রহস্যময় ভালোবাসা (Mysterious Love ) Episode 7

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
কিন্তু যখনি সে আমাকে এই অবস্থায় দেখে সাথে সাথে একটা চড় মারে এবং ভিতরে চলে যায়।আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। তখনি আমি নিজের দিকে তাকাই।তখন আমি কপালে একটা থাপড় দেই কারন আমি নিজেকে ফ্রেশ করতেই ভুলে গেসিলাম। তাছাড়া এসব তো আমি ইচ্ছাকৃতভাবে করি নি। হঠাৎ করে হয়েছে। তার মানে এতে আমার কোনো দোষ নেই। কিন্তু তারপরও আজ আমি তিন্নির কাছে অনেক বড় অপরাধী কিছু না করেও।

আমার ভিষন রাগ উঠতে লাগল।কেননা সে কোনো কিছু না শুনেই আমাকে চড় মেরে গেলো। আমি ভাবতে লাগলাম যে না আর যাবই না ওর কাছে। এমন সময়ই আবার ভাবলাম ওর জায়গায় আমি হলেও তো ঠিক এমনটাই করতাম। এই হিসেবে তো ও কোনো ভুল করে নি।আমার বরংচ ওকে বুঝাতে হবে সব কিছু।

আমি কোনোকিছু না দেখেই এই অবস্থায় ঘরের ভিতর ঢুকে পরলাম।ঘরে ঢুকতেই দেখি তিন্নির বাবা মা তুলি সবাই জড়ো হয়ে বসে আছে আর আমার দিকে রাগের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। আমার বুঝলাম বাকি রইলো না যে তিন্নি ঘরে এসে যে সবাইকে ঘটনাটি বলেছে। আমি নিজেই এখন অনেক ভয়ে রয়েছি। কারণ সবাইকে যদি হাজারো বুঝানোর চেষ্টা করি তাও কেউ আমাকে বিশ্বাস করবে না। সবাই তিন্নির কথাই বিশ্বাস করবে। তাই তো কথায় আছে ladies fast।

যাই হক এসব ভেবে এখন লাভ নেই। আমার তিন্নিকে এবং সবাইকে বুঝাতে হবে যে আমার সাথে কি ঘটনা ঘটছিলো এতদিন। কিন্তু কোন মুখে বলব কাকে বলব।

এমন সময় শশুড়মশাই বলতে লাগল,,,

-বাবা ঘরে যে যাই ভাবুক আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। তুমি নিশ্চন্তে বলতে পার তোমার সাথে আসলে কি হয়েছে। কারন আমি আমার মেয়েকে তোমার কাছে তুলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন জায়গায় খোজ নিয়ে তারপর দিয়েছি। এই হিসেবে আমি জানি তুমি কেমন। তাই তুমি নিশ্চিন্তে বল তোমার সাথে এসব কিভাবে হলো।

তিন্নির বাবার মুখে এই কথা শুনে বুকে অনেকটা শান্তি অনুভব করছিলাম। তাই আমি বাবাকে বলতে লাগলাম,,,

-আসলে বাবা আনি যেদিন আপনাদের বাসা থেকে গেসি আমার সাথে খুব অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে শুরু করে।
-কেমন বাবা?
-আমি আসলে তিন্নির সাথে বিয়ের আগে একটা সম্পর্কে ছিলাম। কিন্তু ওর সাথে আমার তেমন কিছুই হয় নি। বিয়ের ১ মাস আমাদের বিচ্ছেদ হয়। যেদিন আমি আপনাদের বাসা থেকে যাচ্ছিলাম সেদিন আমি যখন জংগল পার হচ্ছিলাম শুনি কে যেন বলছে বাচাও বাচাও। আমি ভিতরে যেতে দেখি ৫ জন ছেলে একটা মেয়েকে ধর্ষন করছে। আমি সামনে যেতে ওই ছেলেগুলো চলে যায়। তখন দেখি মেয়েটা আর কেউ না বরংচ আমার যার সাথে সম্পর্ক ছিলো সে মিশকাত।
-তারপর
-আমি ওকে নিয়ে আমার সাথে গাড়িতে উঠালাম। আমি চাচ্ছিলাম ওকে ওর বাসায় দিয়ে আমি চলে যাব। কিন্তু কখন ঘুমিয়ে পরলাম বলতে পারবো না।ঘুম থেকে উঠে দেখলাম মিশকাত আমার পাশে নেই।আমি খুব অবাক হলাম। আমি যখন হেল্পার কে জিজ্ঞেস করলাম সে বলল আমার সাথে নাকি কেউ উঠে নি। আমি বললাম আমার থেকে তো দুজনের ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সে বলল আমি নাকি ভুল।
-এটা কি করে সম্ভব।তারপর কি হলো,,,
-তারপর আবার আরেকদিন অফিস শেষ করে আসতে লাগলাম আবার একি আওয়াজ বাচাও বাচাও। আবার যখন গেলাম দেখলাম ওই ৫টা ছেলে আবার মিশকাতকে রেপ করছে৷ কিন্তু আমি যখন সামনে এগিয়ে যেতে লাগলাম দেখলাম ওরা সবাই গায়েব এবং মিশকাতও। আমি খুব ভয় পাই।
-ওও আর আজকে এই অবস্থা কেন বাবা তোমার?
-আজকে আবার যখন গাড়ি করে আসছি হঠাৎ একটা জংগলের সামনে গাড়ি থামে। দেখলাম একটা মেয়ে গাড়িতে উঠছে। অন্ধকার তাই ভালো করে দেখতে পারছিলাম না। কাছে আসতে দেখি মিশকাত। জামা কাপড় ছিড়া ছিলো। ও এসেই আমার পাশে বসে। আর আমাকে বলছে প্লিজ আমাকে বাচাও। আমি তখন ওকে এদিকে আনতে নিচ্ছিলাম।কিন্তু আমি মাঝরাতে ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ মনে হলো কে যেনো আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে। আমি স্পষ্ট দেখছিলাম না। কিন্তু যা দেখলাম এতে মিশকাত দেখা যাচ্ছিল। আমি চোখ খুলতে পারছিলাম না।কিন্তু যখন ঘুম ভাংলো আমি আপনাদের এখানে কিন্তু মিশকাত নেই।আমি ভাবলাম হয়তো স্বপ্ন কিন্তু আমার অবস্থা দেখে বুজলাম আমার সাথে এসব হয়েছে। আমার সাথে কি চলছে আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না।
-আসলেই অনেক বড় সমস্যা।

এমন সময় তিন্নি বলে উঠে,,,,

-তুই আসলেই বাটপার।এসব মিথ্যা কথা। তোর আসলেই চরিত্রে দোষ আছে। আমি তোর চেহারা দেখতে চাই না।

এই বলে সে রুমে চলে যায়। আমার অনেক খারাপ লাগা শুরু হলো। কারণ যে আমার কাছে মুল্যবান সেই আমাকে বিশ্বাস করলো না। এমন সময় বাবা বলে উঠেন

-আচ্চা বাবা তুমি রুমে যাও তিন্নিকে বুঝাও। আমার তোমার উপর ভরসা আসে। আর আমরা তিন্নিকে অনেক আদর করে বড় করেছিতো তাই এমন মেজাজি।তুমি যাও ঠান্ডা মাথায় বুঝাও।

এরপর আমি যেতে লাগলাম রুমের দিকে। মা আর তুলি শুধু আমার দিকে চেয়ে রইলেন কিছু বললেন না।

[জানাবেন কেমন লাগলো। আর কমেন্ট বক্সে এটাও জানাবেন আপনাদের কি মনে হয় মিশকাতের কি রহস্য হতে পারে??]

চলবে,,,,,
475 Views
14 Likes
2 Comments
3.8 Rating
Rate this: