মা আমার জীবন

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
মাহিন বাবা মায়ের সপ্তম সন্তান। ভাই বোনের থেকে সবার ছোট। ছোট থেকেই মাহিন পড়ালেখায় বেশ ভালো। দিন যাচ্ছে মাহিন বড় হচ্ছে। মাহিন সবসময় দেখতো তার মা চুপচাপ পসে থাকতেন কিন্তু মাহিন বুঝতো না কি জন্য মা চুপচাপ থাকেন? একদিন তার দাদি কে জিজ্ঞেস করলো।দাদি মা সবসময় চুপচাপ বসে থাকে কেনো।দাদি উত্তর দিলো চিন্তা টেনশনে। কিন্তু মাহিন বুঝতো না চিন্তা কাকে বলে টেনশন কাকে বলে ,ডিপ্রেশন কাকে বলে, অভাব কাকে বলে।তাই আবার জিজ্ঞেস করলো দাদি চিন্তা টেনশন কাকে বলে? দাদি উত্তর দিলেন তুই বুঝবি না ভাই।বড় হয়ে বুঝবি।মাহিন অপেক্ষা করতে লাগলো কখন আসবে সেই দিন।

মাহিনের বয়স তখন ১৮ মাহিনের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো।মাহিনের মাথায় সংসারের চাপ দায় বার পরতে লাগলো। মাহিনও বুঝতে লাগলো।চিন্তা ডিপ্রেশন অভাব কাকে বলে।বুঝতে পারলো তার ইস্কুলের বেতন দিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে তার বাবা মায়ের। মাহিন চিন্তা করলো না তার কিছু একটা করতে হবে তার বাবা মাকে সাপোর্ট দিতে হবে। বেচে নিলো ফ্রিল্যাংসিন।

কিছু দিন করার পর প্রতারনার শিকার হলো মাহিন। যাকে টাকা দিয়েছিলো শিখানোর জন্য সে পালিয়েছে শিক্ষাএীদের টাকা নিয়ে।। এরকম ভাবে হাজারো ধুকা খেয়েছে দিন কয়েক বাদে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হলো। শুরু করলো একটা জব কিন্তু সেখানেও প্রতারনা, দশ হাজার টাকা বেতন দিবে বলে এখন দিলো মাত্র চার হাজার, কিন্তু মাহিনের আর সহ্য হচ্ছিল না বাবা মায়ের কষ্ট। তাছাড়া মাহিন সবসময় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতো নিজের ভবিষ্যৎ সামনে কি হবে টাকা না থাকলে মোট কথা মাহিন হারে হারে টের পাচ্ছিলো বাস্তবতা কত কঠিন। টাকা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ দাম দেয় না সেটাও বুঝতে পারছিলো৷ কিন্তু সবসময় সপ্ন দেখতো তার ভবিষ্যৎটাকে সুন্দর করার বাবা মাকে সুখে রাখার।কিন্তু সপ্ন আর পুরন হয় না।কিছুদিন পর মাহিন ইস্কুলে গেলো এবং তার স্যারকে বললো স্যার,আমি আর ইস্কুলে পড়ছিনা। স্যার জিজ্ঞেস করলো কেনো বাবা? মাহিনের চোখ তখন জলে জলমল করছিলো স্যার বুজে গেরো মাহিন কি জন্য আর পড়বেনা স্যার বললো মাহিন তুমি আজ থেকে আমাদের এখানে ফ্রিতে পড়াশোনা করবে কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না মাহিন বললো না স্যার তবুও আমি পরবো না কারন মাহিন জানতো৷ ইস্কুলে ফ্রিতে পড়াশোনা করলে স্যারেরা কত অবহেলা করে তার কিছু দিন বাদে মাহিন সিদ্ধান্ত নিলো বিদেশ যাবে মায়ের সাথে কথা বলে ঠিক করলো বিদেশ যাবে।

মা রাহেলা বেগম বাবা আসলাম সাহেবের কাছে গিয়ে বললেন ওগো শুননা আমাদের যেহেতু এত অভাব এত সমস্যা তাছাড়া ছেলেটাও পড়ালেখা করছে না অভাবের কারণে বাকি ছেলে মেয়েতেরও তো কোনো ইনকাম সোর্স খোলা নেই তাই আমি বলি কি তুমি মাহিন কে বিদেশ পাঠিয়ে দাও কিন্তু বাবা আসলাম সাহেব মুখস্থ না বলে দিলেন কারণ বাবা আসলাম সাজেবের বড় সপ্ন ছিলো ছেলে মাহিনকে নিয়ে ছেলে বড় হবে বড় মানুষ হবে ছেলেকে নিয়ে গর্ব করবে লোক সমমুখে। তাই রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু মাহিন ভাবতো আদৌও কি বাবা জানের সপ্ন গুলো পুরন হবে? মাহিনের ভিতর থেকে সবসময় নরম একটা আওয়াজ উত্তর দিতো না। এখন প্রশন হচ্ছে তাহলে মাহিনের বড় ভাই বোন তাড়া কি করেন কেনো মাহিনের উপর এত চাপ এত অভাব? উত্তর মাহিনের দুই বোন তাড়া যখন পড়াশোনা করতেন তখন বাবা আসলাম সাহেবের ইনকাম সোর্স ভালো ছিলো এবং মাহিনের বড় ভাই নাহিয়ান পরিবারের অনেকটা খরচ বহন করতো এখন আর খরচ বহন করে না না বহন করারি কথা বেচারা আর কত দিন সাপোর্ট করবে নিজেরতো একটা ভবিষ্যৎ আছে তবুও এটার পিছনে একটা কাহিনি দামাচাপা হয়ে যাচ্ছে মনে হয় একটা মানুষ তার পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাবে আর কোনো কারণ থাকবে না এটা কোনো কথা? আর কাহিনিটা হলো নাহিয়ান যখন একটা প্রাইভেট কোম্পানিকে জব করতো তখন তার ইনকাম ভালো হওয়ার কারনে / হাতে প্রচুর পরিমান টাকা থাকার কারনে তার মনে দুষ্ট বুদ্ধি আটতে থাকে শয়তান কিছুদিন পর নাহিয়ান একটা রাস্তার মেয়েকে ঘড়ে তুলে নিয়ে আসে কিন্তু এটা তার বাবা / মা মেনে নিতে পারে নি মেনে নেওয়ার রি কথা না কারণ মাহিনের বাবা সৎ এবং পরিশ্রমীক দানশীল হওয়াতে মানুষ তাকে খুব সম্মান করতো এই সম্মান হারার ভয়েতে মানুষকে কিভাবে মুখ দেখাবে এই ভয়ে ছেলে নাহিয়ান এবং তার ওয়াফকে বাড়িতে জায়গা দিতে সখ্যম হয় নি। এর পর থেকে পরিবারের সাথে নাহিয়ানের সম্পর্ক পাঠল ধরতে শুরু করে।অন্য দিকে মাহিনের বড় দুই বোনকে অনেক আগেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।

আর বাকি তিন ভাইয়ের থেকে একজন বিয়ে করে তার মতো করে আছেন আর দুই ভাই চাকরির খুজে ব্যাাসত সময় পার করছেন এদিকে মাহিনের মা প্রতিদিন রাতের গভীরে তাহাজ্জুদে কান্না করে করে পার্থনা করতেন রবের কাছে ওগো রব আপনি একটা ব্যবসতা করে দেন আপনার কাছে কি না আছে এভাবে করে করে প্রতিদিন রাতের গভীরে কান্নায় মগ্ন থাকতেন এদিকে মাহিন পারার ছেলেফেলেদের সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো কিছুদিন বাদে মা রাহেলা বেগম বাবা আসলাম সাহেবের বিনা অনুমতিতেই ছেলে মাহিনকে বিদেশে পাঠায় একটু খানি সুখের বাতি দেখে মরার জন্য ছেলে মাহিন তিল তিল করে কষ্ট শুরু করে বাবা মাযের মুখে একটু খানি হাসি ফুটানোর জন্য মাহিনের বয়স তখন ২৬ আর প্রবাস জীবনের বয়স ৬ বছর কিছুটা সফল হওয়া শুরু করলো কিছুটা সুখের হাসি হাসতে লাগলো সুখের বাতি একটু একটু করে জলতে লাগলো কে জানতো এই মুহুর্তে নেমে আসবে সুগের ছায়া কে জানতো এমন একটা মুহুর্তে আসবে যেটা সবাই কে নিস্তব্ধ করে দিবে সবার নিস্ষাসটাকে দীর্গস্সাশে পরিনত করে দিবে মাহিন চয় মাসের ছুটি নিয়েছে মায়ের কাছে থাকবে বলে মায়ের সুখের হাসিটা দেখবে বলে ভাগ্যের কি পরিহাস মাহিন আসার আহ মুহুর্তে মা রাহেলা বেগমের মৃত্যু হয় আর মাহিন দেশে আসে এসে দেকে মায়ের ঘরটা খালি মাহিন মা মা বলে চিতকার করতে থাকে কিন্তু মায়ের ঘর থেকে কেউ কোনো আওয়াজ দেয় না কেউ বলে না বাবা তুই আসছিস কেউ বাবা বলে বুকে জরিয়ে ধরে না মাহিন হাজার মানুষের ভিড়ে মায়ের মিষ্টি চেহারাটা খুঁজে পায় না এখন আর কেউ দুখের সময় মিষ্টি হাসি দিয়ে দুুখক মুছে দেয় না কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দেয় না কেউ তো এখন আর পছন্দদের খাবার টা রান্না করে না সবাই শুধু সার্তভরা চেহারা নিয়ে তাকিয়ে থাকে এভাবে কিছু দিন বাদে বাবা আসলাম সাহেবেরও মৃত্যু হয় প্রিয়তমা রেহেলা বেগমের সুগে আর এদিকে ছেলে মাহিন ভালো ভাবে প্রতিষটিত হয়ে উঠে সমাজের মানুষ তাকে সমমান দিতে শরু করে ভালোবাসতে শুরু করে কিন্তু মাহিন বুঝতো এই ভালোবাসা পৃকিত ভালোবাসা নয় এটা সার্তভরা ভালোবাসা পৃকিত ভালোবাসা একমাত্র বাবা মায়ের ভালোবাসাটাই ছিলো চারদিকে শুধু সর্তভরা ভালোবাসার বিষাক্ত বাতাস এখন আর বাবা মায়ের পৃকৃথ ভালোবাসার ঠান্ডা বাতাস খুঝে পায় না মাহিন কিছুদিন বাদে মাহিন বাবা মায়ের সুগে সুগপালিত হয়ে পাগল পারা হয়ে পরে।।। আর সবসময় এই কবিতা বলতে থাকে ৷

মাগো হারিয়েছি তোমায় হারিয়েছি বাবাকে। কে জানতো আজ থাকবেনা তুমি থাকবেনা বাবা আমার এই সুখের দিনে।মাগো ছোট্ট থেকে জেগেছিলো কত আশা দেখেছিলাম কত সপ্ন। কিন্তু আজ ভাগ্যের কি পরিহাস হয়ে গেলো সব ভংগ৷। মগো ফিরে আসো একটাবার দেখে যাও তোমার ছেলের সুখ। প্রবাসে গিয়েছিলাম দেখবো হাসি এটাই তো আমার দুঃখ। মা তুমি আমার জীবন তুমি তো আমার সব এই পৃথীবিতে তুমি ছাড়া বাচা বড় দায় শুধু সার্তপর আর সার্তপর। মা কবরে বেচে আছো তুমি দোয়া করি আমি পাও যেনো শান্তির ঘর।রাখে যেনো প্রভু শান্তিতে তোমাদেরকে শান্তিতে জীবনবর।আমিন।।😰😰😰😰😰😰😰😰😰😰 গল্পটি কাল্পনিক ভাবে বাস্তবতার সাথে মিল রেখে লেখা হয়েছে। যদি কারো জীবনের সাথে মিলে যায় তাহলে এটা সম্পুর্ণ কাকতালীয় এবং লেখক দায়ী নহে।
442 Views
5 Likes
1 Comments
4.3 Rating
Rate this: