দূরের রোদ্দুর (পর্ব ২)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
নীলিমা বসে পরলো চেয়ারটাতে। আর মনে মনে নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে কেন চুইনগাম লাগাতে গেল হুট করে চেয়ারটাতে । সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ উঠে পড়েছে সবাই কিন্তু নীলিমা এখনো বসে আছে। সে উঠছে না তাকে নিয়ে সবাই উপহাস করবে বলে। পাশ থেকে তখন রোদ্দুর নীলিমাকে বলছে কেমন লাগে দেখ এখন ও আমাকে যখন বসাতে চাইছিলি আমার ঠিক এমনই লাগত। গোমরা মুখ করে চুপ করে বসে আছে নীলিমা। “এই নে আমি তোর মত নিষ্ঠুর না তোর জন্য একটা জামা নিয়েছি দেখ তোর ব্যাগ থেকে, চেঞ্জ করে আয়" ,রোদ্দুর।

সবাই আবার বাসে উঠে পড়েছে। বাস চলতে শুরু করেছে। সবাই একতালে গান গাচ্ছে আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবো না....। হঠাৎ নাতুলের মা ফোন করে বলে তোর এখন কোথায় আছিস। উত্তরের রাতুল বলে,“এইতো মা বাসের মধ্যে "মা বলছে আমাকে এক্ষুনি ভিডিও কল কর তোকে আমার বিশ্বাস নেই। রাতুল কল টা কেটে দিয়ে ভিডিও কল করে। রাতুলের মা প্রথমেই বলে নীলিমা কোথায় , ওকে দেখছি না কেন ওকে আমাকে একটু দেখা তো। মেহজাবিনের মুখ বেজার হয়ে যায় । নীলিমাকে দেখে রাতুলের মা বলে একটু স্বস্তি পেলাম যাক এবার পাগল ছেলেটাকে নিয়ে আমার চিন্তা করা লাগবে না নীলিমা যখন আছে । বলে কলটা কেটে যায়।

সবাই আবারো গান গেতে শুরু করে । কিন্তু মেহজাবিন জানালার দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে আছে । মেহজাবিনের পাশে বসে আছে শ্রেয়া । এমন কি হয়েছে তোর যে তুই আমাদের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী চুপ করে আছিস । সামনে থেকে নিহান বলে বুঝতে পারছিস না কি হলো , আমি বলছিলাম আমাদের রাতুল বাবার মা নীলিমার কথা জিজ্ঞেস করেছে আরো বলেছে নীলিমাকে দেখে স্বস্তি পেয়েছে । এইজন্য তোর মন খারাপ। অনিশা বলে ওতো ঢং আমার কিসের রে । আমি বাবা ভালো আছি খাচ্ছি ফিরছি খুশি আছি এইতো জীবন। নীলিমা, এই সবাই চুপ কর আগের মত যেমন ছিলি তেমন হয়েছে এত মুড অফ করে লাভ নেই । রোদ্দুর , তুমি আবার কে বলিস, তোর প্রশংসা করেছে তোর কি খারাপ লাগবে? চিৎকার করে মেহজাবিন, তোরা সবাই মিলে হইচই বন্ধ কর । আমি ভালো আছি। আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছে কিন্তু এবার আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে শুরু হয়ে যাচ্ছে তো আবার রোদ্দুর আর নীলুর ঝগড়া। তোদের ঝগড়া সহ্য করার মতো না দু'ঘণ্টা চুপ থাকে সে চার ঘন্টা ঝগড়া করিস। “ আচ্ছা আচ্ছা সবাই মাথার ঠান্ডা কর কারোর রাগ করতে হবে না ঝগড়াও করতে হবে না। দেখ আমরা সাজেকের প্রায় কাছাকাছি চলেই এসেছি আধ ঘন্টার মধ্যে নামতে হবে ,"নিহান। রাতুল,"আসলে এত সুন্দর না জায়গাটা মনে হচ্ছে না মেঘের উপরে দিয়ে যাচ্ছি"।"আরে বলদ আমরা এখনো মেঘের উপর দিয়ে যায় নাই কিছুক্ষণ পরেই যাবো, নীলু"। রোদ্দুর,"সবাই সবকিছু নাও জানতে পারে তাই বলে তাকে বলদ বলতে হবে না"।“হুম হুম এসেছে আমাদের মোটিভেশনাল স্পিকার, নিজে যখন মানুষকে প্যাক প্যাক করে বকবক করেই যায় মানুষকে জ্ঞান দিয়ে বেড়ায় তখন কিছু হয় না আর আমি কিছু বললেই তো দোষ, নীলু।" শ্রেয়া, তোরা আবার শুরু করলি এবার একটু থাম।"মনে হচ্ছে আমরা কোথাও বেড়াতে যাচ্ছি না ডিবেট করতে যাচ্ছি সেটারি প্র্যাকটিস চলছে গাড়ির মধ্যে ।

রাতুল, " সবাই নামো আমরা পৌছে গেছি।"অনিশা, ভালোই তো এত তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেলাম।"
রাত আটটা বাজে, অন্ধকারে মানে খুব একটা অন্ধকার না ল্যাম্পের আলো জ্বলছে সবাই প্রায় নেমে গেছে , রোদ্দুর আগেই নেমে গেছে গাড়ির মধ্যে আছে মেহজাবিন আর নীলিমা। নীলিমা নামতে গিয়ে কাদার মধ্যে পা ডুবিয়ে পড়ে যেতে লেগেছিল প্রায় তখনই হুট করে কোত্থেকে জানি রোদ্দুর এসে ওকে ধরে ফেলে ..

চলবে........
Part 3 coming soon.

212 Views
2 Likes
5 Comments
3.3 Rating
Rate this: