গোধূলি সন্ধ্যা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
সন্ধ্যা ড্রেসটা আঁকড়ে ধরে বসে কান্না করতে লাগল তার চোখ বেয়ে যেন অঝরে পানি ঝরছে ...
সব কিছুই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হচ্ছে তারপরও তার অভিযোগ করার মতো কেউ নেই ।
তাকে বিনা স্বার্থ সাহায্য করার মতো কেউ নেই।
পরদিন সকালে চারদিকে যেন মেঘে ছেয়ে আছে, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ একটু পরে যেন বৃষ্টি গড়িয়ে পড়বে, চারিদিকে হালকা মৃদু বাতাসে যেন একটি বিপদ সংকেত দেখা দিচ্ছে ..
সন্ধ্যার একটুও মন চায়ছে না মালিহা মেনশনে যেতে কিন্তু কি আর করার পরিস্থিতি তাকে বাধ্য করছে অসহায় মাকে বাঁচাতে তাকে কঠিন থেকে কঠিনতম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে.
ড্রেসগুলো সব ওয়েস্টান ড্রেস ছিল সন্ধ্যা এগুলো পড়বে ভেবেই যেন অস্বস্তি অনুভব করছে, তারপর সে ড্রেসটি পরিধান করল..
সুন্দর ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হবে ...
আন্টি একটি মার্সিটিজ কারে সন্ধ্যাকে উঠতে বলল..
সন্ধ্যা ও উঠে বসল....
আন্টি বলল তোমাকে যেভাবেই হোক জায়ান কে বিয়ে করতে হবে জায়ান অনেক গুলো মেয়েকে রিজেক্ট করছে..
কিন্তু আমার বিশ্বাস তুমি পারবে তোমার মায়ের জন্য টাকার প্রয়োজন এটা ভূলে যেও না,
সন্ধ্যা ডোক গিলে বলল আন্টি আমার খুব ভয় করছে..
সন্ধ্যা কথা শুনে আন্টি বলল ভয় পেলে চলবে না তাছাড়া তোমাকে জায়ানের কাছে যেতে হবে, তোমার শরীরের সুগন্ধি তে জায়ান নিজেকে ধরে রাখতে যেন না পারে, আর তুমি ওই রুমে বেশিক্ষণ থাকার চেষ্টা করবে, যদি তুমি বেশি সময় রুমে না থাকো তাহলে জায়ানের সাথে তোমাকে জায়ানের দাদি কখনোই বিয়ে দিবে না,গল্প করে হোক বা যা করেই হোক তোমাকে ওই রুমে বেশি সময় কাটাতেই হবে।
সন্ধ্যা বলল আচ্ছা আমি চেষ্টা করব...
মালিহা মেনশনে যাওয়ার আগে কয়েকটি গাড়ি পাস্ করে চলে গেল , একটি গাড়িতে থেকে এক একটি সুন্দরী রমনী বের হচ্ছে..
আন্টির গাড়িটাও মালিহা মেনশনে এসে থামল...
আন্টি আর সন্ধ্যা গাড়ি থেকে নামল নেমেই দেখলো পুরোই আলিশন বাড়ি সামনেই সুরু রাস্তা, রাস্তার পাশেই সারি সারি নানা রংয়ের ফুল গাছ ভরে আছে, গন্ধে মন টা শীতল করে তোলে...
সে যতটা সামনে এগুচ্ছে তার মনের মধ্যে ভয় যেন আরোই বেড়ে চলেছে।
বাড়িতে ঢুকতেই কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড তাদেরকে চেক করতে শুরু করল তারপর তাদেরকে ঢুকতে দিল।
যেন সব সুন্দরী রমণীদের লাইন, একটা করে মেয়ে উপরে যাচ্ছে আর পাঁচ মিনিটের আগেই বের হয়ে চলে আসছে , সব কটা মেয়েকে জায়ান রিজেক্ট করছে। আন্টি সন্ধ্যার হাত চেপে ধরে বলল আমি জানি তুমি পারবে ভয় পেলে চলবে না, মনে সাহস রাখো ।
জায়ানের রুম দোতালা মেয়েদের উঠার আগে জায়ানের দাদি মালিহা শেখের সাথে কথা বলে তারপরই উপরে যাচ্ছে কিছু কিছু মেয়েকে তো দাদি উপর উঠার আগেই রিজেক্ট করছে, মনে হচ্ছে কোন এক সুন্দরী প্রতিযোগী তা চলছে...
আর একটির মেয়ের পরই সন্ধ্যার যাবার পালা সন্ধ্যা তো ভয়ে চুপসে আছে।
মালিহা শেখ : তোমার নাম কি?
সন্ধ্যা: জী সন্ধ্যা.
মালিহা শেখ: আমার নাতি জায়ানকে আমি ছোট বেলা থেকে মানুষ করেছি ওর মায়ের সাথে জায়ানের বাবার ডিভোর্স হওয়ার পর থেকেই আমার নাতি আমার কাছেই আছে। আমার নাতি কোন মেয়েকেই পছন্দ করে না, কোন মেয়েকেই সহ্য করতে পারে না, আমার উত্তর রাধিকার জন্য সন্তান লাগবে, আমার নাতির সন্তানই হবে এই মেনশনের মালিক..
আমার সব সম্পদ আমি লিখে দিতে চায় সেই সন্তান কে। যদি তুমি বেশি সময় কাটাও আর আমার নাতি জায়ান তোমাকে পছন্দ করে তাহলে তার মূল্য তুমি পাবে যত টাকা চাও সবটাই তুমি পাবে।
সন্ধ্যা সব বুঝতে পেরে চুপ করে থাকলো..
মালিহা : তুমি কি উপরে যেতে প্রস্তুত।
সন্ধ্যা: সন্ধ্যা মনে মনে ভাবল আমার মায়ের জন্য আমার সব করতে রাজি।
জী আমি আমি প্রস্তুত।
মালিহা শেখ বলল তাহলে উপরে যাও।
সন্ধ্যায় এক একটি সিঁড়ি পার হচ্ছে আর তার মনের ভিতর যেন বড় কোন ঝড় বয়ে যাচ্ছে তারপরও তো তাকে উপরে যেতেই হবে।
উপরে রুম খুলতেই দেখলো সাদা বেড উপর সুদর্শন একজন পুরুষ।
জায়ানে চোখ দুটো লাল হয়ে আছে হাতে মদের গ্লাস,ওয়ান খেয়ে যেন মাতাল হয়ে আছে।
চুলগুলো উসকো খুসকো, পরনে একটি সাদা শার্ট , গায়ের রং সাদা, যেকোনো কেউ এক দেখাতেই তার প্রতি ফিদা হয়ে যাবে কিন্তু সে এতগুলো মেয়েকে কেন রিজেক্ট করলো সন্ধ্যার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
রুমে আসতেই জায়ান শেখ বলে উঠলো...
কি.... বেবি... গার্ল টাকার লোভে চলে এসেছ...
তোমাদের মত মেয়েরা টাকার জন্য যে কি কি করতে পারো তা তো দেখেই বুঝতে পারছি... পুরুষের বেডে আসতেও তোমাদের লজ্জা করে না।
তাই বলে উঠতে যাবেই তখন স্লিপট কেটে পড়ে যাচ্ছিল সন্ধ্যা গিয়ে তাকে ধরে ফেলল...
জায়ান থেকে এক ঝটকাই পাশে ফেলে দিল। আমাকে ছোঁবে না তোমাদের মত মেয়েদেরকে আমি ঘেন্না করি। বলে উঠতে যাবে কখন সন্ধ্যা তার হাত ধরে ফেলে, হাত ধরা দেখে জায়ানের এইবার ভীষণ রাগ হলো, রাগ করে বেডের উপর সন্ধ্যা কে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সন্ধ্যার কাছে যেতেই খুব কাছাকাছি হওয়াতে সন্ধ্যার গায়ের সুঘ্রান জায়ানের নাকে স্পষ্ট হলো জায়ান যেন কিছুতেই উঠতেই পারছে না খুব কাছাকাছি আসাতে সন্ধ্যার খুব অস্বস্তি অনুভব হলো, সন্ধ্যা সরে যাবে এই ভেবে যেতে গিয়েও তার মায়ের মুখটা তার মুখের উপর ভেসে উঠল সন্ধার যে সত্যি অনেক টাকার প্রয়োজন।
জায়ান সরে যেতে গিয়েও সরে যেতে পারছে না এই সুঘ্রান তাকে অস্থির করে তুলছে জায়ান সন্ধ্যার চুলের মুঠি ধরে কিছু বলতে যাবেই তখন মনে মনে জায়ান ভাবছে আমি কেন এত কন্ট্রোললেস হয়ে পড়ছি এই ঘ্রান আমাকে পাগল করে তুলছে, কিন্তু তারপর জায়ান সন্ধ্যার খুব কাছে চলে যায়..
জায়ান সন্ধ্যা কে কিস করে ফেলে...
এদিকে আন্টি আর মালিহা শেখ তো মহাখুশি যেখানে কোন মেয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি জায়ানের রুমে ইস্টে করতে পারেনি সেখানে সন্ধ্যা কিনা ২০ মিনিটেরও বেশি জায়ানের রুমে আছে।
মালিহা শেখের অ্যাসিস্ট্যান্ট তো বলেই বসলো ম্যাম এই মেয়ে মনে হয় আপনার নাতির বাবুর মা হবে।
সন্ধ্যার এবার কিছুটা অস্বস্তি বোধ হয়ে জায়ানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে, রুম থেকে বেরিয়ে যায়, জায়ান ও তাকে ছেড়ে দিয়ে রাগে হাতের পাশে থাকা কাঁচের গ্লাসটা ভেঙে ফেলে।
জায়ান বলতে থাকে...
আমি সকল মেয়েকে ঘেন্না করি...
কিন্তু এই মেয়ের প্রতি আমি কেন দুর্বল হয়ে গেলাম নিজেকে কন্ট্রোল কেন করতে পারলাম না।
এদিকে সন্ধ্যা রুম থেকে বেরিয়ে আসার পরই আন্টি আর মালিহা শেখ তাকে জরিয়ে ধরে।
নোট : গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন ধন্যবাদ।
40
Views
1
Likes
0
Comments
4.0
Rating