এরপর আমি যেতে লাগলাম রুমের দিকে। মা আর তুলি শুধু আমার দিকে চেয়ে রইলেন কিছু বললেন না।
আমি রুমে যেতেই দেখি তিনি অজস্র ভাবে কেদে যাচ্ছে। আমি তিন্নির কাছে গেলাম এবং বলতে লাগলাম,,,
-বিশ্বাস করো আমি এরকম কিছুই করিনি। তুমি কি আমাকে এইটুকু বিশ্বাস করো না?
-দেখেন আমি আপনার কাছ থেকে কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। তাই দয়া করে আমাকে একা ছেড়ে দিন।
-দেখো আমি কোন অজুহাত দিচ্ছিনা আমি কসম করে বলছি আমি এরকম কিছুই করিনি।
-ও তাহলে ভূত এসে করে দিয়ে গেছে তাইনা? আচ্ছা মানলাম আপনি এই শারীরিক সম্পর্ক করেননি কিন্তু এ ফেয়ারের কথা কেন লুকালেন?
-কারণ আমি ভয়ে ছিলাম, তুমি আমাকে যেভাবে বিশ্বাস করো, আমি চাইনি তুমি আমাকে খারাপ ভাবো।
-কিন্তু এখন তো আপনি আমার কাছে চরিত্রহীন হয়ে গেলেন। এখন আপনি কি করবেন আমার বিশ্বাস তো পুরোই ভেঙ্গে গেছে?
-দেখো,,, তুমি শুধু আমাকে একটা চান্স দাও আমাকে সব কিছু বলার। প্লিজ।।।
-আচ্ছা দিলাম। কি বলবেন বলেন?
-দেখো আমি নিজেও জানিনা আমার সাথে এসব কি হচ্ছে। আমি নিজেও এর রহস্য খুঁজছি। আমি জানিনা মিশকাত এমন কেন করছে? আমি কালকে ভাবছি ওর বাসায় যাব।
এগুলো শুনার পর তিনি আর কিছু বলল না খেতে ডাকদিল শুধু। আমিও বুঝলাম তার একটু মেজাজ কমেছে। তাই আমিও তার কথামতো নিচে চলে গেলাম খাওয়ার জন্য। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। যখন আমরা গাড়িতে উঠলাম তখন তিনি বলতে লাগলো,,,,
-আচ্ছা এসব ঘটনা কবে থেকে চলছে?
-কোন সব ঘটনা?
-এইযে মিশকাতের সাথে এসব রহস্যময় ঘটনা।
-যেদিন আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই তোমাদের বাসা হতে সেদিন থেকে।
-আচ্ছা টেনশন করিয়েন না সব ঠিক হয়ে যাবে।
এইটা বলার পর তিন্নি কেমন যেন করছে কিছু বলছে না। তাকে কেমন ভয় ভয় লাগছে। আমি তখন তিন্নিকে বললাম,,,,
-কিছু হয়েছে?
-না মানে তেমন কিছুনা।
-তুমি বলো কি হয়েছে?
-আসলে আমি আপনাকে ঐদিন মানা করছিলাম কারন আমিও এরকমই একটা স্বপ্ন দেখছিলাম কিন্তু স্বপ্নটা ঠিক মনে নেই।
-আরে পাগল টেনশন নিও না কিছু হবে না।
এটা বলে আমি তিন্নিকে জড়িয়ে ধরলাম এবং দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লাম বাসে। ঘুম থেকে যখন উঠি আমরা তখন আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেছি। আমরা বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়নি এবং রেস্ট নেই। আজ আমার অফিস বন্ধ যার কারণে একটু বেশি সময় দেই তিন্নিকে। তারপর আমরা বাহিরে ঘুড়ি এবং নানান মজা করে থাকি। রাতে যখন আমি আর তিন্নি ঘুমাতে যাই তখন, হঠাৎ তিনি বলে ওঠে চলেন আজ আমরা বাসর করব।
তিন্নির মুখে এমন কথা শুনে আমি প্রথমে অবাক হই। কারণ যে মেয়ে তাকে ঠিকমত টাচ করতে দেনা সে আজ বাসর করার কথা বলছে। তাই প্রথমে অবাক হলেও তারপর ভাবি যে সে হয়তো আমাকে অনেক ভালোবাসে তাই এতদিন পরীক্ষা নিচ্ছিল। যাইহোক শেষমেষ সে তার শরম ভেঙ্গেছে। আমিও মনে মনে অনেক খুশি হয়ে যাই। তিন্নি আমাকে আই লাভ ইউ বলে জড়িয়ে ধরে। এরপর সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য তৈরি হয়ে উঠে।
কিন্তু কে জানত এই বাসররাত আমাদের জন্য কাল হয়ে আসবে।।
চলবে,,,
[কমেন্ট করে জানাবেন যে কি এমন হতে চলেছে ]
রহস্যময় ভালোবাসা (Mysterious Love ) Episode 8
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
503
Views
20
Likes
0
Comments
4.2
Rating