ইসান মার খাওয়ার পর অনেক দিন হাসপাতালে থাকে। শারিরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে।
ওখানে মিলিও কেঁদে কেঁদে শেষ?
মিলিও ইসান কে খুব ভালবাসে,কিন্তু ওর বাবা ছিলো ওখানকার চেয়ারম্যান! খুব ভয় পেতো সবাই। ইসানের মা ইসানকে অনেক বুঝাতো, বাবা ওরা অনেক বড় লোক, আমরা মধবৃত্ত মানুষ, তোর কিছু হলে কি করবো আর তোই এখনো অনেক ছোট।
কিছু দিন পর ইসান জানতে পারে মিলির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সে পাগলের মতো করে,মিলিদের বাসার সামনে ঘুর ঘুর করে,মিলির বাবা জানতে পেরে মিলিকে বোঝায় যদি ছেলেটা কে বলিস ওরে ভালবাসিস না তাহলে ছেড়ে দিবো,না হয় আজকে মেরেই ফেলবো। মিলি ভয় পেয়ে ইসানের কাছে গিয়ে বললো, দেখো ইসান মানুষের জীবনে প্রেম ভালবাসা হয়ে থাকে,তাই বলে কি বিয়ে করতে হবে।
তুমি আমাকে ভূলে যাও প্লিজ। আর কখনো এখানে আসবেনা। আমার বিয়ে ঠিক হইছে আর তোমার কারনে যেনো আমার বিয়ে না ভাঙ্গে। ইসান খুব কষ্টে ওখান থেকে চলে আসে। অনেক কান্না করে কিছু খায় না।
মিলিও বাবার কথা মতো তাকে বিদায় দিয়ে নিজে কান্না করে, ঠিক মতো খায়না ঘুমায় না। মিলি ভাবে যদি ইসানের সাথে কথা বলে ওর বাবা ইসানকে মেরেই ফেলবে।
বিয়ের দিন এসে গেলো! আগামী কাল বিয়ে, আজ হলুদ বাড়ি ভর্তি মানুষের আগমন। আত্মীয় সজনে ঘর ভরা,হইচৈই কিন্তু মিলির মনে অশান্তি। অনেকেই মিলিকে জিগাস করে বিয়েতে কি মত নাই,সে হু ও করেনা আর হাও করে না।
ওখানে ইসান জানে কাল মিলির বিয়ে সে এখনো অপেক্ষায় আছে। ভাবছে আসবেই? হলুদ শেষ হলো, আগামী কাল বিয়ে। এখানে বিয়ের আমদ আর ওইখানে ইসান বিষ খাইছে😭 কথাটা মিলির বাবার কানে আসলেও মিলির কানে যেনো না পৌছায় সে জন্য তারা-হুরু করে বিয়ে দিয়ে বিদায় করে দেয়।।
আর ওদিকে ইসানের বারি কান্না-কাটি, ইসান হাসপাতালে খুব খারাপ অবস্থা, কি হবে ডাক্তার বুঝে উঠতে পারছে না।
কি হবে ইসানের জানতে অপেক্ষা করুন পরের পর্বের জন্য ধন্যবাদ 👏
মিলি গেছে শশুর বাড়ী। আনন্দ অনুষ্ঠান বাড়ি ভর্তি লোক। কিন্তু মিলির মনটা ওঁদের বাড়িতেই পরে আছে। কি হলো ইসানের। ইসান কেমন আছে? এইসব কথা চিন্তা করতে থাকে। পরের দিন বউভাত বাসর ঘরে স্বামীর সাথে কোনো কথা বলল না।
স্বামী ভাবলো ছিলো বয়সে বিয়ে হইছে হয়তো তাই এমন করে। একটু বড় হলেই ঠিক হবে। দুদিন পর গেলো বাপের বাড়ি। এলাকায় সব মানুষ কেমন যানি
কানাকানি করতাছে আমায় দেখে।
আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। আমি তো কিছুই যানিনা। কিছু সময় পরে বুঝতে পারলাম যে কিছু তো হইছে,তা-না হলে এমন কেনো করছে সবাই।
বাবা বললো বাসা থেকে বেশি বের হবি না। তখন সন্দেহটা আরো বারলো।
রাতে কাজের মেয়েকে জিগ্যেস করলাম। কিরে এলাকায় কিছু হইছে কি? সেও আমতা আমতা করে শেষে বলে ফেলল,মিলি আপু! ইসান ভাইতো বিষ খাইছে,অবস্থা তেমন ভালো না তাই তুমি আসছ সবাই কানাকানি করতাছে, কারন সবাই যানে যেদিন তোমার বিয়ে সেইদিনই এই ঘটনা।
মিলি চমকে যায় কি বলিস এসব আর আমি কিছুই যানিনা। কান্নাকাটি শুরু করে কাজের মেয়ে বলে আপু আমি বলছি কেও যেনো না যানে নাইলে আমার খবর আছে। মিলি বলল ঠিক আছে তুই যা আর আমি যে বিষয় টা যানি তুই কাওকে বলিস না।
বলে মেয়েটা চলে গেলো। মিলির স্বামী ওর বাবার সাথে বাজারে গেছে। মিলি কাওকে না যানিয়ে গ্রামের হাসপাতালে ছুটে গেলো সন্ধ্যার পরেই। অন্ধকারের মাঝে কেও লক্ষও করেনি। ইসান মিলিকে দেখে অবাক?ইসান: কেনো আসছ? মিলি: আমাকে মাপ করে দাও প্লিজ👏 আমি সেদিন তোমার ভালোর জন্যই বলেছিলাম আমায় ভূলে যেতে নাহলে বাবা তোমায় মেরে ফেলতো।
ইসান:মরে তো আমি এখনো যাচ্ছি সবাই মিথ্যা বাঁচানোর জন্য এসব করছে। মিলি: ইসান বললাম তো মাপ করে দাও, এমন কথা আর বলোনা। ইসান:তুমি সুখে থাকো যাও নতুন সংসার, নতুন স্বামী যাও যাও। মিলি তখন বলে উঠে বাঁচলে এক সাথে বাঁচব আর মরলে একসাথে।
ওদিকে সবাই যেনে গেছে মিলি এখানে আছে। ইসানকে নিয়ে মিলি হাসপাতাল থেকে পালালো।
যাওয়ার সময় ইসানের মা বাধা দিলেও তারা কোনো বাধা মানেনি। মিলির বাবা এসে ইসানের মাকেও মারলো।
ওদের পিছনে সবাই তারা করছে। এখানে সেখানে ঘুর ঘুর করে, তারা সিদ্ধান্ত নিলো নদীতে ঝাপ দিবে। বাঁচতে না পারি একসাথে মরতে তো পারি এই আশায়। যেই বলা সেই কাজ ঝাপ দিলো দুজনেই। মিশে গেলো জলের অতলে,আর খুজে পায়নি তাদের।
এভাবেই প্রথম প্রেমের হাতছানি, ভালবাসার শেষ পরিনতি হলো🥲
এই ভাবে কতো অবুঝ ভালবাসা ঝরে যায়। আমাদের সকলেরই বুঝা উচিৎ ভালবাসা কি? কেও হয়, কেনো আমরা আপন করে নিতে পারিনা। টাকাই কি পৃথিবীর সব। আসলে টাকা কিছুই না আজ ওরা মারা গেছে টাকা দিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারবে অবশ্যই না।
প্রথম প্রেমের হাতছানি (শেষ পর্ব)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
518
Views
24
Likes
1
Comments
4.4
Rating