রূপময় জেলা কক্সবাজার

বাংলায় রয়েছে রকমারি জেলা-
তাতে বহু বড় বড় বাজার,
স্বদেশে অনন্য অঞ্চলে পরিচিত-
রূপময় জেলা কক্সবাজার।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ-
মোহময় দ্বীপপুঞ্জ আছে তাতে,
উচ্চ দালানে নামি-দামি হোটেল-
চকমক রয় দিনে কিংবা রাতে।

কলাতলী-লাবনী-ইনানি সৈকতে-
সদা অত্যধিক পর্যটক আসে,
প্রাকৃতিক লীলা উপভোগ করে-
লক্ষাধিক ভ্রমণকারীই হাসে।

পাহাড়ের কোল ঘেঁষেই বিস্তীর্ণ-
রূপসি হিমছড়ি এলাকারই ঠাঁই,
মেরিনড্রাইভ পাশে পাহাড়ি সারি-
প্রকৃতির সৌন্দর্যের কমতি নাই।

পাহাড়িয়া দ্বীপ তো মহেশখালী-
আদিনাথ মন্দির বলে তীর্থস্থান,
পরিযায়ী পক্ষীরই মনোরম স্বর্গ-
সোনাদিয়া দ্বীপে যাঁর অবস্থান।

রামুতে সেই বৌদ্ধ মন্দির বিহার-
ডুলাহাজারাতেই সাফারি পার্ক,
চিত্তাকর্ষক টেকনাফও দর্শনীয়-
সেন্টমার্টিন দ্বীপও কক্সের মার্ক।

কুতুবদিয়া নামে আরেকটা দ্বীপ-
যে অঞ্চলে আছে মেধাবী ব্যক্তি,
গোটা বিশ্বেরও জনপ্রিয় জেলা-
কক্সবাজার নিয়ে বলেন উক্তি।

গ্রামীণ অঞ্চলের দৃশ্যও রূপবন্ত-
সবুজ রঙের বহু উদ্ভিদের সাড়ি,
রবির কিরণে দিনব্যাপী দৃশ্যমান-
নিশাগমেও প্রকৃতি হয় না আড়ি।

মানুষের গড়া নানান কৃত্রিম দৃশ্য-
পর্যটকদের অধিক আকৃষ্ট করে,
বিশ্বের নানান লোকজনও আসে-
ব্যবসা-ভ্রমণের তরে বছর ধরে।

বনে-মহাবনে-উপবনে বা জঙ্গলে-
দৃষ্টিপাতে মন হয়ে ওঠে ব্যাকুল,
গোটা জেলার আনাচেকানাচে-
আছে শ্রী-সুশ্রী বিবিধ প্রাণিকুল।

গ্রামীণ জনপদ হতে পুরো নগরে-
ঘুরতে উৎসুক হয় মনের অন্দর,
গোটা দেশেই আনাগোনা করতে-
রয়েছে উন্নত এক বিমানবন্দর।

পুরো জেলায় নয়টি উপজেলা-
একেকটি যেন সুদৃশ্য অঞ্চল,
ঘুরেফিরে প্রদর্শিত করতে সর্বদা-
পর্যটকের হৃদয়টা হয় চঞ্চল।

খালবিলে নদনদীতেও কম নহে-
কৃত্রিম অকৃত্রিম সবই যে রয়েছে,
পানোয়া বা পালঙ্কি নামও ছিলো-
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে বিখ্যাত হয়েছে।

জ্ঞানী গুণী আর মান্যগণ্য মানুষ-
এতে ছিলো আছে তথা থাকবে,
দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করে-
নিজেকে গর্বিত করেই রাখবে।

ঢাকা থেকেই কক্সবাজার পর্যন্ত-
লম্বা রেলপথ উন্নত হচ্ছে দিন দিন,
যখনই মনে চাই তখনই ছুটে যায়-
কক্সবাজার জেলায় সবি স্বাধীন।