা ধরতে হবে না। দেখি কি করা যায়। গাজী সাহেব দাঁড়ি চুলকাতে চুলকাতে বলল- মেয়ে তো বড় হয়েছে, অনেক সুন্দরী। যদি আমার সাথে বিয়ে দাও। তাহলে আমি দার কর্জ করে টাকা দিতে রাজী।
মন্টু:গাজী সাহেব আমার মেয়ে খুব ছোট।ওর বিয়ের বয়স হয়নি। মেয়ের স্বপ্ন লেখাপড়া করে চাকরি করবে।
গাজী একটা বিদ্রুপের হাসি দিয়ে বলল- ভিক্ষারীর আশা কত।তোর মেয়ে যদি চাকরি করে, তাহলে মানুষের বাসায় কাজ করবে কে? একটা কাজ করতে পারো তোর বাড়িটা আছে আমার কাছে বন্ধক রেখে দে।
মন্টু-গাজী সাহেব একটু দয়া করুন।বাড়ি বন্ধক দিলে কোথায় যামু।
গাজী:- দেখ মন্টু বন্ধক রাখলেই তো বাড়ি নিয়ে যাবো না। তুই পড়ে যখন ইচ্ছা টাকা শোধ করে টাকা দিব।
মন্টু:-ঠিক আছে গাজী সাহেব।
গাজী:- কত টাকা লাগবে?
মন্টু:- ৭০হাজার লাগবে।
গাজী বলল-তুমি টাকা পাবা পঞ্চাশ হাজার।
তার ভিতরে সুদ কাটা যাবে ১৮ হাজার।মোট পাবে ৩২ হাজার টাকা।
আর প্রতি এক বছর পরে মূল৫০ হাজারের সাথে ১৮ হাজার করে যোগ হবে।

মন্টু সব শর্ত মেনে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে আসলো। কিন্তু ডাক্তার বললো এই টাকায় অপারেশন হবে না। তাই স্বামী-স্ত্রী দুজনে বসে আছে।

হঠাৎ করে সেন্টু আর লিজা আসলো।সেন্টু কারো সাথে কথা না বলে অনুর রুমে চলে গেল। লিজা শ্বশুর-শ্বাশুরীর
কাছে গেল। সেন্টু ডাক্তারের সাথে কথা বলে ৪০ হাজার টাকা দিল।মোট ৭০ হাজার টাকা হলো। অপারেশন চলছে।

সেন্টু একা জানালার পাশে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। সেন্টুর সৎমা কাছে গিয়ে বলল- সেন্টু বাবা!?
সেন্টু সৎমায়ের কন্ঠ শুনে পিছনে ফিরলো।
কিন্তু কিছু বললো না।
মা:- আমি তোর মা হ‌ওয়ার যোগ্য না। আমি সারা জীবন তোকে সতিনের সন্তান ভেবে কষ্ট দিয়েছি। আজ আমার মেয়ে কে তুই না হলে বাঁচতে পারতাম না। তুই আমাকে মাফ করে দিস।
সেন্টুর মনে হয়তো সহানুভূতি হলো কিন্তু মনের কষ্ট,খোপ দূর হলো না। বলল- দেখুন পিছনের কথা মনে করে লাভ নেই।
আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন অনু সুস্থ হয়ে যায়।

মন্টু ছেলের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। আর সেন্টুর সাহায্য পেয়ে খুশি হয়ে গেছে। কিন্তু সেন্টুর কাছে গিয়ে কথা বলার সাহস হলো না। ছেলেকে কখনো খারাপ ব্যবহার ছাড়া কিছুই দেয়। শুধু স্বার্থপরে মতো বোঝা মনে করে দূরে সরিয়ে দিছে।
***000***000***
রিয়া গোসল করে নিজের রুমে যাচ্ছে, হঠাৎ করেই দেখলো সুমি সেন্টুর রুমে।বিছানা নিচে কি যেন লুকিয়ে রাখছে। রিয়া বলল-
আপু তুমি সেন্টুর রুমে কি করো?
সুমি:-না , কিছু না।বিছানায় অনেক ময়লা তাই একটু ঝেড়ে পরিস্কার করলাম।
রিয়া মনে মনে ভাবছে তুমি সেন্টু কে পছন্দ করো না। আবার তার বিছানা পরিস্কার করবে। কৌতুহলী মনে কিছু না বলেই রিয়া চলে আসলো।

