গল্প সমাহার
তুমিও কি ভালোবাসো আমায়। ভালোবাসো আমার এই মায়াহীন এলোমেলো সাদা-কালো জীবন টা কে। আমার এই জীবনে তোমাকে দেয়ার মতো কিছুই না, আছে শুধু ভালোবাসা আর ভলোবাসাই। ভাবতেছো এই ডায়লগটা সবাই দেয় কিন্তু আমার জীবনের এটা কোনো ডায়লগ না বাস্তবতার কথা। সত্যি এক আকাশ সমান ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো কিছুই তোমাক দিতে পারবো না। সুখে রাখতে পারবো কি-না জানি না কিন্তু জীবনের শেষ নিশ্বাস পযন্ত তোমার স্বপ্ন পূরণ করার, ভালো রাখার চেষ্টা করবো।
আমার একাকিত্বের শহরে তেমাকে সঙ্গী বানাতে চাই, এক সাথে হাঁটতে , রিকশায় করে ঘুরতে, আমার বুকে তোমার মাথা রেখে, গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে, তোমার অনেক রাগ হলে সেই রাগ ভাঙ্গাতে, তোমার এই মায়াবী চোখের দিকে থাকতে, তোমার ঠোঁটের কোণের হাসি দেখতে দেখতে আমার এই একাকিত্বের অন্ধকার শহরটাকে আলোকিত করতে চাই। তুমি কি ভালোবাসবে আমায়, আলোকিত করবে আমার এই শহরটাকে।
এই কথা গুলো নিলয় মুমমুম কে বললো। আর মুমমুমও শুনলো মন দিয়ে, আগেও শুনছে অনেকবার আজকে প্রথম না। একটা টু শব্দ ও করলো না। আজকে ও চুপচাপ হয়ে বসে আছে। নিরবতা ঘিরে ফেলেছে দুজনকেই।
বকুল ফুলের গাছের নিচে বসে আছে নিলয়,মুমমুম। নিলয় মুমমুম কে অনেক ভালোবাসে কিন্তু অনেকবার প্রকাশ করার পর কোন উওর পায়নাই।
হ্যা --কিহ-- না।
মুমমুম কিছুই বলতো না। শুধু মুসকি হাসতো।
আজ ও এক অযুহাতের বাহানায় চলে যায় মুমমুম।
নিলয় অনেক বার লক্ষ্য করছে যখন তাকে ভালোবাসার কথা বলে তার চোখে অন্য রকম আনন্দ থাকে কিন্তু সে মায়াবী চোখে একটু পরেই নেমে যায় দুঃখের ছায়া।
কোনো হয় তার এমনটা কিসের কথা ভেবে হয় নিলয় জিজ্ঞেসাও করছিলো কিন্তু সেটার উওর দেয়নাই কখন ও।
এভাবেই কেটে যায় ১ টা বছর তবুও মুমমুমের কাজ থেকে কোন উওর পায়নাই নিলয়।
নিলয় চাকরি পেয়েছে ঢাকায়। যেতে হবে, সেখান থেকেই চাকরি করতে হবে। বাসায় থাকা হবে না প্রিয় মা-বাবা, ছোট্ট ভাই, বড় বোন দের সাথে একসাথে বসে খাওয়া হবে না। আড্ডা দেওয়া হবে না। সবসময় চোখের সামনে থাকবে না। প্রিয় মুমমুম কে ভালোবাসি কথা বলে বিরক্ত করা হবে না। এই সব মায়া ছেড়ে যেতে হবে প্রবাসে। থাকতে হবে প্রিয় মানুষদের ছেড়ে, প্রিয় এলাকা বন্ধু-বান্ধব পরিবার-পরিজন দের ছেড়ে।
আজকে ঢাকা চলে যাবে নিলয় তাই মুমমুম কে শেষ বারের মতো বললো ভালোবাসো আমায়, হইবা আমার রাণী। প্লিজ আজকে কোনো অযুহাত না। Ans.টা দাও প্লিজ....
নিরবতা দুইজনের মাঝে বকুল ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে হালকা বাতাসে।
আবার নিলয় নিরবতা ভেঙ্গে বলে "প্লিজ"...
আজকে ও চলে যায় মুমমুম। তবে আজকে কোনো অযুহাত দেয়নাই। যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে আছে নিলয় অপলক দৃষ্টিতে। চলে যাওয়াটা আজকে কোন নতুন বিষয় না তবে আজকে তার চোখে সেই তাকানোর আনন্দের মায়াটা ছিলো না। নেই যাওয়ার পথে ঘুরে তাকানো। ছিলো না ঘুরে তাকিয়ে মুচকি হাসিটার রেখা। সোজা হেটে চলে গেল। অদৃশ্য হয়ে গেলো চোখের সামনে থেকে।
তবে কি এখনেই শেষ...
পূর্ণতা পাবে না এ-তো দিনের দেখা স্বপ্ন গুলো...
কি অপরাধ ছিলো আমার...
কোনো এমনটা হলো...
কোনো ভালোবাসলে না...
এইসব ভাবতে ভাবতে নিলয়ের চোখের কোণো পানি এসে ওকি দিয়েছে। বেয়ে গেলো ঝর্না হয়ে।
216
Views
4
Likes
1
Comments
4.3
Rating