আবুধাবি বিমান বন্দরে বসেছিলাম। কাজ নেই ফুসবুক ঘটা ঘাটি করতে চন্দ্রার একটি ছবি পোস্ট করেছ দেখলাম। লাইক কমেন্ট করলাম, সাথে সাথে রিপ্লাই দিলো। আবার জিজ্ঞাসা করলো কেমন আছো। সবে সবে নীলাঞ্জনা সাথে ব্রেক আপ Itself তাই আমার সব কিছু ওপর ও সি সি ক্যামেরা নিয়ে বসে আছে জানি। তাছাড়া চন্দ্রিমা সাথে যে একটা সম্পর্ক ছিল সেটা আর কেউ না জানলেও নীলু জানতো। ওকে সব কথাই বলতাম আমি। এখনও ডিভোর্স ফাইল করে নি তো ওর ফিরে আসার সম্ভবনা আছে আমি তাই ঝুঁকি নিতে চাইলাম না।
চন্দ্রাকে ইনবক্স করলাম। অনেকক্ষণ কথা হলো ওয়াট আপ নম্বর দেওয়া নেওয়া হলো। ওর বাড়িতে আমি যাতায়াত করি মাঝে মাঝে, কারণ ওর দাদা আমার ব্যাবসাটা দেখ শোনা করে। আমরা ছোট বেলা থেকে বন্ধু।ওকে দেখছি প্রতি বারেই বাড়িতে, কিন্তু সত্যি জানতাম না ও এখন যে পুরোপুরি এসে গেছে ও বাড়িতে। তবে ডিভোর্স দেয় নি পরিবারের সন্মান বাঁচাতে। ওর আমার মধ্যে একটা সময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার চাকরি ছিলো না ভালো। এক বার আমাকে লেখা চিঠি ওর দাদার হাতে পরে যায়। চিঠিতে নাম ছিলো না। তাই আমার কথা কেউ জানতে পারলো না। যদিও চিঠি পাবার বিষয়ে আমি কিছু জানতে পারি নি তখন। হঠাৎ করেই ওর দাদা ওর বিয়ে দিয়ে দিলো। ও মুখ বুঝে মেনে নিলো। আমি ওর ওপর অভিমান করে অনেক দিন কথা বলি নি। তারপর আবার আমার বিয়ে হয়ে গেলো।
আমার আর নীলাঞ্জনা ছাড়া ছাড় খবর ও শুনেছিলো। আমার কাছে কনফারম হবার পর। ও আমার সাথে আবার আগের মতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আসতে চাইলো। আমাদের মধ্যে দুই একবার শারীরিক সম্পর্ক হলো।শেষবার শারীরিক ভাবে মিলনের পর আমি ওকে যখন বললাম এবার ডিভোর্সটা নিয়ে নে। ও আমার বুকের ওপর মাথা রেখে কাঁদতে থাকলো।
" আমার বিয়ে হয়েছে, তখন আমার বয়স মাত্র 18 বছর ছয় মাস। স্বামী প্রদীপ চাকরি করে একটা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। একটু বয়স্ক হলেও ভদ্র, শান্ত, যত্নশীল — সবাই বলে, “তোর তো ভাগ্য ভালো মেয়ে এমন একটা বড় পেয়েছিস।”
শুরুতে সব ঠিক ছিল, কিন্ত বিয়ের একমাস পর টেন্সফার হয়ে গেলো আত্মীয় স্বজনদের থেকে দুরের। সংসার কাজ কিছু জানি না। তবুও অসুবিধা হয় নি। কিছু নতুন সংসারের রঙিন দিনগুলোয় আমি ডুবে ছিলাম।
কিন্তু ধীরে ধীরে একটা অদৃশ্য শূন্যতা ঘিরে ধরল আমাকে। রাতে পাশে শুয়ে থাকা মানুষটা যেন ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে লাগল। যখন আমি একটু ছুঁয়ে দিতে চাইলাম — সে মুখ ঘুরিয়ে নিতো দল।
কখনও বলতো — মাথা ধরেছে, আবার কখনও — অফিসের কাজের ক্লান্তি। আমি মাথা টিপে দিতে গেলে দিতে দিতো না আর আমি অপেক্ষা করে গেলাম… রাতের পর রাত।
প্রথমে ভাবতাম — সময় দাও, ঠিক হয়ে যাবে। তারপর নিজেকে দোষ দিতে শুরু করলাম। হয়তো আমি আর ওর চোখে আগের মতো সুন্দর নই?
নিজেকে আরও যত্ন নিতে শুরু করলাম,
চুলে নতুন ছাঁট, শাড়িতে রঙিন ভাব, ঠোঁটে একটু বাড়তি লিপস্টিক।
তবুও… ওর চোখে কখনও কোনো আগ্রহ দেখিনি।
সেই চোখে ছিল কেবল দায়বদ্ধতা, অভ্যাস… আর নিঃস্বর্ত দূরত্ব।
একদিন বলেই ফেললাম —
“আমি কি তোমার পছন্দ নই?”
সে একটু চুপ করে রইল, তারপর বলল —
“ভালোবাসি, কিন্তু ঠিক সেভাবে নয়।”
সে উত্তর আমার ভিতরটা ভেঙে দিল।
তখন বুঝলাম, আমার জীবনে একজন স্বামী আছে,
কিন্তু সঙ্গী নেই।
তারপর জানলাম ওর পুরোনো প্রেমিকার ডিভোর্স হয়েছে। আমি বাড়ি চলে এলাম ও বাধা দিলো না। বছর পাঁচ হয়ে গেছে।
জামাই ষষ্ঠী, ভাইফোঁটা, দুর্গাপূজা, কোন অনুষ্ঠান হলেই আসে বাড়ির। সবাই জানে সবকিছু ঠিক ঠাক আছে। মায়ের আমার একাউন্ট প্রতি মাসে টাকা পাঠায়। কিন্তু ডিভোর্স নোটিশ পাঠায় না। সবাই জানে সব কিছু ঠিক ঠাক।আমি ভবে নিয়েছি আমি ওর রক্ষিতা। ইচ্ছে হলে মাজা নেবে না হলে পরে থাকবো লাশের মতো ওর বিছানার পাশে।
দিনগুলো কেটে যায় —
আমি রান্না করি,
আর রাত হলে... নিঃশব্দে নিজেকে জড়িয়ে ধরি।
এই সমাজে অনেক মেয়েই আছে যারা একটা নামধারী সম্পর্কে বেঁধে থাকলেও
প্রেম, ছোঁয়া, অন্তরঙ্গতা — এই শব্দগুলো শুধু গল্পে খুঁজে পায়। আর প্রতিদিন এক নতুন মুখোশ পরে বেরোয় — হাসিখুশি দেখানোর অভিনয় করে।
আমি আজও বেঁচে আছি।
তবে পূর্ণ নই কিন্তু জানো আমি একটা চাকরি করলে অবস্থাটা পরিবর্তন করে দিতাম। কিন্তু আমার পড়াশোনা নেই তেমন নিজের পা আমি তো দাড়াতে পারবো না তাই আমি সত্যিই তোমাকে ভরসা করতে পারছি না"
আমি ওর চোখের জল মুখিয়ে দিয়ে, আমার লেপটপ খুলে একটা online একটা বেসরকারি কলেজ বিবিএ ভর্তি করে দিলাম। ও খুব খুশি হলো। কথা হলো তিন বছর পর চাকরি পেয়ে ও আমাকে বিয়ে করবে।
তিন বছর কেটে গেছে চোখের পলকে চাকরি পেয়েছে ও। কিন্তু বিয়ে ব্যপারে বেশি কিছু কথা হয় নি আসলে সময় পাই নি, তবে আমাদের সম্পর্ক ঠিক ঠাক আছে। কারণ ওর বাবার ক্যান্সার হয়েছিল। মারা গেছেন একবছর হলো। ওর দাদার বিয়ে উপলক্ষে আমরা আবার এক সাথে হচ্ছে। এই তিনি ধরে প্রদীপ বাবুকে রিতীমতো অপমান করছে। চন্দ্রা খেতে পর্যন্ত বসলো আমার সাথে। ওর বাড়ি লোক জন যদিও এসব ব্যপারটা খুব একটা লক্ষ করে নি। রাতের বেলায় হাটে হাড়ি ভাঙালাম আমি। কারণ একটা সময় প্রদীপ বাবু আমাকে শালা বাবু শালাবাবু বলে পাগল ছিলো। আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম। অথচ মদ আসর থেকে আমাকে দেখে চলে যাচ্ছিলো।
এক ধাক্কা দিয়ে বসালাম " ওনা কে। বললাম তুই বাল পুরুষ মানুষ না মেয়ে মানুষ। দুই পেক আরো মারুন। তারপর বৌ কাছে জান। বুকের ভিতর যে যন্ত্রনা বেয়ে বেড়াছেন সেটা বোঝান। টাকা পয়সা ফাকা করে দিয়ে কেটে পরা আপনার গার্লফ্রেন্ড মতো মেয়ে ও নয়। দেখেছেন ডিভোর্স নোটিসে ওকি আপনার নামে কোন অভিযোগ এনেছে না টাকা পয়সা দাবি করছে। ও এখনো আপনার আছে একবার গিয়ে জরিয়ে ধরুন। দেখবেন আপনাকে ছেড়ে যেতে পারবে না কোন দিন। "
ফেসবুক আজ চন্দ্রা পোস্ট করেছে প্রদীপের সাথে একটা ফোটো। সম্ভবত দার্জিলিং গেছে। আমি কমেন্ট করলাম মিষ্টি লাগছে। চন্দ্রা রিপ্লাই করলো না। প্রদীপ বাবু ফেসবুক করে সেটা অনেক জানে না। উনি কমেন্ট রিপ্লাই করলো thank you..
ঠ্যাঙ্ক ইউ
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
59
Views
1
Likes
0
Comments
0.0
Rating