বিকেলে খুব বৃষ্টি হচ্ছে, সেন্টু বারান্দায় বসে ভাবছে সুমির কথা। কোন এক রাতে সুমি জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে বলেছি তোমাকে ভালোবাসি। আজ থেকে আমি শুধু তোমার।
তুমি যা ইচ্ছে করো, আমার উপরে শুধু তোমার অধিকার আছে।আজো মনে হয় সে দিনের কথা। কিভাবে সব কিছু মানুষ ভুলে যায়। কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি স্মৃতিগুলো মুছে যায়। লজ্জা করে না কথা দিয়ে কথা না রাখতে।

রিয়া বলল- একা বসে তুমি কি করো?
সেন্টু:- কিছু না । অনেক বৃষ্টি তাই কি করবো।
রিয়া:- চলো আমরা টিভি দেখি।
সেন্টু:-সুমি কোথায়?
রিয়া:- আপু টিভি দেখে।
সেন্টু:- তুমি যাও। আমি গেলে তোমার আপুর খারাপ লাগবে।
রিয়া:- আমি আছি না, তোমাকে কিছু বললে আমি বুঝবো।
সেন্টু:‍-তারপর আমাকে দেখলেই বিরক্ত হয়। না গেলেই ভালো।

ছোট মামার একটা মেয়ে হয়েছে।
সেই খুশিতে বাড়িতে ভিরাট অনুষ্ঠান করবে। সাউন্ড বক্স আনলো, ড্যান্সার আনছে। সমস্ত আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করা হলো। সারা রাত দিন নাচ গানের ধুম চলছে। বাড়িতে যত কাজ সেন্টুর ঘাড়ে উঠেছে।বিশ ত্রিশ কলসি পানি আনা, লাকড়ির জন্য কাট তৈরি কর, দাওয়াত দেয়া, রান্না বান্না সহ সব কাজে সেন্টু। সবার মতো বসে একটুখানি নাচ গান দেখার ইচ্ছা থাকলেও তা হলো না।

উঠানে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে রাখছে দুপুরে মেহমানদের খাওয়াবে। সেন্টু ক্লান্ত হয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়লো। সাথে সাথে তিন চার জনে ধমক দিয়ে বলল- এখানে বসেছো কেন ?তোর কাজ নাই কোন? সর ওখানে মেহমান বসবে।
সেন্টু উঠানে ভর্তি মানুষের ভিতরে এভাবে অপমানিত হয়ে, সাথে সাথে চেয়ার ছেড়ে উঠে গেল। আজকে হয়তো এভাবে অপমান না করলেও পারতে। যদি উঠতে বলতো তাতে কি উঠতাম না?
সেন্টুর খুব কষ্ট লাগলো। মনে মনে ভাবছে গরিব হলে তারা কি মানুষ না? গরিব কে কেন সবাই পশুর মতো অপমান করে?
আবার সব কাজ তো এই গরিব ছাড়া হয় না।

সেন্টু সারা দিন কাজ করে না খেয়ে রাতে বড় মামার বাসায় আসলো।
সবাই ছোট মামার বাড়িতে নাচ গানের আসর জমিয়ে আড্ডা দেয়। বাসা এসে দেখলো রুম খোলা। সেন্টু ভাবছে চোর আসলো না কি? তাই সব রুমে গিয়ে দেখল।

সুমির রুমে ঢুকতেই দেখলো রেজা আর সুমি কে। সুমি উন্মুক্ত শরীরের উপরে রেজা।অর্ধানগ্ন অবস্থা দুজনে জড়িয়ে আছে। তাদের এই অবস্থায় দেখে সেন্টুর চোখে দিয়ে জল পড়ছে। ভালোবাসার মানুষটির এমন রুপে দেখা।কতটা কষ্টের, কতটা যন্ত্রণা দায়াক হয়তো সবাই বুঝতে পারবে না। সেন্টুর বুকের উপরে কষ্টের একটা পাহাড় পড়লো। মনে হচ্ছে ৪৩৬ভোল্ট বিদ্যুৎ এর সক লেগেছে। চিৎকার দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে সেন্টু শূন্যের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। পায়ের নিচের জমিয়ে গুলো সরে যাচ্ছে। দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে কোন ভাবে দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
চলে যেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পা অবশ হয়ে গেছে। হাঁটতে পারছে না।

হঠাৎ করেই রেজার চোখ পড়লো সেন্টুর দিকে। লাফিয়ে উঠলো সেন্টু বলে।
সুমি চাকরের বাচ্চা বলে,মা বাবা তুলে ইচ্ছে মতো গালি দিল। চার পাঁচটা চড় মেরে যেতে বললো। সেন্টু শুধু চেয়ে রইল হাঁটার শক্তি নেই। রেজা ঘাড় ধরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল।
সেন্টু আস্তে আস্তে অনেক কষ্টে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল।

সারা রাত সেন্টু কান্না করে কাটিয়ে দিল। শুধু একটা কথাই বলছে কেন তাকে ভালো বাসলাম? আমার মতো অশিক্ষিত,গরিব মানুষের মন থাকতে নেই। হৃদয় থাকতে নেই। আমাদের মতো গরিবের জীবন ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই। এই মন কেন আইছো তুই এই গরিবের দেহে?
তুই ভুল করছো জানো না গরিবের মন থাকতে নেই? এখন তার মজা বোঝ।
তোকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিব। কেন গরিবের দেহে আইছো?

সারাটা রাত কেটে গেল নির্ঘুম,চোখের জলে। বুকের ভেতরটা শুধু চিন চিন করে ব্যাথা করছে। সেন্টু আর কারো সাথে কথা বলে না। রিয়া হাজারটা প্রশ্ন করলেও হয়তো একটা উত্তর পায়। সেন্টুর হৃদয়ে কষ্টের আগুনে পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। শুধু মাঝে মাঝে গভীর জঙ্গলে গিয়ে একা চোখের জল ফেলে। মাঝে মাঝে বুক ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠে। আবার হঠাৎ করেই চুপ হয়ে যায়।

সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে, সেন্টু কোদাল নিয়ে মাঠে যায়। ভোরে না খেয়ে জমিতে দুপুর পর্যন্ত কোদাল দিল।
দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে সেন্টু চুপ করে বৃষ্টির ভিতরে উঠানে একা বসে রইল।
বৃষ্টি শেষে কিছু খাবার খেয়ে কাজে চলে গেল।

সবাই দেখলো সেন্টু সারা দিন প্রচন্ড কাজ করে। ঠিক মতো খায় না,কারো সাথে কথা বলে না। রিয়া বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছে। কিন্তু কারণ বুঝতে পারছে না।
বিকেলে রিয়া বলল- ভাইয়া তোর কি হয়েছে?
সেন্টু কিছু না, বলে চলে গেল।
রিয়া দৌড়ে এসে বলল- তাহলে কারো সাথে কথা বলো না কেন?
সেন্টু:- এমনি, ইচ্ছে করে না তাই।
রিয়া- আপু তোমাকে কিছু বলছে?
সেন্টু:- আরে না, তোমার আপু আবার কি বলবে?
রিয়া- সত্যি করে বলো তোমার কি হয়েছে?
সেন্টু:- কিছু না। আমার একটু কাজ আছে বলে সেন্টু চলে গেল।

সেন্টুর আর এই বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করে না। মনে হচ্ছে এই বাড়িটা একটা জেলখানা। কোথায় যদি চলে যেতে পারতো হয়ত একটু শান্তি পেত। সেন্টুর মনটা বড় বেশি অস্থির হয়ে আছে। নিজকে মনে হচ্ছে একটা খাঁচার বন্দী পাখি। যদি কখনো এই খাঁচা ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু কোথায় যাবে? গরিব মানুষ তো সব জায়গায় চাকর ছাড়া কিছুই হয় না। গরিবেরা তো মানুষ না।
এখানে মানুষের কাজ করি, যেখানে যাবো এক‌ই কাজ করতে হবে।সব খানেই এভাবে গরিবদের অপমান সইতে হবে। পৃথিবীর কোথাও গরিবদের সম্মান করে না। তাদের মানুষ ভাবে না। তাদের যে মন আছে, তাদের কষ্ট হয়।বড় লোকেরা তা জানে না। গরিবের যে ভালো মন্দ খেতে ইচ্ছে করে তা কখনো তারা বুঝবে না। নিজেরা দামি সুস্বাদু খাবার খাবে। গরিব মানুষ তা তৈরি করে পরিবেশন করবে। জীবনে কখনো খেতে না পারলেও আশা করতে পারবে না ‌। কারণ তারা গরিব মানুষ, তাদের সব খাবারের অধিকার নেই। ভালো পোশাক তাদের মানায় না।শুধু বাসি পানি ভাত খেয়ে সারা দিন কাজ করতে হবে।
***০০০***০০০***
অনু সুস্থ হলো বাড়িতে নিয়ে গেল।
লিজাও সাথে গিয়ে ঔষুধ,ফল মূল কিনে দিল।
লিজা শ্বশুর-শ্বাশুরীর কাছে গিয়ে বলল- আমি যাই কোন সমস্যা হলে জানাবেন?
লিজার শ্বাশুড়ি বলল- আজকে দিনটা থেকে গেলে হয় না?
লিজা:- না, বাড়িতে অনেক কাজ, আপনার ছেলে দোকানে খুব ব্যস্ত থাকে। রান্না বান্না ঝমেলা।
শ্বশুরী:- মা আমাকে তোমরা মাফ করে দিও?
লিজা:- শ্বশুরীর হাত ধরে বলল-মা এ কথা বলবেন না। আপনি আমার মায়ের মতো।
পড়ে এসে অনু কে দেখে যাবো।
মন্টু বলল-দেখ তুমি তো আমার মেয়ের মতোই। আমি জানি সেন্টুর সাথে অন্য করছি। আমি ভুল করেছি সেন্টু কে বলি আমাকে মাফ করে দিতে।
লিজা:- বাবা আপনি সব কিছু ভুলে যান। আপনার ছেলে আপনাদের অনেক ভালোবাসে। সব এক দিন ঠিক হয়ে যাবে।

সেন্টুর বড় একটা দোকান ঘর ভাড়া নিল।এক পাশে মুদি-মাল, অন্য পাশে গার্মেন্ট মালা-মাল। সারা দিন বেচা-কিনার ধুম চলছে। সেন্টুর একা সামলাতে কষ্ট হচ্ছে।
লিজাও একা ঘরের কাজ করে,কাপর কাটা, সেলাই করে পোশাক তৈরি করা।একা এতটা পারছে না। কিন্তু সেন্টু কেও বলতে পারছে না। রাত এগারোটা বেজে গেছে সেন্টু বাসায় আসলো।
লিজা তখন সেলাই মেশিনে কাজ করে।
সেন্টু বলল-এতো রাতে ঘুমাও নি কেন?
লিজা:- কাজটা শেষ করে নিই। কালকে ডেলিভারি করতে হবে।
সেন্টু:- খাইছো তুমি?
লিজা:- সময় পাইনি। তুমি হাত মুখ ধুয়ে আসো আমি খাবার দিচ্ছি।
লিজা খাবার দিয়ে কাজে গেল, সেন্টু ডাকলো.. লিজা এদিকে আসো তো?
লিজা বিরক্ত হয়ে বলল-এই মানুষটি কাজ করতে দেবে না।

কাছে এসে বলল-কি হয়েছে তোমার? খাবার দিছি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বে।
সেন্টু হাতটা ধরে কাছে টেনে নিয়ে বলল-
তোমার খুব কষ্ট হয় তাই না?
লিজা:- ছাড়ো আমার অনেক কাজ আছে।
সেন্টু বলল-ঠিক আছে আমার সাথে একটু ভাত খেয়ে যাও।
লিজা:- ওগুলো সব সেলাই করতে হবে তো।
সেন্টু:- চুপচাপ বসে খেয়ে নাও তারপর কাজ। বলে মুখে খাবার তুলে দিল।

দুজনে একসাথে খেয়ে নিল। লিজা বলল- বেচা কিনা কেমন চলছে?
সেন্টু:- খুব বেশি ভালো।ভাবছি তোমাকে নিয়ে যাবো। দোকানের পিছনে একটা রুম করবো। রাতে বাড়িতে আসতে ঝামেলা।
আর একটা লোক রাখবো।
লিজা:- তাতে অনেক বেশি খরচ পড়বে।
সেন্টু- তাতে সমস্যা নাই তখন অনেক বেশি বিক্রি হবে। একটা লোক রাখবো যে, কাপড় দেখিয়ে কাপড়ের মাপ নিবে।আর সেলাই করবে। তুমি শুধু কাপড় কেটে দিবা।
লিজা:- তাই ভালো হবে। আমার কষ্ট একটু কম হবে।

**(বন্ধুরা এতো দিন লেখা দেয়া হয়নি। কারণ এক মাসের জন্য একটা প্রেম করেছিলাম। সারাটা দিন তাকে সময় দিতে হয়েছে। তারপর বিয়ে করলাম, দুটো বাচ্চা হলো। তারপর ব‌উ আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেল।এই এক মাসের প্রেমের গল্প। গল্পটা তোমাদের উপহার দিলাম এখনি পড়ুন "অনলাইন ব‌উ" গল্পটি)আমার জীবনে এক মাসের প্রেমের কাহিনী এটা কালকে ব্রক‌আপ হয়েছে।
‍‍(বোবা কান্না আগামী পর্বে শেষ করতে চাই)
পুরানো গল্প লিখতে ইচ্ছে করে না। এরপর ছোট গল্প লিখবো। নতুন গল্প পেতে সবাই ফলো করুন। লাইক, কমেন্ট, এবং রেটিং দিতে ভুলবেন না।
184 Views
3 Likes
1 Comments
5.0 Rating
Rate this: