- সব বুঝলাম কিন্তু সে কে???
- কেন সে কে তুমি কি জানো না?
- মানে কি বলতে চাচ্ছেন?
- মিশকাত যার উপর ভর করেছে তার নাম হলো নুসরাত,,, যে নাকি তোমার অফিসেই তোমার সাথে কাজ করে।
- কি? কিন্তু কেন? সে নুসরাত এর উপর কেন ভর করল?
- এর উত্তর তুমি নিজেই ভালোমতো জানো, তুমি অনেক কিছু লুকাচ্ছো।
- মানে?
- মানে এর উত্তর তুমি নিজেই জানো, এখন যা যা দিয়েছে তা তা তাকে দিয়ে দাও। যত দ্রুত সম্ভব তার লাশের জানাজার ব্যবস্থা করো।
- আচ্ছা হুজুর।
এই বলে আমি সেখান থেকে প্রস্থান করলাম। কিন্তু আমার মনে এখনো নানা ধরনের প্রশ্ন যাচ্ছে। মিশকাত নুসরাত এর উপর কেন ভর করবে আর নুসরাতের সাথে আমার সম্পর্কটা কি? এসব ভাবতে ভাবতে আমি অফিসের দিকে রওনা দিলাম। অফিসের যে আমার কেবিনে যেতে না যেতেই দেখি নুসরাত আমার জন্য অপেক্ষা করছে এবং আমার দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু আজকে ওকে দেখে মনে হচ্ছে এটা নুসরাত না বরংচ মিশকাত। আমাকে দেখে সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে এবং বলে উঠল,,,,
- কি হল আজকে আসতে এত দেরি হল কেন? ও বুঝেছি তুমি নিশ্চয়ই আমার বাসায় গিয়েছিলে। কিন্তু গিয়ে লাভ কি হল তুমি তো কাউকে পেলে না। শুধু শুধু কবিরাজের কাছে গিয়ে এত কাহিনী করলা। যাক বাদ দাও কিন্তু প্রথমে এই নুসরাত ই মরবে। না না না, প্রথমে ভাবছি তুলিকে মারবো। কিন্তু বেচারী তো আমাদের সাহায্য করছিল, ও তোমাকে নিয়ে সেই জঙ্গলে না গেলে তো আমি তোমাকে দেখতে পেতাম না। আমার আত্মা গত একমাস যাবত সেই জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করছিল। আমি শুধু তোমার আর ওই শয়তানদের অপেক্ষা করছিলাম কখন তোমরা আমার সামনে আসবে। কিন্তু সমস্যা নেই এখন আগে তুলিকে মারবো তারপর তিন্নিকে তারপর নুসরাত তার পর সেই শয়তানদের লাস্টে তোমার। আমার হাত থেকে তোমাদের কাউকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
এই বলে সে অট্টহাসি হাসতে লাগলো। আমি তখনই সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে সে পানি পড়া তার মুখে দিয়ে দিলাম এবং খাওয়ায় দিলাম। পানি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নুসরাত কেমন কাতরানো শুরু করল এবং সেখানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেল। আমি তখন নুসরাতের হাতে হুজুরের দেয়া তাবিজ বেধে দিলাম। কিছুক্ষণ পর নুসরাতের যখন হুশ এলো তখন দেখলাম নুসরাত কেমন যেন করছে এবং অফিস থেকে চলে গেল। আমার বুঝতে বাকি রইল না নুসরাত যে কিছু লুকাচ্ছে আমার কাছে। আমি নুসরাতের পিছু নেওয়া শুরু করলাম। যতক্ষণে আমি নুসরাতকে জিজ্ঞাসা করি ততক্ষনে নুসরাত রিক্সা ধরে চলে গেছে। আমি আরো বেশী চিন্তায় পড়ে গেলাম যে কী এমন ছিল নুসরাত কিভাবে আমার খুব কাছের মানুষ হলো। কিন্তু মনের মধ্যে শান্তি ও লাগছিল কারন মিশকাত এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেছে খানিকের জন্যে হলেও। আমি এত আনন্দ ছিলাম যে মিশকাতের ধমকের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
যাইহোক সারাদিনের কাজ শেষ করলাম। রাত্রে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিন্নির জন্য শাহবাগ থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাই। বাসায় গিয়ে দেখি তিন্নি পরনে লাল শাড়ি হাতে চুড়ি কানের দুল এসব পড়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মাথার এলোমেলো চুল ফ্যানের বাতাসে যখন উড়ছিল দেখতে অপরুপ লাগছিল। তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম,,,,,
- কি ব্যাপার আজকে এত সাজগোজ কেন?
- কেন এখন সাজগোজ করার জন্য কি পারমিশন লাগবে আপনার?
- না না তা বলিনি হঠাৎ সাজগোজ করলে তো এই জন্য একটু অবাক হলাম।
তখন সে আমার কাছে এসে আমার কলারে হাত দিয়ে বলতে লাগলো,,,,,
- কাল রাতে আপনার কি হয়েছিল জানিনা কিন্তু কাল রাতে আপনি কিছু করতে পারেননি এই জন্য আজকে আবার সাজলাম। কেন অপরাধ হয়েছে?
- নানা অপরাধ কেন হবে?
এই বলে আমি তাকে ফুল দিলাম এবং জড়িয়ে ধরে বাসর করা শুরু করলাম।
চলবে,,,,,,
রহস্যময় ভালোবাসা (Mysterious Love ) Episode 10
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
608
Views
18
Likes
14
Comments
3.9
Rating