#পর্ব ২
আমিঃ না কিছুনা।
তারপর আরও কিছু সময় আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসছি। বাসায় আসার পর আম্মু জিজ্ঞেস করল,,,,,,,,,, কি রে প্রথম দিন কেমন কাটল তোর??
আমিঃ খুবই ভালো কাটছে।
আম্মুঃ আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয় তোরে খাবার দেই।
আমিঃ ওকে,,, মেরি মা। (এইবলে ফ্রেশ হতে চলে আসলাম)।
(ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে একটু ঘুমিয়ে গেলাম। বিকালে আবার ফুটবল ম্যাচ আছে মাঠে)
অপরদিকে,,,,,,
মাহির আব্বুঃ আরে মামনি প্রথম দিন কেমন কাটল তোমার কোনো অসুবিধা হই নি তো।
মাহিঃ না,,, পাপা কোনো অসুবিধা হই নি শুধু একটা ছোট রিকুয়েষ্ট ছিল পাপা
মাহির আব্বুঃ কি রিকুয়েস্ট বলো।
মাহিঃ জানো পাপা আমাদের কলেজে আমাদের ক্লাসে একটা ছোটলোক এডমিশন নিছে। তুমি ওকে কলেজ থেকে বাইর করে দাও।
মাহির আব্বুঃ দেখ,,,,,, ওকে তো কোনো কারন ছাড়া বাইর করা যাবে না। তবুও দেখি আমি কি করা যায়
মাহিঃ ওকে পাপা তুমি ওয়ার্ল্ডের বেস্ট পাপা।
অন্যদিকে,,,,,
বিকাল বেলা ঘুম শেষে একটু ফেসবুকে ডুকলাম (ও আপনাদের তো বলা হই নি সকালে আমার যে আইডি হ্যাক হয়ে গেছিল সেই আইডি আবার ব্যাক এনেছি।) ফেসবুক চালাতে চালাতে হঠাৎ একটা পোস্ট পড়ল চোখে তা দেখে আমি শিহরিত কারন,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আগের পর্ব আমার টাইমলাইনে আছে।
বিকাল বেলা ঘুম শেষে একটু ফেবুকে ডুকলাম (ও আপনাদের তো বলা হই নি সকালে আমার যে আইডি হ্যাক হয়ে গেছিল সেই আইডি আবার ব্যাক এনেছি।) ফেসবুক চালাতে চালাতে হঠাৎ একটা পোস্ট পড়ল চোখে তা দেখে আমি শিহরিত কারন পোস্ট ছিল এইরকম আমি "একজন ডার্ক হ্যাকার। বাংলাদেশের সকল হ্যাকার কে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি কে আমার ওয়েবসাইট হ্যাক করবে?" এই পোস্ট দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারি নাই। হো হো করে হেসে দিলাম। এই পোস্ট দাতা যদি জানত আমি কে তাহলে মনে হয় এইরকম পোস্ট করার কথা স্বপ্নেও ভাবত না। পরে দেখলাম যে এই পোস্টদাতার নাম Devil Queen। এইসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে ফ্রেশ হয়ে মাঠে চলে গেলাম খেলতে। কিছুক্ষন খেলার পর বাসায় এসে হাত মুখ ধুয়ে কিছুক্ষন পরার পর রাতের খাবার খেয়ে একটু ফেসবুকে ডুকলাম। ডুকে আরও বড় শকড খাইছি। দেখি Devil Queen আবার পোস্ট করল "কারও ক্ষমতা নাই আমার ওয়েবসাইট হ্যাক করার। আমি বাংলাদেশের অন্যতম হ্যাকার"। এবার তো নিজেকে কন্ট্রোল করতেই পারলাম না। হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে। এইসব ২ দিনের হ্যাকার রা নাকি বাংলাদেশের অন্যতম হ্যাকার। এই বিষয়ে নিজেকে মাতিয়ে লাভ নাই। তাই সব কথা একপাশে রেখে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষে চলে গেলাম কলেজে। কলেজে আকিবের সাথে কথা বলতে বলতে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। তখন শুনলাম কে যেন পিছন থেকে কে যেন ডাকতেছে "ক্ষ্যাত,,,, ওই ক্ষ্যাত দাড়া"। বুজার বাকি রইল না ওরা আমাকেই ডাক দিচ্ছে। তাই পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখলাম মাহি ও তার বান্ধবীরা আসছে আমার দিকে। তখন মাহি বলল
--- কিরে ক্ষ্যাত,,,, তোর কি ভাল জামা-কাপড় নেই। কাল যে শার্ট আর প্যান্ট পড়েছিস আজ ও তো সেইগুলাই পড়ছিস। ওওও আমি তো ভুলেই গেছিলাম যে তুই রিক্সাওয়ালার ছেলে তোর আবার ভাল জামা-কাপড় থাকবে কোথাই থেকে। শুন তোর যদি জামা কাপড় কম থাকে আমাকে বলিস আমার পাপা আবার রাস্তার ফকির দের সাহায্য করে। ঠিক করে কপালে খাবার জুটে না আবার আসছে বড়লোকদের কলেজে পড়তে শখ কত। শুন এই কলেজ তোদের জন্য না যা অন্য কোথাও গিয়ে মর। শুধু শুধু এই কলেজে এসে এই কলেজের মান সম্মান শেষ করিস না।
খুব কষ্ট পেলাম তারপরও নিজেকে শক্ত রেখে বললাম
--- দেখুন মেডাম,,, এইখানে আমি আমার যোগ্যতার মাধ্যমে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আর শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার। তাই আমি গরীব বলে যে আমি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হব তার তো কোনো মানে নেই।
তারপর মাহির আরেক বান্ধবী বলে উঠল,,,,,
--- দেখেছিস মাহি,,,,,,,,দেখেছি এই ছোটলোকের মুখে কত বড় কথা। "নুন আনতে পান্তা পুরোই অবস্থা " এর আবার মুখের চ্যাটাং চ্যাটাং কথার কমতি নাই। যত বড় মুখ না ততবড় কথা।
আমি বললাম,,,,,,,
--- দেখুন,,,,,,আমি আপনার খায়ও না পরিও না। সো আমাকে আমার মত থাকতে দেন। আমি এখানে পড়তে এসেছি শুধু আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে আসবেন না।
কি বললি তুই ছোটলোক,,,,,,,,
--- ঠাসসসস,,,,,ঠাসসসস (মাহি আমার গালে থাপ্পড় দিয়ে বলল),,,,,,,,একটা কথাও বলবি না তুই। ছোটলোক ছোটলোকের মত থাক। এই আই তোরা।
--- গালে হাত দিয়ে আমি দাড়িয়ে রইলাম আর চোখ থেকে ২/৩ ফোটা পানি নিচে পরল তখন আকিব বলল,,,,,
--- কেন তুই আমারে থামালি,,,,,,আজ যদি সত্যি টা ওরা জানত কে তুই তাহলে এত অপমান পেতে হত না তোর। ( যখন আমাকে মাহি ও তার বান্ধবীরা অপমান করতেছিল তখন আকিবকে ইশারা দিয়ে চুপ থাকতে বললাম )।
--- দেখ বন্ধু,,,,,সব কিছুর সঠিক সময় আছে আর এইটা সঠিক সময় না। আচ্ছা বাদ দে চল ক্লাসে যাই। ক্লাসের টাইম হয়ে যাচ্ছে।
--- দেখ কথা ঘুরাবি না একদম। তুই কি মানুষ না?? যখন মন চাই ওরা কি তখন তোরে অপমান করবে নাকি। দেখ এইরকম যদি আর হয় তাহলে আমি কিন্তু আর চুপ থাকব না।
--- আচ্ছা যখন হবে তখন দেখা যাবে চল ক্লাসে যাই৷
আপরদিকে,,
রিমা মাহিকে বলল,,,,,,,,
--- মাহি,,, তোর কি হয়েছে রে তুই কেন শুধু শুধু আরিফের পিছনে পরে আছিস। ও তোর কি করেছে।
--- তুই বুজবি না গরীব দেখলে কেন যানি আমার মাথা গরম হয়ে যায়। আর এই ছোটলোকটা কে দেখলে তো পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়।
--- দেখ মাহি ও গরীব হলেও মানুষ আমার আর তোর মতই একজন মানুষ। আর এটা তো সত্যি কথা যে ও এখানে ওর যোগ্যতার মাধ্যমে এখানে এডমিশন পেয়েছে। আর তুই তো তোর বাবার মাধ্যমে এডমিশন নিয়েছিস৷
--- রিমাইইইইইই,,,,,,,,তুই কিন্তু আমাকে অপমান করছিস। ওই ছোটলোকটার জন্য তুই আমাকে এইসব বলতে পারলি ওই ছোটলোকটা তোর কে হয় কেন তোর এত দরদ এই ছোটলোকটার প্রতি।
--- এইটা হল মানবিকতা। যেটা তুই বুজবি না বাদ দে। চল ক্লাসে যাই।
অন্যদিকে আমি আর আকিব ক্লাসে বসে আছি,,,,হঠাৎ একজন বলে উঠল,,
--- এই তোরা কি কাল ফেসবুকে Devil Queen এর পোস্ট টা দেখেছিস। হ্যাকার দের ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাইছে। কি সাহস বাপরে বাপ।
তখন আরেকজন বলে উঠল,,,,,
--- এইসব কোনো হ্যাকার ইই না। আসল হ্যাকার হচ্ছে Dark Devil। যে কি না এক দিনে প্রায় ৬/৭ টা দেশের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে ফেলেছে। সে হচ্ছে দেশের গর্ব। কিন্তু তাকে কেউ দেখে নি আজ পর্যন্ত৷
তারপর এই বিষয় নিয়ে কথা বলার পর,,,,,,ক্লাসে স্যার ডুকল। আমি ও সব চিন্তা এক পাশে রেখে ক্লাস করতে লাগলাম। ক্লাসের সময় স্যার বলতে লাগল,,,
--- স্টুডেন্টস আগামী ২০ তারিখ কলেজে একটি আই প্রতিযোগিতা হবে সেই প্রতিযোগিতায় তোমাদের সবাইকে কিছু আ্যাপস বানাতে হবে। কি পারবে না তোমরা?
সবাইকে একসাথে বলে উঠল,,,,, হ্যাঁ স্যার পারব।
--- ওকে,,,,, স্টুডেন্টস তাহলে তোমাদের কয়েকটি গ্রুপ বানিয়ে দেই। যেমনঃ- গ্রুপ-A তে থাকবে মাহি, বর্ষা, নীলা, আরিফ, রিমি, আকিব, আর রুবিনা।
তখনি মাহি বলে উঠল,,
--- না স্যার,, আমি ওই ছোটলোক টার সাথে এক সাথে কাজ করতে পারব না। হয় ও থাকবে নাহয় আমি।
স্যার বলল,,,
--- দেখ মাহি,,,,,ও তোমার ক্লাসমেট তোমরা একই ক্লাসে পড়। তাহলে প্রবেলম কোথায়??
--- না স্যার আমি পারব না। এই ছোটলোকের সাথে একই টিমে কাজ করতে।
আমি বললাম,,,
--- আচ্ছা ঠিক আছে স্যার উনি যখন চাই না আমি ওনার দলে থাকি তাহলে থাক। আমি ওনার দলে থাকব না।
তখনি আকিব বলে উঠল,,,,,,,,,,,,
চলবে......?
কেমন হল সবাই জানাবেন।
ধন্যবাদ।
ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকার (পর্ব ২)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
572
Views
15
Likes
1
Comments
4.0
Rating