মায়ের অভিশাপ,

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
হসপিটালের বেডে ধুঁকে ধুঁকে মরছে আলম সাহেব, খোঁজ খবর নেয়ার মতো মানুষ নেই,
সকলেই ব্যস্ত চাকচিক্যময় দুনিয়ায়,উনার কিসের অভাব ছিলো টাকা পয়সা, বাড়ি গাড়ি,
স্ত্রী, সন্তান সব কীছুই ছিলো। তবুও আজ দেখার কেউ নাই, হসপিটালে শুয়ে পুরনো দিনের সৃতিতে ডুবে গেলেন, খুব ছোট বয়সে বাবা মারা যায়। আর্থিক ভাবে তেমন সচ্ছল না হলেও কোনোদিন ছেলেকে কস্ট দেয় নাই, মানুষের বাড়িতে কাজ করে, ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছে, আশা ছিলো ছেলে একদিন মস্তো বড় অফিসার হয়ে মায়ের সব কস্ট দূর করে দিবে। ছেলে হয়তো বড়ো অফিসার ঠিকিই হয়েছে কিন্তু মায়ের কস্ট দূর করা আর হয়ে উঠেনি। পড়াশোনা শেষ করার সাথে সাথে একটা ব্যাংকে জব পেয়েছে, জব পেয়ে শহরে চলে যায় আলম সাহেব। উনার এক কলিগ ছিলো রেহানা তাদের খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো, সেটা প্রথমে বন্ধুত্ব্য তারপর ভালোবাসায় পরিনিত হয়। নারী, সম্পদ, চাকচিক্যময় দুনিয়া সব মিলিয়ে মায়ের কথা ভুলেয় যায় আলম সাহেব, গ্রাম থেকে অনেক ফোন আসে তার মা অসুস্থ এসে যেনো দেখে যায়, কিন্তু আলম সাহেব যায় না। যখন গ্রামের লোকেরা যখন অনেক বেশি চাপ দেয় তখন বাদ্য হয়ে ঢাকায় এনে একটা সরকারি হসপিটালে ভর্তি করে চলে যায়। আর খবর নিতে আসেনা। এক সময় পৃথিবীর মায়া ত্যাক করে চলে যায় আলম সাহেবের মা, মর্গেই পড়ে থাকে তাও নিতে আসে না। আজ হয়তো সে দিনটা তারও চলে এসেছে, আলম সাহেবের এক মেয়ে, আর এক ছেলে স্ত্রী নিয়ে শুখেই দিন কাটছিলো, হঠাৎ করে গাড়ি এক্সিডেন্টে এক হাত চলে যায়, এর কীছু দিন পর চাকরি হারায় আলম সাহেব, যেই চাকরি ছাড়ার কথা শুনে সেদিন থেকে আলম সাহেবের ঠায় হয় ছাঁদের পরিত্যক্ত চিলেকোঠায়, ছেলে হয় এলাকার গড ফাদার মেয়েটাও রাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পার্টি করে বাড়ী ফিরতো। আর তার সব থেকে কাছের মানুষ তার স্ত্রী যার জন্য, মাকে কস্ট দিয়েছে, সেও চলে যায় অন্য কারো বুকে শুখ খুঁজতে। অতিরিক্ত অসুস্থ হওয়ায় প্রতিবেশিরা হসপিটালে ভর্তি করে দিয়ে চলে আসে কেউ খবরও নেয় না৷ আলম সাহেব নিজের জীবনের অন্তিম সময় পার করছিলো। শেষ সময় তার ইচ্ছে করছিলে ছোট বেলার মতো মাকে জরিয়ে ধরে বলতে খুব ভালোবাসি তোমায় মা,,,,,,
আমায় মাফ করে দাও,,,,, মা,,,,,,,,
মা,, মা বলতে বলতে পরপারে পাড়ি জমায় হতভাগ্য সন্তান আলম সাহেব।
166 Views
4 Likes
2 Comments
5.0 Rating
Rate this: