"জানি অকারণ, আজও তুমি প্রয়োজন ...।"
শুন শুন করে গানটা গাইছিল নদী। "
সোহানা রহমান নদী, বয়স ২৪, উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ে রং, লম্বা কেশের অধিকারী। আর চোখ চশমার আড়ালে ঢাকা থাকলেও যেই তার চোখ দেখেছে, সেই তার চোখের মায়ায় পরে গিয়েছে। কিন্তু সে যার মায়ায় পরেছে, সে তো তাকে চেনে না, জানেও না কেউ তার মায়ায় পড়তে পারে।
যা হোক, নদী পেশায় একজন আইনজীবি। বলা যায়, ইয়াং লেডি ব্যারিস্টার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পাস, ও না না, মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে আছে। তবে সে তার পরিবারের ব্যক্তিগত আইনজীবি হিসেবে কাজ করছে। স্কুল আর কলেজ জীবনের সকল ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ সে এতোটা ভালো একটা পর্যায়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু তার মনে লুকানো রয়েছে না পাওয়ার কষ্ট, না পাওয়ার বেদনা। অতীতকে মানুষ যেমন চাইলেও ভুলতে পারে না, তেমনি নদীও পারে না ভুলতে। তার অতীত আমরা গল্পে গল্পে জানতে পারব।
স্যার, ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্বটা আমাদের ডিপার্টমেন্ট কে দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু করার আগে কি আপনার কাছে কোনো পরিকল্পনা আছে?
রুটিন অনুযায়ী যা করতে হয়, তাই কর। আপাতত পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা পরে করব। আর ভালো কথা, আমি আগামী দুইদিন অফিসে আসব না। ২ ছুটি নিয়েছি। আর যা বললাম, রুটিন অনুযায়ী সব করে রাখবে। আমি এসে পরিকল্পনা করব। কেমন?
আপনি কোনো চিন্তা করবেন না স্যার, আমি সব ব্যবস্থা করে রাখব।
কথা চালাছিল রোহান আর ফারহাদের মধ্যে। ফারহাদ রোহানের অ্যাসিস্ট্যান্ট। আর রোহান হলো র্যাব এর শাখা পরিচালক । বর্তমানে ইনভেস্টিগেশন অব ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে আছে। নিজের ডিপার্টমেন্টের ইনভেস্টিগেশন এ্যান্ড ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের হেড, রোহান মেধাবী অফিসার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। চাকরির মাধ্যমে ওপরওয়ালাদের মন জয় করেছে নিজের দূর্দম, দুঃসাহসী কাজের জন্য।
তবে চাকরির যোগ তোমার আর একদিনও সে ছুটি নেয়নি না। তবে আগামী দুইদিনের জন্য ছুটি নিয়েছে কারণ তার স্কুলে পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হবে। তার স্কুলের সব বন্ধুরা মানে রায়িক, মানিক, আনিস, জিহাদ, আহমদ, আমিন এবং সাগর সবাই পালা করে রোহানকে রাজি করেছে অনুষ্ঠানে আসার জন্য। তাই সে ছুটি নিয়েছে।
দোস্ত, তুই না এখনো মনে রেখে ওকে বার্থডে তে উইশ করছিস? তাহলে কেন ওকে বলিস না যে তুই ওকে ভালোবাসিস? আসলে তুই কি চাস বলতো?
আমি যদি বলিও যে আমি ওকে ঘৃণা করি , তুই কি আমার কথা বিশ্বাস করবি? করবি না। আর যদি ওকে ভালোবাসি, যদি এই কথা বলি, ও আমাকে তাড়িয়ে দিবে। তার জন্য মন খারাপ হবে, অপমানিত বোধ হবে। এখন বাদ দে। অন্যকিছু নিয়ে কথা বলি না?
কিন্তু...
আমার এই অনুরোধটা রাখ! প্লিজ!
কথা চলা ছিল রাত্রি আর নদীর মধ্যে। রাত্রি নদীর বেস্ট ফ্রেন্ড। সে নদীকে রাজি করাতে এসেছে স্কুলের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে আসার জন্য। সে যেতে চাচ্ছিল না, কিন্তু রাত্রির জোড়াজোড়িতে সে রাজি হয়েছে। আর রোহানের কথা তুলে মেজাজ খারাপ করছিল নদীর।
ক্লাস টেনের গ শাখার অন্যতম মেধাবী ছাত্র রোহান, যার হাতের লেখা সুন্দর আর আঁকার হাত ভালো, তাকেই কেন জানি নদীর মনে ধরল। আসলে রোহানকে পছন্দ করতে শুরু করে একটা মিথ্যা কথা থেকে।
ভাবতে ভাবতে কখন যে রাত একটা বেজে গিয়েছে টেরেই পেল না নদী। অতঃপর অনলাইনে হয়ে রুমের লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ল। আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতে লাগল রোহানকে নিয়ে।
এদিকে রোহানের কাজ শেষ করতে করতে দেড়টার বেশি বেজে গিয়েছিল। তারপর সে গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় যাচ্ছিল। বাসায় সে একাই থাকে। তাই বাসায় প্রতি তেমন কোনো টান নেই। তার বাবা-মা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার পর রোহান তার খালার বাড়িতেই মানুষ হয়েছে।
খালা অনেক ভালোবাসলেও খালাতো ভাই-বোনদেরা একেবারেই সহ্য করতে পারত ।
আমার এই অনুরোধটা রাখ! প্লিজ!
কথা চলা ছিল রাত্রি আর নদীর মধ্যে। রাত্রি নদীর বেস্ট ফ্রেন্ড। সে নদীকে রাজি করাতে এসেছে স্কুলের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে আসার জন্য। সে যেতে চাচ্ছিল না, কিন্তু রাত্রির জোড়াজুড়িতে সে রাজি হয়েছে। আর রোহানের কথা তুলে মেজাজ খারাপ করছিল নদীর।
ক্লাস টেনের গা শাখার অন্যতম মেধাবী ছাত্র রোহান, যার হাতের লেখা সুন্দর আর আঁকার হাত ভালো, তাকেই কেন জানি নদীর মনে ধরল। আসলে রোহানকে পছন্দ করতে শুরু করে একটা মিথ্যা কথা থেকে।
কথা বলতে বলতে কখন যে রাত একটা বেজে গিয়েছে টেরই পেল না নদী। অতঃপর অনলাইনে হয়ে রুমের লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ল। আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতে লাগল রোহানকে নিয়ে।
এদিকে রোহানের কাজ শেষ করতে করতে দেড়টার বেশি বেজে গিয়েছিল। তারপর সে গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় যাচ্ছিল। বাসায় সে একাই থাকে। তাই বাসায় প্রতি তেমন কোনো টান নেই। তার বাবা-মা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার পর রোহান আবার বাড়িতেই মানুষ হয়েছে।
খালা অনেকে ভালোবাসলেও খালাতো ভাই-বোনেরা একবারেই সহ্য করতে পারত না।
আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহ। তৃতীয় দিনে টিপটিপ শিরশির করে এমন বৃষ্টি নামল যে, সে কারণে মন এই বৃষ্টির দিকে পড়ে থাকবে। নদী সেদিন বসেছিল জানালার পাশে সিটে। তার সাথে কথা বলছিল রাত্রি। কথা বলার এক পর্যায়ে নদী বলল,
দেখছ, আমার না প্রেম করার শখ হয়েছে। জানালার পাশে বসলে মনে হয় ,ইশ , কেউ যদি আমার পাশে বসে বৃষ্টিবিলাস করত. ।
বান্ধবী, আমি কিন্ত তোর কাছে এটা আশা করি নি ।আর এমন ভাবে বললি ,যেন তোর বিয়ে করার শখ জেগেছে।লাগবে নাকি কাউকে?
পারলে একটা খুঁজে দে...
কাঠগোলাপের কথা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
57
Views
0
Likes
0
Comments
0.0
Rating