আজ দুই একবার হোয়াইট সাপটা খুলে কিছু কথা টাইপ করেও পাঠাতে পারলাম না শেষ পর্যন্ত তৃণা কে একটি শব্দ পাঠাতে পারলাম না। আসলে কাল স্নেহাকে রাতের ফোন ভিডিও কলটা করার পর কেয়ার ব্যবহার টা যেনো আমাকে আয়নার সামনে দাড়া করিয়ে দিলো।
আয়না মানেই শুধু নিজের মুখ দেখা নয়, এটি অনেক সময় আমাদের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সত্যকেও প্রকাশ করে আয়না। কখনও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমি আসলেই কে? ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ।আবার কখনও, আয়না সেটাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় সান্ত্বনা, নিজেকে একটু কাছ থেকে দেখার সুযোগ।
আজকাল অনেকেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখেন, কেউ আয়নার সামনে ছবি তোলেন, আবার কেউ সেলফি তোলেন। এসব ছবি যখন ফেসবুকে বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। বিশ্বাস করুন আমি কিন্তু আয়না সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ভয় করি কারণ আমি অতোটা সুন্দর না। তবে প্রতিদিন আজকাল দাড়ি কাটার জন্য আয়ণার সামনে দাঁড়াতে হয়। দাঁড়িয়ে ভয় পেয়ে যাই মাঝে মাঝে, কালো চূলের মাঝে দুই একটা সাদা চুলের উঁকিঝুঁকি দেখে। বয়স অনেক হলো ভেবেই ভয় হয়।
কিন্তু কালকে ভিডিও কলাটা আমাকে সত্যি একটা আয়না সামনে ধরিয়ে দিলো। নিজের প্রতি একটা ঘৃণা ধরিয়ে দিলো। ও যেনো পুরুষ আমি টা একটা চড় মারলো। কোন কথা না বলে "ও ওর টপটা খুল রললো। এটা দেখতেই তো তুই ভিডিও কল করতে চাইছিলি দেখ। "
একটা নারী হিসেবে সত্যি ওর প্রতিবাদ যথাযথ। আমি সত্যিই তো ওর মনের খবর নিতে চাই না। শুধু মাত্র শরীরের ওম নিতে চাই। ওর সাথে দুই কথা বল চাই না। ভিডিও কল আগ্রহ বেশি, ওর শরীর দেখতে চাই আমি। আচ্ছা নারী কি সত্যিই নারী।
কোরআনে বলা হচ্ছে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষের জন্য, পুরুষের বিনোদন এবং অবসন্নতা কাটাবার জন্য। এটি নারীর জন্য চরমভাবে অমর্যাদাকর। নারীর সৃষ্টি যদি পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য হয়ে থাকে, তা অবশ্যই নারীকে একটি স্বাধীন এবং স্বাভাবিক সত্ত্বা হিসেবে চিহ্নিত করে না, বরঞ্চ পুরুষের জন্য একটি উপভোগ্য বস্তু হিসেবে নির্দেশ করে, একটি যৌনযন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে ।
স্নেহা আমার ভালো বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক অনেক পুরাতন। আমার সাথে ওর বয়সের পার্থক্য বছর পাঁচেকের। আমি চাকরি করতে করতে পড়াশোনা করেছি। তাই সময় সুযোগ অভাবে এমএ ভর্তি হলাম দেরিতে। স্নেহার সাথে আলাপ এমএ পড়তে গিয়ে। ওর ভরা যৌবন সুন্দরী কিন্তু বিয়ে হচ্ছিলো না। আমি প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু বিয়ে করতে পারি নি অর্থনৈতিক ভাবে দর্বল ছিলাম বলে। ওর বাড়িতে যাতায়াত ছিলো। ও কিভাবে বুঝতে পেরে ছিলো, আমি ওর নিরাপদ যৌন সঙ্গী হতে পারি। না অজুহাতে ও একটু একটু করে আমার কাছে এসেছে, আর আমি সুযোগ পেয়ে ওকে উপভোগ করেছি। ঐ সময় ওর রাজদীপ বলে একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয়। ওদের সম্পর্ক টা অনেক দূর গড়ায়। কিন্তু পরে ও জানতে পারে রাজদীপ বিবাহিত। ও নিজে সম্পর্ক টা থেকে সরে আসে। ঠিক সেই সময় ইন্দরজিৎ বলে একটা ছেলে ওকে বিবাহ প্রস্তাব দেয়। ও বিয়ে করে নেয়।
যাইহোক আমি ভালো বন্ধু ছিলাম ওর তাই আমার সাথে ওর কথা হতোই। আর ওর বর আমাকে চেনে। এদিকে রাজদীপ জোর করেই ওর সাথে যোগাযোগ করে এবং বোঝাতে সক্ষম হয়। ওর বৌ এর সাথে সম্পর্ক ভালো নয়। ওর সাথে কথা বলে ও শান্তি খুজে পায়। আর ওর মতো মেয়ের বন্ধুত্ব হবার পর তাকে হারতে ও চায় নি। রাজদীপ আমার মতো আবার বিদেশ চলে যায়। ওদের
মধ্যে যৌন সম্পর্ক বজায় থাকে ফোনে ফোনে। আমি ওদের পরকীয়া প্রেম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলি। যদিও ও সম্পর্ক থেকে বেড়াতে পারছিলো না। কারণ স্থেহার একাকীত্ব স্নেহা ভীষণ কষ্ট দেয়। আমি আবার সুযোগ নিলাম বলাম তুই আমার সাথে কথা বলল। কিছুদিন কথা হতে হতে ওর নাইটি ফাঁক থাকে ওর বিভিজিকা দেখা গেলে আমি অনুরোধ করতে থাকি আরো একটু দেখাতে। ও মজা পায় বিষয়টা তে তাই দেখতে দেয় একটু ঝলক। এই করে ভালোই চলছিল। তাই কাল রাতে মেসজ করে পেটা দেখতে চাইতে ও ভিডিও কল করলো আর টপ খুল বললো "দেখ , দেখ,দেখার তো খুব সখ না তোর। এইসব দেখতেই তো ফোন করিস। "
তৃণা আমার প্রাক্তন প্রেমিকা, ও ঠিক এক অভিযোগ করেছে আমি ওর কথা শুনতে চাই না। ওর ব্যথা অনুভব করতে চাই না। শুধু শরীরের উষ্ণতা পেতে চাই। শুনে খুব খারাপ লেগেছিলো। আর তখন থেকেই আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বলতে পারেন পায়ের দিয়ে ঝগড়া করেছি। একটা ছবি পোস্ট নিয়ে। অথচ যে পোশাক পরে ফোট পোস্ট করার নিয়ে ঝগড়া করেছি সেই পোশাক টা ওকে আমি কিনে দিয়েছি। মনে আয়নার কাছে দাঁড়িয়ে একবার নিজকে দেখলে আসল ছবিটা উঠে আসে। আমি সৎ না অসৎ বোঝা হয়ে যায়।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
55
Views
1
Likes
0
Comments
0.0
Rating