সেদিনের অনুষ্ঠান শেষে রূপা চুপচাপ বাড়ি ফিরে এসেছিল। কিন্তু মনের ভেতর যেন একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। রিয়াদের সেই গভীর দৃষ্টি তাকে অস্থির করে তুলেছিল। রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবল—
“আমি কি ভুল করছি? ওর চোখে কি সত্যিই আন্তরিকতা ছিল?”
অন্যদিকে রিয়াদ পুরো রাতটাই কাটাল রূপার মুখ মনে মনে এঁকে এঁকে। তার ভেতরে যেন নতুন এক আলো জ্বলে উঠেছে। সে ঠিক করল, আর অভিমান টেনে রাখা যাবে না, এবার সবকিছু পরিষ্কারভাবে রূপাকে জানাতেই হবে।
পরদিন ক্লাসে দুজনের চোখ কয়েকবারই এক হলো। রূপা এবার আর মুখ ফিরিয়ে নিল না। যদিও সরাসরি কথা হয়নি, কিন্তু চোখের ইশারায় যেন অদৃশ্য এক সেতু তৈরি হয়ে গেল।
বিকেলে লাবন্য রূপাকে টেনে নিয়ে গেল লাইব্রেরিতে। হঠাৎই রিয়াদও সেখানে হাজির হলো। রূপা ভেবেছিল, ও হয়তো ইচ্ছে করেই এসেছে। বুকটা কেঁপে উঠল তার।
কিছুক্ষণের নীরবতার পর রিয়াদ ধীরে ধীরে বলল—
—“রূপা, আমি জানি তুই আমার উপর রাগ করিস। কিন্তু সত্যি বলছি, আমি তোর কষ্ট দিতে চাইনি।”
রূপা কিছুক্ষণ চুপ থেকে হালকা গলায় জবাব দিল—
—“আমি রাগ করিনি… শুধু মনে হয়েছিল, তুই আমাকে ভুল বুঝিস।”
এই কথার পর দুজনের চোখে অদ্ভুত এক নরম অনুভূতি ভেসে উঠল। লাবন্য তখন মুচকি হেসে বলল,
—“আহা! এখন বুঝলাম, তোমাদের মধ্যে শুধু ঝগড়া নয়, আরও অনেক কিছু আছে।”
রূপা আর রিয়াদ দুজনেই লজ্জায় মুখ নামিয়ে ফেলল।
কিন্তু ভেতরে ভেতরে দুজনেই অনুভব করল—অদৃশ্য এক বন্ধন তাদের ধীরে ধীরে একসাথে বেঁধে দিচ্ছে।
এটিটিউট গার্ল
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
32
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating