তোমার অপেক্ষায় (পর্ব ৩)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
নিচে গিয়ে যেই দৃশ্য দেখতে পেলো তা দেখে পূর্ণতা অস্থির হয়ে ওঠলো।আরিফ শেখ এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো_
_দাদুভাই তুৃমি এমন করছো কেনো? বেশি কষ্ট হচ্ছে তোমার?
আরিফ শেখ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেছে।
_বলোনা দাদু বেশি খারাপ লাগছে?
_আমি ঠিক আছি দাদু।
এই কথাটুকু বলতে গিয়ে তিনি হাপিয়ে গেলেন।
আরিফ শেখ এর সামনে বসে মাহমুদা বাতাস করছে আর কামেনি মাথায় পানি ঢালছে।
ফায়াদ যেহুতো একজন ডাক্তার তাই সে সামনে এসে আরিফ শেখ এর সামনে বসলো
ছোট মামি আপনাদের ডায়াবেটিস মাপার মেশিন আছে??মাহমুদা বললো হ্যা আছে?
নিয়ে আসুন।ফায়াদের কথা শুনে মাহমুদা মেশিন ফায়াদ কে এনে দিলো।
ফায়াদ ডায়াবেটিস মেপে দেখে ডায়াবেটিস ৪ এর নিচে।
বেশি করে চিনি দিয়ে এক গ্লাস সরবত বানিয়ে আনেন তারাতারি।
কামেনি জলদি সরবত বানিয়ে এনে দিলো আরিফ শেখ কে খাইয়ে দিলেন
দশ মিনিট পর আরিফ শেখ একটু সুস্থ হলো।
ডায়াবেটিস লো হওয়ার কারনে এমনটা হয়েছে চিন্তা করার দরকার নেই।
ফায়াদের কথা শুনে সবাই যেনো একটু শান্ত হলো।
ফায়াদ আবার বললো তবে শরীর প্রচুর দুরবল আমি কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধ লিখে দিচ্ছি।
কালাম সাহেব ঔষধ আনতে বাজারে চলে গেলো।
পূর্ণতার কান্না থামলেও হিচকি থামলো না
_রিলেক্স পূর্ণতা।নানাভাই এর কিছুই হয় নাই।ফায়াদ এর কথায় আরিফ শেখ বললো_
_আমি ঠিক আছি দাদুভাই।এখন ভালো লাগছে আর কেদো না।
পূর্ণতা কোনো হেলদোল নেই সে আগের মতোই দাদার হাত ধরে বসে কান্না করছে।
ঠিক ওইসময় ঘরে প্রবেশ করলে আরাফ।কামেনি ছেলে কে দেখে সেইখানে চলে গেলে..... মাকে দেখে আরাফ তাকে জড়িয়ে ধরলো।সবাই সেই দিকে দৃষ্টি দিলো।জান্নাত ও ভাই এর কাছে গেলো একে একে সবার সাথে কথা বলা শেষ হলে আরাফ কে রুমে নিয়ে গেলেন কামেনি।
আরিফ শেখ ঘুমিয়ে যাওয়ার কারনে সবাই সবার রুমে চলে গেলো।
পূর্ণতাও বের হলো সিড়ি বেয়ে যাওয়ার পথেই আরাফ এর সাথে দেখা হলো পূর্ণতার।
_বড় হয়ে গিয়েছেস?আরাফ এর প্রশ্নে খানিকটা অপ্রুস্তত হলেও পরক্ষণে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বললো _
ছোট থাকতে বলেন নাকি ভাইয়া?? বয়সের সাথে সাথে মানুষ বড় হয় এটাই স্বাভাবিক।
আরাফ হাসলো।আরাফ এর শীতল দৃষ্টির দিকে চেয়ে পূর্ণতা নিচু হয়ে বললো.....এখন যাই কাজ আছে আমার। বলেই এক মূহুর্ত দেরি করলো না দ্রুত নিজের রুমের দিকে পা চালালো।
এখন পালাই পালাই করলে চলবে পূর্ণরানী??তোমাকে আমি সারাজীবনের জন্য মনে বন্ধি করে রাখবো...শুধু সময়ের #অপেক্ষা।
আরাফ মনে মনে কথাগুলো বলে মুচকি হাসলো
************************
আরিফ শেখ কে ঔষধ খাওয়াতে গিয়ে চিনতায় পরে গেলো পূর্ণতা..... ফায়াদ ঔষধ লিখে দিয়েছে ঠিকিই কিন্তু কোনটা কোন বেলায় খেতে হবে সেইটা লিখে দেয় নাই।সবশেষে পূর্ণতা কেনো উপায় না পেয়ে ফায়াদ এর কাছে গেলো।

ফায়াদ ফোনে কারো সাথে কথা বলছিলো তখনই দরজার বাইরে একটি নমনীয় কন্ঠ ভেসে এলো_
_আসতে পারি??
_আসো।
পূর্ণতা ভেতরে ঢোকার সময় তৎখনাত পায়ে কিছু একটা বেধে পড়তে যাবে ওমনেই শক্তপোক্ত একটা হাত তাকে আগলে নিলো। তারপর ফায়াদ পূর্ণতাকে ছেড়ে নিজেকে সামলে সটান হয়ে দাড়ালে।
_কিছু বলবে?? ফায়াদের কথায় পূর্ণতা বললে_
_দাদুর কী দুপুরে কোনে ওষুধ দিয়েছেন??
_এখন আর খাওয়ার দরকার নেই।রাত্রে খাইয়ে দিও
পূর্ণতা শুনে চুপচাপ রুম থেকে চলে গেলো।
ফায়াদ এখনো........
চলবে..... 🦋
251 Views
3 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: