#তোমার_অপেক্ষায়
#পর্ব ১০
রাত্রে খাওয়াদাওয়ার পাঠ চুকিয়ে সবাই বসেছে আড্ডা দিতে।আরাফ গিটার হাতে বসে আছে, আরাফ খুব ভালো গান গাইতে পারে,,যার জন্য মাঝে মাঝেই গান গাইতে দেখা যায় তাকে।আজকেও সবার জোরাজুরিতে গান গাইতে রাজি হয়েছে।
_নে এবার শুরু কর।ফায়াদের কথায় নিধি বললো_
_স্রোতস্বিনী গানটা গান ভাইয়া।আরাফ বললো_
_আচ্ছা।
পুরো গান গাওয়ার শেষ করতে সবাই হাত তালি দিলো।নিধি আরাফের গাওয়া প্রত্যেকটা লাইন খুব মনোযোগ সহকারে শুনেছে।কী চমৎকার গান গায় লোকটা গানের সুরও কত সুন্দর? দেখতেও কী সুর্দশন লোকটা।আচ্ছা এই লোকটার পাশে নিধিকে কেমন লাগবে??পরক্ষনেই নিজের মাথায় নিজে চাটি মারে নিধি...এসব কী ভাবছে ও??
_বেশ ভালো গান গাওতো তুমি ভাই।অনিকের কথায় আরাফ হেসে বললো_
_ওই পারি একটু আকটু।
_পূর্ণআপু তুমিওতো গান পারো।তুমি একটা গান গাও না।জান্নাত এর কথায় পূর্ণতা দুই দিকে মাথা নারিয়ে বললো_
_না না আমি এসব গান টান গাইতে পারি না। আরাফ বললো_
_মিথ্যা বলোস কেন??তুইও তো খুব ভালো গান গাইতে পারোছ। নিধি আর ফারিন ও বললো_
_এমন করো কেন? একটা গান প্লিজ.... এবার ফায়াদ ও বললো_
_সবাই এত করে যেহুতো বলছে না করো না পূর্ণতা।এবার যেন পূর্ণতা না করতে পারলো না।
_আচ্ছা ঠিক আছে।কিছুক্ষন চুপ থেকে তারপর গান ধরলো পূর্ণতা_
"আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই থাক।
সব পেলে নষ্ট জীবন...
তোমার এই দুমিয়ার ঝাপসা আলোর
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাচের মতো
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও
দূরবীনে চোখ রাখনো না না না".....
পূর্ণতা গান শেষ করতেই আকাশ জোরে শিষ বাজিয়ে উঠলো।
_অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছো।সবার এমন প্রশংসায় পূর্ণতা লজ্জা পেলো।
অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দেওয়ার শেষে সবাই ঘুমাতে চলে গেলো।
________________________________________
সূর্যের আগমনে আরো একটি দিনের সূচনা হলো।সবাই সবার ব্যাগ গোছাতে ব্যাস্ত।কেননা আজকেই ঘুরতে আসার শেষ দিন।তাই সবাই সকালের নাস্তা করেই বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হবে।
নিধি খেতে খেতে বললো_
_এই দুইটাদিন আমার জীবনের বেস্ট দিন ছিলো।আবার কবে না কবে দেখা হয় কে জানে।কিন্তু তোমাদের অনেক মিস করবো।পূর্ণতা মন খারাপ করে বললো_আমরাও তোমাদের মিস করবো। এটা সত্যিই যে পূর্ণতা ওদের সাথে যতটা ঘনিষ্ট হয়েছে অন্য মানুষের সাথে তেমন মন খুলে কথাও বলে নাই।
_আরো দুইদিন থেকে যাই না? তোরা এমন করছিস কেন?আকাশের কথায় নাইম বললো_
_হ্যা থেকে যাই।আর এইদিকে যে ফায়াদ দুইদিনের কথা বলে এসেছে নানাভাই কে তার কী হবে??আকাশ এবার বললো_
_তাও ঠিক।ফায়াদ রুটি চিবোতে চিবোতে বললো_
_এখান থেকে যাওয়ার দুইদিন এর মধ্যেই বাড়ি ফিরে যাবো।অনেক ছুটি কাটিয়ে ফেলেছি। ফারিন খাওয়া বাদ দিয়ে বললো_
_এটা কী বললা ভাইয়া?? আরো কিছুদিন থেকে যাই আবার কবে না কবে আসি।ফায়াদ বললো_
_তোদের ছুটি আছে তোরা থাকিস।আমার হাতে আর ছুটি নেই। এবার অনিক বললে_
_তোর হাতে কবেই ছুটি ছিলো??দেখা গেলে তোর বিয়ের দিনও তুই ছুটি না নিয়ে বসে বসে রোগী দেখছিস।ফায়াদ বললো_
_তোরা এত রিয়েক্ট করছিস কেনো,? তোদের থাকতে না করছি?? তোদের থাকতে মন চাইলে তোরা থাকবি।
আরাফ বললো_
_সবাই এতো করে বলছে এমন করছিস কেনো?? এবার পূর্ণতাও বললো_
_এমন করেন কেন ভাইয়া? আর কিছু দিন থেকে যান না?পূর্ণতার কথা শুনে ফায়াদ পূর্ণতার দিকে চাইলো।পূর্ণতা মাথা নিচু করে আছে।ফায়াদ ছোট করে জবাব দিলো_
_দেখি চেষ্টা করবো।
আকাশ নাইমের কানে ফিসফিস করে বললো_
_দিখছিস বললাম না??ব্যাটায় প্রেমে পরছে।নাহলে সবাই বলার পরও না না আর দেখ পূর্ণতা বলার পরে কেমনে বলে দেখি?ফায়াদ আকাশের পাশে বসায় আকাশপর ফিসফিসানি ফায়াদ শুনতে পেলো তাই ফায়াদ পা দিয়ে আকাশের পায়ে জোরে লাত্থি মারলো।আকাশ চিৎকার করে দারিয়ে গেলো।আকাশের এমন চিৎকারে সবাই ভরকে গেলো সবাই বললে_কী হয়েছে?
আকাশ ফায়াদের দিকে কটমট চোখে তাকালো ফায়াদ এমন একটা ভাব নিলো যেন সে কিছুই করে নাই।
_কী হয়েছে ভাইয়া??নিধির প্রশ্নে আকাশ বললো_
_না না কিছু না এমনেই।
চলবে.... 🦋
তোমার অপেক্ষায় (পর্ব ১০)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
375
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating