রূপা এখনো রিয়াদের সাথে স্বাভাবিক হয়নি। ক্লাসে দুজন মুখোমুখি হলেও রূপা চোখ তুলে তাকায় না। কথা তো দূরের ব্যাপার, এমনকি হাসিটুকুও ভাগাভাগি করে না।
তবুও রিয়াদের মন রূপার চারপাশেই ঘোরে। রাতে পড়তে বসলেও রূপার অভিমানী মুখটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ও ভাবে—
“আমি তো শুধু ভুল বুঝেছিলাম। কিন্তু এই মেয়েটার নীরবতা কেন এত কষ্ট দেয় আমাকে?”
অন্যদিকে রূপার মনও অশান্ত। যতই সে নিজেকে শক্ত দেখাক, রিয়াদের চোখে যে সত্যিকারের অনুশোচনা দেখেছে, সেটা ওকে নরম করে দেয়। কিন্তু নিজের আত্মসম্মান আর অভিমান যেন তাকে বাধা দেয় ক্ষমা করতে।
একদিন কলেজে একটা ছোট্ট অনুষ্ঠান ছিল। স্টেজে সবাই গান, কবিতা পরিবেশন করছিল। লাবন্য রূপাকে বলল,
—“তুই কেন উঠছিস না? তোকে ছাড়া অনুষ্ঠানটা অসম্পূর্ণ লাগছে।”
রূপা একটু লজ্জা পেলেও শেষে রাজি হলো। মঞ্চে উঠে সুন্দর কণ্ঠে একটা আবেগময় কবিতা আবৃত্তি করল। পুরো হলঘর নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
তখন রিয়াদ সামনে বসে ছিল। তার চোখে অদ্ভুত এক ঝিলিক—সে যেন রূপাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করল।
মনে মনে বলল, “এই মেয়েটার ভেতরে শুধু এটিটিউড না, আছে অদ্ভুত এক সৌন্দর্য, যা মন ছুঁয়ে যায়।”
কবিতা শেষে হাততালি পড়ে গেল, আর রূপার চোখ এক মুহূর্তের জন্য রিয়াদের চোখের সাথে মিললো। দুজনেই চুপচাপ তাকিয়ে রইল।
সেই মুহূর্তে যেন সব অভিমান, সব দূরত্ব এক নিমিষে মিলিয়ে গেল—তবে কাউকে কিছু বলার সাহস হলো না।
ভেতরে ভেতরে দুজনেরই হৃদয় শুধু ধুকপুক করে উঠল…
এটিটিউট গার্ল
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
38
Views
2
Likes
0
Comments
5.0
Rating